কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর : আলেয়ান্দ্রো মেনেনদেজ় গার্সিয়া । এক বছর ধরে ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । সামলাচ্ছেন বললে বোধ হয় পুরোটা বলা হয় না, ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের ধারণার গোড়ায় ধাক্কা মারার চেষ্টা করে যাচ্ছেন । সময় বলবে তাঁর চেষ্টা সফল হবে কি না । তবে এক বছরের নিরিখে বলা যায়, বঙ্গ ক্লাব সংস্কৃতির ধারণায় বড়সড় ধাক্কা মেরেছেন । তাই ইস্টবেঙ্গলের মতো শতবর্ষ পার করতে চলা একটি দলের কোচের হটসিটে বসে মরশুমের শুরুতে অনায়াসে বলে দিতে পারেন, কলকাতা লিগ তাঁর কাছে নিতান্তই একটি প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট ৷
ট্রফির সন্ধানে থাকা ক্লাবে প্রাধান্যের তালিকা তৈরির সাহসই শুধু দেখাননি গার্সিয়া, নিজের অবস্থানে অনড়ও থেকেছেন । পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে হারের পর যখন গেল গেল রব উঠেছিল, তখনও আলেয়ান্দ্রো বলছিলেন হিসাবটা প্রতিযোগিতার শেষে করাই ভালো । লিগের 10 নম্বর ম্যাচে মহামেডানকে 3-2 গোলে হারিয়ে 20 পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে ইস্টবেঙ্গল । শেষ ম্যাচে জিতলেই লিগ ফিরবে বলা যাচ্ছে না । কারণ, পিয়ারলেস যদি শেষ দুটো ম্যাচ জেতে তাহলে গোল পার্থক্যের অঙ্ক আসবে । দশম ম্যাচে তিন গোলের সৌজন্যে গোল পার্থক্যে একই বিন্দুতে দাঁড়িয়ে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ও পিয়ারলেস ৷
ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে সহকারী কোকোকে পাশে বসিয়ে লাল-হলুদ হেডস্যার বলেন, ম্যাচটি তাঁরাই নিয়ন্ত্রণ করেছেন ৷ 10 জনের মহামেডান শেষদিকে সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল । বিষয়টি মেনে আলেয়ান্দ্রো বলছেন, ফুটবলে এমনটা হতেই পারে । তবে দলের ফুটবলারদের উপর তাঁর বিশ্বাস রয়েছে । সুযোগ তৈরির পরিসংখ্যানে প্রতিপক্ষকে যে তাঁরা পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন, তা মনে করিয়ে দেন গার্সিয়া । তবে কিছুটা হলেও চিন্তা থাকছে লাল-হলুদ কোচের ৷ দলের এক নম্বর ডিফেন্ডার বোরহা গোমেজ় চোট পেয়েছেন । তিনদিন দেখার পর চোটের অবস্থা বোঝা যাবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোরহা উঠে গেলেও সেরকম সমস্যায় পড়েনি ইস্টবেঙ্গল । কারণ, দলের সব ফুটবলারকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলিয়ে তৈরি রেখেছিলেন আলেয়ান্দ্রো ৷
শেষ ম্যাচে লিগের ফয়সালা। লাল-হলুদ কোচ বলছেন, চলতি কলকাতা লিগের প্রতিদ্বন্দ্বিতা দারুণ । প্রতিটি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে । বেশ কয়েকটি ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হয়েছে । লিগের শেষপ্রান্তে এসে খেতাবের দ্বৈরথে ইস্টবেঙ্গল ও পিয়ারলেস । আলেয়ান্দ্রো অবশ্য বলছেন, তাঁরাই এগিয়ে ।