কলকাতা, 4 জানুয়ারি : শুধু ফিরতি ডার্বি নয় আই লিগের বাকি 11টি ম্যাচও যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে চায় ইস্টবেঙ্গল । এই মর্মে একটি চিঠি ক্রীড়ামন্ত্রীকে দিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল । গতকাল একথা জানান লাল হলুদের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার । তাঁর অভিযোগ, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলার কথা উঠলেই ক্রীড়ামন্ত্রী দ্বিধায় পড়ে যান ৷ ফলস্বরূপ দ্বিচারিতা করছেন । আই লিগের ফিরতি ডার্বি 15মার্চ । ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন 15 লাখ টাকায় ভাড়া নিয়ে ডার্বি আয়োজন করতে রাজি নয় । বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে তারা কটকে ডার্বি আয়োজনের ইঙ্গিত দিয়েছে । এই নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা ।
19 জানুয়ারি আই লিগের প্রথম ডার্বির আয়োজক ছিল মোহনবাগান । তারা 15হাজার টাকার বিনিময়ে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পেয়েছে । ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ, কোনও একটি ক্লাব যদি পর্যাপ্ত ফান্ডের অভাবে ক্রীড়ামন্ত্রীর সহযোগিতা পায়,তাহলে তারা কেন বঞ্চিত হবে ? ইস্টবেঙ্গল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে চাইলে কেন তাদের বিরাট আর্থিক বোঝা বইতে হবে ? তাই শুধু ডার্বি নয়,আই লিগের বাকি ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে খেলতে চায় । তার জন্যে ভাড়া 15 হাজার টাকার বেশি দেবে না । দেবব্রত সরকার বলছেন, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন নিয়ে ক্রীড়ামন্ত্রীর দ্বৈত অবস্থান রয়েছে ।
মাঠ ভাড়ার বিপুল ফারাক নিয়ে সরব হওয়ার পাশাপাশি কীভাবে পরপর দুটো ম্যাচ আয়োজন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি । সংস্কারের পরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে 24 ঘণ্টার মধ্যে ম্যাচ আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছিল না । কারণ স্টেডিয়ামের মাঠের যত্নে ধাক্কা লাগবে । কিন্তু 19 জানুয়ারির ডার্বির আগের দিন ATK-র ম্যাচ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে হয়েছে । কীভাবে তা সম্ভব হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন দেবব্রত সরকারের ।
ক্রীড়ামন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতার অভিযোগ তোলার দিনই লাল হলুদ ব্রিগেডের বেহাল দশা ঠিক করতে কোচ মারিও রিবেরার সঙ্গে আজ আলোচনায় বসছেন লাল হলুদ কর্তারা । মোট চারটে ম্যাচ হেরে আই লিগের খেতাবের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল ।
এদিকে ক্লাবের শতবর্ষ পালন উপলক্ষে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের খেলতে আসার ব্যাপারে প্রাথমিক সম্মতি ইস্টবেঙ্গলের কাছে পৌঁছেছে । ব্যয় বহুল ম্যাচ আয়োজনের ধাক্কা সামলাতে ধীরে চলো পদক্ষেপ নিতে চান লাল হলুদ কর্তারা । এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারের সহযোগিতা পাওয়ার আশ্বাস স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে মিলেছে । তবে হেভিওয়েট ম্যাচ আয়োজনের সলতে পাকানোর আগে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা দলকে ছন্দে ফেরাতে উদ্যোগ নিতে চান ।