কলকাতা 10 ফেব্রুয়ারি : বেহাল দশা ইস্টবেঙ্গলে ৷ আই লিগে শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র একটিতে জয় ৷ বাকি চারটি ম্যাচেই হার ৷ 10 টি ম্যাচ খেলে 11 পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের 8 নম্বরে শতবর্ষের ইস্টবেঙ্গল ৷ এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের মনোবলও তলানিতে ৷ তাঁদের চাঙা করতে এবং দলকে এক সুতোয় বাঁধতে ক্লাবের তরফ আয়োজন করা হয় মধ্যাহ্নভোজনের ৷ সেই মধ্যাহ্নভোজনে যোগ দিতেই রবিবার দুপুরে ক্লাব তাঁবুতে হাজির হন লাল-হলুদ ফুটবলাররা ৷ তবে আসেননি মার্তি ক্রেসপি ৷
শনিবার কোচ মারিও রিবেরার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন ক্লাব কর্তারা । দলের সংকট সামাল দিতে কী করণীয় তা বিশদে জানতে চাওয়া হয় কোচের কাছে । প্রয়োজনে নতুন ফুটবলার নিয়ে আসার ক্ষমতা কোচকে দেওয়া হয়েছে । সেইমতো আজ, সোমবার কয়েকজন ফুটবলারের তালিকা দেবেন তিনি । 13 ফেব্রুয়ারি কল্যাণী স্টেডিয়ামে পঞ্জাব FC-র বিরুদ্ধে খেলবে দল । সেই ম্যাচে না হলেও, তার পরের ম্যাচে নতুন বিদেশি দেখতে পাওয়ার ইঙ্গিত মারিও রিবেরার গলায় ।
এদিকে রবিবারের সংহতি ভোজে আসেননি স্প্যানিশ ডিফেন্ডার মার্তি ক্রেসপি । একপ্রকার নিশ্চিত, ক্রেসপিকে ছাড়তে চলেছে ইস্টবেঙ্গল ৷ কোলাডো, মার্কোস ও জুয়ান মেরা গঞ্জালেস যোগ দিলেও তাঁরা আতস কাচের তলায় । কোচ বিদেশি ফুটবলারের তালিকা জমা দিলে কোপ পড়তে পারে কোলাডো এবং মার্কোসের উপর ৷
ক্লাবের সব শীর্ষকর্তা ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন । সচিব কল্যাণ মজুমদার অবশ্য খেতাবের সম্ভাবনা শেষ বলে মনে করছেন না । শতবর্ষে দল গঠনের ভার তাঁদের হাতে ছিল না । এমনকী ফুটবলার বদল বা নেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না । তাই ব্যর্থতার দায় কর্তাদের নয় বলে মনে করেন তিনি । মে মাসের পরে তাঁরা নতুন ভাবে শুরু করবেন । তিনিও বলছেন, মোহনবাগান ISL খেললে তাঁরা মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকবেন তা ভাবার কোনও কারণ নেই । একই সুর শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকারের মুখেও ৷