কলকাতা, 4 জুন: সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে 11 জুন নিজের দেশ কোস্টারিকায় ফিরে যাচ্ছেন জনি অ্যাকোস্টা । ভারত সরকারের বন্দে ভারত মিশনের উদ্যোগে নিজের দেশে ফেরার বিমান পেয়েছেন তিনি । বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার লাল-হলুদ জার্সিতে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র একটি আই লিগের ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন । তারপর লকডাউন হওয়ায় আইলিগ বাতিল হয়ে যায় । কলকাতায় আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে ঘরবন্দী থাকার পরে অবশেষে ঘরে ফেরার বিমান ধরছেন জনি ।
মাঝের সময়ে শুধু ফুটবলই বন্ধ হয়নি, ইস্টবেঙ্গলের সদ্য প্রাক্তন বিনিয়োগকারী সংস্থা ফুটবলারদের সঙ্গে জোরপূর্বক চুক্তি ছেদ করেছে । একমাসের মাইনে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা । তবে 31 মে পর্যন্ত মরশুম থাকায় ফুটবলারদের বাস্তুচ্যুত করা হয়নি । ইতিমধ্যে কার্লোস নোদার ছাড়া লাল-হলুদের বাকি স্প্যানিশ ফুটবলাররা দেশে ফিরে গেছেন । আরও এক বিদেশি কাশিম আইদারাও রয়ে গিয়েছিলেন । যদিও শুধুমাত্র বিশ্বকাপার ডিফেন্ডার জনি অ্যাকোস্টাকে কোস্টারিকায় ফেরানোর ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিয়েছিল বিনিয়োগকারী সংস্থা । বাকি দু'জনের ভার নিতে রাজি হননি তারা । এই অবস্থায় আতান্তরে পড়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের দুই বিদেশি । বিনিয়োগকারী সংস্থা তিন বিদেশির দেশে ফেরার ব্যবস্থা করেছে কি না জানা নেই । তবে বলা হচ্ছে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে উদ্যোগ নিয়ে ভারত সরকারের বন্দে ভারত প্রকল্পে তিন বিদেশিকে দেশে ফেরার বিমান ধরানো হচ্ছে ।
এদিকে বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে বিচ্ছেদের বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েও হচ্ছে না । চুক্তি ছেদের দিন পার হলেও সেই কাগজ এখনও ক্লাবের হাতে আসেনি । ফলে নতুন মরশুমে ফুটবলার নিয়োগের জোরালো উদ্যোগ ক্লাব কর্তারা নিলেও তার বাস্তবায়ন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে । ইস্টবেঙ্গল নতুন মরশুমে কোন লিগে খেলবে তা পরিষ্কার নয় । ISL-এ লাল-হলুদকে নিতে ফেডারেশন আরও একমাস অপেক্ষা করতে প্রস্তুত । এই ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল দেড়মাস অপেক্ষা করতে রাজি । ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে ISL-এ খেলার আশায় অনেক ফুটবলার প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছেন । তারাও পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছেন । ISL-এ ইস্টবেঙ্গল না খেললে তারা অন্য ক্লাবে চলে যেতে পারেন ।
বিনিয়োগ সংস্থার সঙ্গে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে । শোনা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারী সংস্থা না কি ব্যয় করা অর্থের অর্ধেক দাবি করছে । তাছাড়া ইস্টবেঙ্গলের হাতে স্পোর্টিং রাইটসের কাগজ তুলে দিতেও রাজি হচ্ছে না । এই নিয়ে আলোচনা চলছে । কারণ সেই অর্থের পরিমাণ বিশাল । এই অবস্থায় একাধিক বছর চুক্তিবদ্ধ থাকা ফুটবলারদের বকেয়া মেটানোর ভার এবং অন্যান্য দায় ক্লাবকে বহন করতে হবে ৷ সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে । সব কিছু মিলিয়ে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গলে সমস্যা ক্রমেই জটিলতর হচ্ছে ।