ETV Bharat / sports

তীরবিদ্ধ ইস্টবেঙ্গল, জায়ান্ট কিলার ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় - আই লিগ

নয় ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হার লাল হলুদ শিবিরের ৷ চলতি আই লিগের পয়েন্ট টেবিলে একদম শেষে রয়েছে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় ৷ গতকাল তাদের কাছেও 1-0 গোলে পরাজিত ইস্টবেঙ্গল ৷

Eastbengal Vs Indian Arrows
অ্য়ারোজ়ের দাপটে হার ইস্টবেঙ্গলের
author img

By

Published : Feb 2, 2020, 1:38 AM IST

Updated : Feb 2, 2020, 3:00 AM IST

কল্যাণী, 2 ফেব্রুয়ারি : ইস্টবেঙ্গলের কি আই লিগ থেকে অবনমন হবে ? কল্যাণী স্টেডিয়াম ফেরত লাল হলুদ সমর্থকদের মুখে একটাই আশঙ্কা মাখানো প্রশ্ন । ফের পরাজয়ের অন্ধকারে ইস্টবেঙ্গল । গতকাল কল্যাণী স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের কাছে 1-0 গোলে পরাজিত হয় লাল হলুদ ব্রিগেড । গোলদাতা অ্যারোজ় অধিনায়ক বিক্রম প্রতাপ সিং । ম্যাচের সেরা অ্যারোজ়ের গোলরক্ষক লালবিকুলা ।

আই লিগের নয় ম্যাচে চার হার । ঝুলিতে মাত্র 11পয়েন্ট । কোচেরা বলছেন ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব । কিন্তু তা বিশ্বাস করার লোক লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে নেই । ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় চলতি আই লিগের পয়েন্ট টেবিলে লাস্টবয় । তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানে প্রতিপক্ষের প্রিয় মৃগয়া । কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এতটাই খারাপ ফর্মে যে ফেডারেশনের শিক্ষার্থী ফুটবলারদের বিরুদ্ধেও জিততে পারে না । শনিবার সকালে কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে এসেছেন মারিও রিবেরা । লাল হলুদ ডাগ আউটে কোচের চেয়ারেও বসেছিলেন । মাঝের কয়েক ঘণ্টায় দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোচিং ইউনিটের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে খবর নিয়ে অবস্থা বুঝতে চেয়েছেন । ম্যাচের শেষে তিনি দলের অসুখ ধরতে পারলেন কি না তা সময় বলবে । তবে মারিও বুঝে গেলেন পরিস্থিতি মোটেই গোলাপ বিছানো নয় । চেন্নাই সিটি FC-র বিরুদ্ধে যে একাদশ শুরু করেছিল তাতে দু'টো পরিবর্তন । মেহতাব সিংয়ের বদলে মার্তি ক্রেসপি এবং কাশিম আইদারার বদলে নওরেম । উইনিং কম্বিনেশন বদলে উন্নতি তো হয়েইনি, বদলে সময় যত গড়িয়েছে ততই দিগভ্রান্ত দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে ।

Eastbengal Vs Indian Arrows
ম্যাচের সেরা অ্যারোজ়ের গোলরক্ষক লালবিকুলা

ভেঙ্কটেশের প্রশিক্ষণে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় মূলত প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে থাকে । গতকাল ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকে আক্রমণের চাপ বাড়ালেও অ্যারোজ় ডিফেন্ডারদের পায়ের জঙ্গলে তা বারবার পথ হারিয়েছে । 15 মিনিটে জুয়ান মেরা গঞ্জালেসের কর্নার থেকে পরপর দু'বার সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন মার্তি ক্রেসপি । স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সুযোগ নষ্টের সংক্রমণ যেন লাল হলুদের বাকি দশজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল । ফলে সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে বলের সিংহভাগ দখল রেখেও ইস্টবেঙ্গল পরাজয়ের অন্ধকারে । 22 মিনিটে বিক্রমের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নিখিলরাজ । 39 মিনিটে ফের গোলের সুযোগ নষ্ট ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের । এবার অপরাধী গিবসন । পদত্যাগী কোচ আলেয়ান্দ্রো না কি বার্ষিক দু'কোটি ষাট লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ ছিলেন । তাঁর পছন্দের স্প্যানিশ ফুটবলারদের বার্ষিক বেতনও চোখ কপালে তোলার মত । কিন্তু মোটা অর্থ হাতে পাওয়ার প্রভাব পারফরম্যান্সে নেই । মার্তি ক্রেসপির ডিফেন্সিভ দক্ষতা দলের চিন্তা বাড়াচ্ছে ।

