কলকাতা, 3 অক্টোবর : রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়েও শেষরক্ষা হল না ৷ বাংলা-গোয়ার লড়াইয়ে হারল মানল কলকাতার ক্লাব ৷ ডুরান্ড কাপ ফাইনালে এফসি গোয়ার কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ৷ নির্ধারিত সময়ে গোলশূন্য থাকার পর অতিরিক্ত সময়ে এডু বেডিয়ার গোলে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন এফসি গোয়া ৷
রবিবারের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এফসি গোয়া 1-0 গোলে সাদা-কালো ব্রিগেডকে হারিয়ে ডুরান্ড কাপ মান্ডভি নদীর তীরে নিয়ে গেল। গোকুলাম কেরালার পরে এবার এফসি গোয়া। কলকাতায় ডুরান্ড আয়োজিত হলেও ঘরের দর্শকের সামনে ট্রফি জিততে ব্যর্থ কলকাতার ক্লাব। হাজার চল্লিশেক দর্শকের উপস্থিতিতে প্রথম থেকেই ডুরান্ড ফাইনালে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে থাকে।
আট বছর আগে শেষবার ডুরান্ড কাপ ঢুকেছিল রেড রোডের ধারের শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবে ৷ তাই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করতে আন্দ্রের প্রশিক্ষনাধীন ছেলেরা মরিয়া ছিল। তিন ম্যাচে হারের পরে পরপর দুই ম্যাচে জয়ের হাত ধরে ফাইনালে পৌঁছে ছিল মহমেডান ৷ আত্মবিশ্বাসের চূড়োয় ছিলেন সাদা-কালো ফুটবলাররা। বাংলার ফুটবল সম্মান রক্ষায় আজহারউদ্দিন মল্লিক, শেখ ফৈয়াজরা ছিলেন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। দলের বিদেশি ফুটবলার মার্কাস জোসেফ ও নিকোলাস প্রতিপক্ষ রক্ষণ ভাঙতে ঝাঁপালেও কাজের কাজটি করতে পারেননি।
আরও পড়ুন : অ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে হেরেও চাকরি যাচ্ছে না কোম্যানের
বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের আক্রমণ রুখে সাদা-কালো গোলমুখ প্রায় খুলে ফেলেছিল এফসি গোয়া। দুই অর্ধেই দুই দল গোলের জন্য ঝাঁপালেও জালে বল জড়াতে পারেনি ৷ মহমেডানের ডুরান্ড জয় দেখতে সাদা-কালো সমর্থকদের পাশাপাশি ভিড় জমিয়ে ছিলেন ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের সমর্থকরাও। তবে ময়দানের দুই প্রধানের সমর্থকদের হাতে ছিল প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড ৷ সবুজ-মেরুন সমর্থকরা এটিকের সঙ্গে গাঁটছড়া ভেঙে ফেলার আর্জি নিয়ে প্ল্যাকার্ড নিয়ে মাঠে ঢোকেন ৷ আর লাল-হলুদ সমর্থকদের দাবি ছিল ক্লাবের শীর্ষকর্তার অপসারণ। তাদের এই প্ল্যাকার্ড পুলিশ এসে খুলে দিলে উত্তেজনা ছড়ায় ৷ নির্ধারিত নব্বই মিনিটে গোল না-হওয়ায় খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। এই সময় মনে হয়েছিল খেলার ভাগ্য হয়তো টাই-ব্রেকারে নির্ধারিত হবে ৷ কিন্তু 105 মিনিটে এডু বেদিয়ার ফ্রি-কিকে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। মরিয়া চেষ্টা করেও হার। মহমেডানের কোচ আন্দ্রে ফুটবলারদের প্রশংসা করলেও ট্রফি না-আসায় হতাশ ক্লাব কর্তারা। অল্পের জন্য ডুরান্ড হাতছাড়ার পর এবার কলকাতা লিগ জয়কে পাখির চোখ করতে চায় মহমেডান।