কলকাতা, 29 জুলাই : বাগান চুরি না কি বাগানে চুরি? ধন্দে গোষ্ঠ পালের পরিবার । তাই 27 বছর পরেও তাঁরা অপেক্ষার চৌকাঠে । মোহনবাগান দিবস উপলক্ষ্যে আজ গঙ্গাপারের ক্লাবে যখন আনন্দের ঝরনা ধারা তখন অনতি দূরে ময়দানে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে তাঁর পরিবার । দাবি, কিংবদন্তি ফুটবলারের যাবতীয় সম্মান-স্মারক ফিরিয়ে দিতে হবে মোহনবাগান কর্তৃপক্ষকে ৷
মোহনবাগান ও গোষ্ঠ পাল যেন সমার্থক । ইস্টবেঙ্গলের প্রথম অধিনায়ক হলেও কিংবদন্তি ফুটবলারের যৌবনের তপোবন ছিল মোহনবাগান ৷ জীবন সায়াহ্নে তাই নতুন প্রজন্মের সামনে নিজের সম্মান অভিজ্ঞান ও ক্লাবের গৌরব ইতিহাস তুলে ধরার ভাবনায় সবকিছু ক্লাবের হাতে তুলে দিয়েছিলেন । বিশ্বাস ছিল, ক্লাবের সংগ্রহশালায় স্থান পাবে সবকিছু । কিন্তু ভাবনা ও বাস্তবের ফারাক বুঝতেই 27 বছর কেটে গেছে চাইনিজ় ওয়ালের পরিবারের । বারবার কড়া নাড়ার পরে দান করা স্মারকের কয়েকটি মিলেছে । কিন্তু, সিংহভাগেরই ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া বিশ বাঁও জলে । মোহনবাগান ইতিমধ্যে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গড়েছে । নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চ্যাটার্জি । কিন্তু, তিনিও কার্যত হাল ছেড়ে দিয়েছেন । ফলে আতান্তরে গোষ্ঠ পালের ছেলে নীরাংশু ও নাতি গিরবান । তাই বাধ্য হয়ে আবেদন ও দাবির ঝুলি নিয়ে আজ সকাল থেকে গোষ্ঠ পালের মূর্তির পাদদেশে অপেক্ষায় তাঁরা ।
আজ ক্লাব প্রেসিডেন্ট গীতানাথ গাঙ্গুলি গোষ্ঠ পালের মূর্তিতে মালা দেওয়ার কথা থাকলেও তাঁর দেখা মেলেনি । জুনিয়র দলের কোচ অমিয় ঘোষের সঙ্গে খুদে ফুটবলাররা মালা দিলেও বাগান কর্তাদের দেখা নেই । "স্মারক চুরি হয়েছে" এই কঠোর কথাটিও বাগান কর্তারা বলতে পারছেন না বলে বক্তব্য গোষ্ঠ পালের পরিবারের সদস্যদের ৷ তাঁদের দাবি, চুরি হলেও জানানো হোক । তাহলে পুলিশের দ্বারস্থ হবেন । কিন্তু ছবিটা পরিষ্কার করা হচ্ছে না । তাই ধন্দে রয়েছেন তাঁরা ৷