হাইমে স্যান্টোস কোলাডো চলতি আই লিগে নিজের স্কোরিং বুটটা হারিয়ে ফেলেছেন । মার্কোস এসপাদা দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও তিনি কখনও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেননি । শনিবার অ্যারোজ় ডিফেন্ডারদের সামনে গোলের বল বের করতে ব্যর্থ । খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখলেন । দর্শকদের গো ব্যাক ধ্বনিতে মেজাজ হারিয়ে গন্ডগোলে জড়ালেন । নবাগত আনসুয়োমা ক্রোমা ব্র্যান্ডনের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে চাপ তৈরি করতে ব্যর্থ হন । উলটে ক্রেসপির দূরপাল্লার শট অ্যারোজ় গোলরক্ষকের হাত থেকে বেরিয়ে এলে তা ফাঁকা গোলে পাঠানোর বদলে পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন । বাকি রইলেন জুয়ান মেরা গঞ্জালেস । কিন্তু তাঁর অবস্থা অসৎ সঙ্গে পড়ে খারাপ হওয়ার মত । এই স্প্যানিশ উইঙ্গারের খেলায় একমাত্র খেলার চেষ্টা দেখা গিয়েছে । দলের ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সেই প্রত্যাশিত ঝাঁজটাই নেই ।

ব্র্যান্ডন, লালরিনডিকা রালতে, নওরেম, আসির আখতারের খেলায় পরিচিত লাল হলুদ দাপট কোনও এক অদৃশ্য কারণে অনুপস্থিত । ফলে প্রতিটি ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়াচ্ছে । আই লিগ জয়ের আশা নয়, এখন অবনমনের শঙ্কা জাঁকিয়ে বসছে । 58 মিনিটে নিখিলরাজের বাড়ানো পাস থেকে বল পেয়ে গিবসন তা বাড়িয়ে দিলে গোল করতে ভুল করেননি বিক্রম । এর আগে ও পরে কখনও কোলাডো আবার কখনও মার্কোস সুবিধাজনক জায়গা থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন । নিয়মিত অনুশীলন ভালো পারফরম্যান্সের জন্য জরুরি । একই সঙ্গে জরুরি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন । যা আলেয়ান্দ্রো পরবর্তী সময়ে তলানিতে গেছে । না হলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের 24 ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা বিয়ে বাড়িতে যান কী ভাবে । ইস্টবেঙ্গলের এখন সাফল্যের মশাল নয় শুধুই অন্ধকার ।

কল্যাণী, 2 ফেব্রুয়ারি : ইস্টবেঙ্গলের কি আই লিগ থেকে অবনমন হবে ? কল্যাণী স্টেডিয়াম ফেরত লাল হলুদ সমর্থকদের মুখে একটাই আশঙ্কা মাখানো প্রশ্ন । ফের পরাজয়ের অন্ধকারে ইস্টবেঙ্গল । গতকাল কল্যাণী স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের কাছে 1-0 গোলে পরাজিত হয় লাল হলুদ ব্রিগেড । গোলদাতা অ্যারোজ় অধিনায়ক বিক্রম প্রতাপ সিং । ম্যাচের সেরা অ্যারোজ়ের গোলরক্ষক লালবিকুলা ।

আই লিগের নয় ম্যাচে চার হার । ঝুলিতে মাত্র 11পয়েন্ট । কোচেরা বলছেন ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব । কিন্তু তা বিশ্বাস করার লোক লাল হলুদ সমর্থকদের মধ্যে নেই । ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় চলতি আই লিগের পয়েন্ট টেবিলে লাস্টবয় । তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানে প্রতিপক্ষের প্রিয় মৃগয়া । কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এতটাই খারাপ ফর্মে যে ফেডারেশনের শিক্ষার্থী ফুটবলারদের বিরুদ্ধেও জিততে পারে না । শনিবার সকালে কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে এসেছেন মারিও রিবেরা । লাল হলুদ ডাগ আউটে কোচের চেয়ারেও বসেছিলেন । মাঝের কয়েক ঘণ্টায় দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোচিং ইউনিটের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে খবর নিয়ে অবস্থা বুঝতে চেয়েছেন । ম্যাচের শেষে তিনি দলের অসুখ ধরতে পারলেন কি না তা সময় বলবে । তবে মারিও বুঝে গেলেন পরিস্থিতি মোটেই গোলাপ বিছানো নয় । চেন্নাই সিটি FC-র বিরুদ্ধে যে একাদশ শুরু করেছিল তাতে দু'টো পরিবর্তন । মেহতাব সিংয়ের বদলে মার্তি ক্রেসপি এবং কাশিম আইদারার বদলে নওরেম । উইনিং কম্বিনেশন বদলে উন্নতি তো হয়েইনি, বদলে সময় যত গড়িয়েছে ততই দিগভ্রান্ত দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে ।

Eastbengal Vs Indian Arrows
ম্যাচের সেরা অ্যারোজ়ের গোলরক্ষক লালবিকুলা

ভেঙ্কটেশের প্রশিক্ষণে ইন্ডিয়ান অ্যারোজ় মূলত প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে থাকে । গতকাল ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকে আক্রমণের চাপ বাড়ালেও অ্যারোজ় ডিফেন্ডারদের পায়ের জঙ্গলে তা বারবার পথ হারিয়েছে । 15 মিনিটে জুয়ান মেরা গঞ্জালেসের কর্নার থেকে পরপর দু'বার সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন মার্তি ক্রেসপি । স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সুযোগ নষ্টের সংক্রমণ যেন লাল হলুদের বাকি দশজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল । ফলে সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে বলের সিংহভাগ দখল রেখেও ইস্টবেঙ্গল পরাজয়ের অন্ধকারে । 22 মিনিটে বিক্রমের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নিখিলরাজ । 39 মিনিটে ফের গোলের সুযোগ নষ্ট ইন্ডিয়ান অ্যারোজ়ের । এবার অপরাধী গিবসন । পদত্যাগী কোচ আলেয়ান্দ্রো না কি বার্ষিক দু'কোটি ষাট লাখ টাকায় চুক্তিবদ্ধ ছিলেন । তাঁর পছন্দের স্প্যানিশ ফুটবলারদের বার্ষিক বেতনও চোখ কপালে তোলার মত । কিন্তু মোটা অর্থ হাতে পাওয়ার প্রভাব পারফরম্যান্সে নেই । মার্তি ক্রেসপির ডিফেন্সিভ দক্ষতা দলের চিন্তা বাড়াচ্ছে ।

হাইমে স্যান্টোস কোলাডো চলতি আই লিগে নিজের স্কোরিং বুটটা হারিয়ে ফেলেছেন । মার্কোস এসপাদা দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও তিনি কখনও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেননি । শনিবার অ্যারোজ় ডিফেন্ডারদের সামনে গোলের বল বের করতে ব্যর্থ । খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখলেন । দর্শকদের গো ব্যাক ধ্বনিতে মেজাজ হারিয়ে গন্ডগোলে জড়ালেন । নবাগত আনসুয়োমা ক্রোমা ব্র্যান্ডনের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে চাপ তৈরি করতে ব্যর্থ হন । উলটে ক্রেসপির দূরপাল্লার শট অ্যারোজ় গোলরক্ষকের হাত থেকে বেরিয়ে এলে তা ফাঁকা গোলে পাঠানোর বদলে পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন । বাকি রইলেন জুয়ান মেরা গঞ্জালেস । কিন্তু তাঁর অবস্থা অসৎ সঙ্গে পড়ে খারাপ হওয়ার মত । এই স্প্যানিশ উইঙ্গারের খেলায় একমাত্র খেলার চেষ্টা দেখা গিয়েছে । দলের ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সেই প্রত্যাশিত ঝাঁজটাই নেই ।

ব্র্যান্ডন, লালরিনডিকা রালতে, নওরেম, আসির আখতারের খেলায় পরিচিত লাল হলুদ দাপট কোনও এক অদৃশ্য কারণে অনুপস্থিত । ফলে প্রতিটি ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাঁড়াচ্ছে । আই লিগ জয়ের আশা নয়, এখন অবনমনের শঙ্কা জাঁকিয়ে বসছে । 58 মিনিটে নিখিলরাজের বাড়ানো পাস থেকে বল পেয়ে গিবসন তা বাড়িয়ে দিলে গোল করতে ভুল করেননি বিক্রম । এর আগে ও পরে কখনও কোলাডো আবার কখনও মার্কোস সুবিধাজনক জায়গা থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন । নিয়মিত অনুশীলন ভালো পারফরম্যান্সের জন্য জরুরি । একই সঙ্গে জরুরি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন । যা আলেয়ান্দ্রো পরবর্তী সময়ে তলানিতে গেছে । না হলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের 24 ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা বিয়ে বাড়িতে যান কী ভাবে । ইস্টবেঙ্গলের এখন সাফল্যের মশাল নয় শুধুই অন্ধকার ।

Intro:ইস্টবেঙ্গলের কি আই লিগ থেকে অবনমন হবে?কল্যানী স্টেডিয়াম ফেরত লাল হলুদ সমর্থকদের মুখে একটাই আশঙ্কা মাখানো প্রশ্ন। ফের পরাজয়ের অন্ধকারে ইস্টবেঙ্গল। শনিবার কল্যানী স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান অ্যারোজের কাছে 1-0গোলে পরাজিত লাল হলুদ ব্রিগেড। গোলদাতা অ্যারোজ অধিনায়ক বিক্রম প্রতাপ সিং। ম্যাচের সেরা অ্যারোজের গোলরক্ষক লালবিকুলা। আই লিগের নয় ম্যাচে চার হার। ঝুলিতে মাত্র 11পয়েন্ট। কোচেরা বলছেন ঘুরে দাড়ানো সম্ভব।কিন্তু তা বিশ্বাস করার লোক লাল হলুদ সমর্থক দের মধ্যে নেই। ইন্ডিয়ান অ্যারোজ চলতি আই লিগের পয়েন্ট টেবিলে লাস্টবয়। তাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানে প্রতিপক্ষের প্রিয় মৃগয়া।কিন্তু ইস্টবেঙ্গল এতটাই খারাপ ফর্মে যে ফেডারেশনের শিক্ষার্থী ফুটবলারদের বিরুদ্ধেও জিততে পারে না। শনিবার সকালে কোচ আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেস গার্সিয়ার ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলাতে এসেছেন মারিও রিবেরা। লাল হলুদ ডাগ আউটে কোচের চেয়ারেও বসেছিলেন। মাঝের কয়েক ঘণ্টায় দলের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কোচিং ইউনিটের বাকি সদস্যদের কাছ থেকে খবর নিয়ে অবস্থা বুঝতে চেয়েছেন। ম্যাচের শেষে তিনি দলের অসুখ ধরতে পারলেন কি না তা সময় বলবে। তবে মারিও বুঝে গেলেন পরিস্থিতি মোটেই গোলাপ বিছানো নয়। চেন্নাই সিটি এফসি র বিরুদ্ধে যে একাদশ শুরু করেছিল তাতে দুটো পরিবর্তন।মেহতাব সিংয়ের বদলে মার্তি ক্রেসপি এবং কাশিম আইদারার বদলে নওরেম। উইনিং কম্বিনেশন বদলে উন্নতি তো হয়নি বদলে সময় যত গড়িয়েছে ততই দিগভ্রান্ত দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল কে। ভেঙ্কটেশের প্রশিক্ষনাধীন ইন্ডিয়ান অ্যারোজ মূলত প্রতিআক্রমন নির্ভর ফুটবল খেলে থাকে। এদিন ইস্টবেঙ্গল শুরু থেকে আক্রমনের চাপ বাড়ালেও অ্যারোজ ডিফেন্ডারদের পায়ের জঙ্গলে তা বারবার পথ হারিয়েছে। 15মিনিটে জুয়ান মেরা গঞ্জালেসের কর্নার থেকে পরপর দুবার সহজ সুযোগ নষ্ট করলেন মার্তি ক্রেসপি। স্প্যানিশ ডিফেন্ডারের সুযোগ নষ্টের সংক্রমন যেন লাল হলুদের বাকি দশজনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল। ফলে সংখ্যাতত্বের হিসেবে বলের সিংহভাগ দখল রেখেও ইস্টবেঙ্গল পরাজয়ের অন্ধকারে। 22মিনিটে বিক্রমের ব্যাকহিল থেকে বল পেয়ে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন নিখিলরাজ।39 মিনিটে ফের গোলের সুযোগ নষ্ট ইন্ডিয়ান অ্যারোজের।এবার অপরাধী গিবসন। পদত্যাগী কোচ আলেয়ান্দ্রো না কি বার্ষিক দুকোটি ষাট লক্ষ টাকায় চুক্তিবদ্ধ ছিলেন।।তার পছন্দের স্প্যানিশ ফুটবলারদের বার্ষিক বেতনও চোখ কপালে তোলার মত। কিন্তু মোটা অর্থ হাতে পাওয়ার প্রভাব পারফরম্যান্সে নেই। মার্তি ক্রেসপি ডিফেন্সিভ দক্ষতা দলের চিন্তা বাড়াচ্ছে। হাইমে স্যান্টোস কোলাডো চলতি আই লিগে নিজের স্কোরিং বুটটা হারিয়ে ফেলেছেন। মার্কোস এসপাদা দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হলেও তিনি কখনও প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের চিন্তার কারন হয়ে উঠতে পারেন নি। শনিবার অ্যারোজ ডিফেন্ডারদের সামনে গোলের বল বের করতে ব্যর্থ। খেলার শেষ মিনিটে লাল কার্ড দেখলেন। দর্শকদের গো ব্যাক ধ্বনিতে মেজাজ হারিয়ে গন্ডগোলে জড়ালেন। নবাগত আনসুয়োমা ক্রোমা যত না খেলেন তার চেয়ে ভড়ং বেশি। ব্র্যান্ডনের পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে চাপ তৈরি খরতে ব্যর্থ। উলটে ক্রেসপির দূরপাল্লার শট অ্যারোজ গোলরক্ষকের হাত থেকে বেরিয়ে এলে তা ফাকা গোলে পাঠানো বদলে পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে দিলেন।যা দেখে বলা যায় বন্যরা বনে সুন্দর ক্রোমা খেপ খেলার মাঠে। বাকি রইলেন জুয়ান মেরা গঞ্জালেস। কিন্তু তার অবস্থা অসৎ সঙ্গে পড়ে খারাপ হওয়ার মত। এই স্প্যানিশ উইঙ্গারের খেলায় একমাত্র খেলার চেষ্টা দেখা গিয়েছে। দলের ভারতীয় ফুটবলারদের মধ্যে সেই প্রত্যাশিত ঝাজটাই নেই। ব্র্যান্ডন, লালরিনডিকা রালতে, নওরেম, আসির আখতারের খেলায় পরিচিত লাল হলুদ দাপটে কোনও এক অদৃশ্য কারনে অনুপস্থিত।ফলে প্রতিটি ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের কাছে আতঙ্কের হয়ে দাড়াচ্ছে। আই লিগ জয়ের আশা নয়, এখন অবনমনের শঙ্কা জাকিয়ে বসছে। 58মিনিটে নিখিলরাজের বাড়ানো পাস থেকে বল পেয়ে গিবসন তা বাড়িয়ে দিলে গোল করতে ভুল করেননি বিক্রম। এর আগে ও পরে কখনও কোলাডো আবার কখনও মার্কোস সুবিধা জনক জায়গা থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করেন। নিয়মিত অনুশীলন ভালো পারফরম্যান্সে র জন্যে জরুরি। একই সঙ্গে জরুরি শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবন।যা আলেয়ান্দ্রো পরবর্তী সময়ে তলানিতে।না হলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের 24ঘণ্টা আগে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা বিয়ে বাড়িতে যান কী ভাবে। ইস্টবেঙ্গলের এখন সাফল্যের মশাল নয় শুধুই অন্ধকার।


Body:ম্যাচ


Conclusion:
Last Updated : Feb 2, 2020, 3:00 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.