কলকাতা, 30 এপ্রিল: চুনী গোস্বামী মানেই ফুটবল, তাঁর ক্যারিশমা এবং মাঠ ও মাঠের বাইরের ঘটনার কোলাজ ।
সাইরেনের শব্দে তখন ঘুম ভাঙত কলকাতার । ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধের দামামা । এই সময় বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব এবং উপহার হিসেবে ফিয়াট গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রবাদপ্রতিম কর্তা জ্যোতিষচন্দ্র গুহ । একসময় বাংলাদেশের ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন চুনী গোস্বামীরা । ফলে লাল-হলুদের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কর্তাকে আপ্যায়ন করে বসিয়েছিলেন চুনী গোস্বামীর বাবা । দলবদলের মরশুম তখন । প্রথমেই ছেলেকে লাল-হলুদ জার্সি পরার প্রস্তাব দিলেন জ্যোতিষবাবু । সেই সময় ফুটবলারদের ক্লাবে খেলার ব্যাপারে অভিভাবকদের মত গুরুত্ব পেত । কিন্তু সিনিয়র গোস্বামী বললেন, এই বিষয়ে বলাই দাস চট্টোপাধ্যায়ের কথাই তাঁর ছেলে মেনে চলে । বলাই চট্টোপাধ্যায় ছিলেন চুনী গোস্বামীর গুরু ।
আঠারো বছরের যুবকের সঙ্গে তখন সরাসরি কথা বললেন জ্যোতিষ গুহ । তাঁর দীর্ঘদেহী, পেশিবহুল চেহারা প্রমাণ করে ফুটবল খেলার জন্য এই চেহারাই আদর্শ । ক্লাব এবং রাজ্যের হয়ে দাপিয়ে খেললেও চুনী গোস্বামীর নাম তখনও মেলবোর্নে অলিম্পিকগামী ভারতীয় দলের জন্য বিবেচিত হয়নি । মোহনবাগান ক্লাব তার জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি । স্বাভাবিকভাবেই জ্যোতিষ গুহ চুনী গোস্বামীর আবেগের জায়গায় আঘাত করে কাজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু আঠারোর যুবক আবেগে ভেসে না গিয়ে পরিশ্রম করে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়াতে চেয়েছিলেন । আর তার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মোহনবাগান ক্লাবকে । বলেছিলেন, "আমি হয়তো যোগ্য নই । তাই ভারতের হয়ে খেলার জন্য বিবেচিত হইনি । তবে মোহনবাগান আমি ছাড়ব না ।" সেই দৃঢ়তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি জ্যোতিষ গুহ ।
মোহনবাগানের জন্য ইউরোপে খেলার প্রস্তাব ফিরিয়েছিলেন চুনী
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারের হয়ে চুনীকে খেলার আমন্ত্রণ পাঠিয়েছিলেন ইংরেজ ফুটবলার বিল নিকোলাস । কিন্তু সেই প্রস্তাব "মোহনবাগানের জন্যে সবকিছু ছাড়া যায়, কোনও কিছুর জন্য মোহনবাগানকে ছাড়া যায় না," এই মানসিকতায় প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তিনি ।
কলকাতা, 30 এপ্রিল: চুনী গোস্বামী মানেই ফুটবল, তাঁর ক্যারিশমা এবং মাঠ ও মাঠের বাইরের ঘটনার কোলাজ ।
সাইরেনের শব্দে তখন ঘুম ভাঙত কলকাতার । ভারত-চিন সীমান্তে যুদ্ধের দামামা । এই সময় বিরাট অঙ্কের আর্থিক প্রস্তাব এবং উপহার হিসেবে ফিয়াট গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রবাদপ্রতিম কর্তা জ্যোতিষচন্দ্র গুহ । একসময় বাংলাদেশের ময়মনসিংহের বাসিন্দা ছিলেন চুনী গোস্বামীরা । ফলে লাল-হলুদের দোর্দণ্ডপ্রতাপ কর্তাকে আপ্যায়ন করে বসিয়েছিলেন চুনী গোস্বামীর বাবা । দলবদলের মরশুম তখন । প্রথমেই ছেলেকে লাল-হলুদ জার্সি পরার প্রস্তাব দিলেন জ্যোতিষবাবু । সেই সময় ফুটবলারদের ক্লাবে খেলার ব্যাপারে অভিভাবকদের মত গুরুত্ব পেত । কিন্তু সিনিয়র গোস্বামী বললেন, এই বিষয়ে বলাই দাস চট্টোপাধ্যায়ের কথাই তাঁর ছেলে মেনে চলে । বলাই চট্টোপাধ্যায় ছিলেন চুনী গোস্বামীর গুরু ।
আঠারো বছরের যুবকের সঙ্গে তখন সরাসরি কথা বললেন জ্যোতিষ গুহ । তাঁর দীর্ঘদেহী, পেশিবহুল চেহারা প্রমাণ করে ফুটবল খেলার জন্য এই চেহারাই আদর্শ । ক্লাব এবং রাজ্যের হয়ে দাপিয়ে খেললেও চুনী গোস্বামীর নাম তখনও মেলবোর্নে অলিম্পিকগামী ভারতীয় দলের জন্য বিবেচিত হয়নি । মোহনবাগান ক্লাব তার জন্য কোনও উদ্যোগ নেয়নি । স্বাভাবিকভাবেই জ্যোতিষ গুহ চুনী গোস্বামীর আবেগের জায়গায় আঘাত করে কাজ হাসিল করতে চেয়েছিলেন । কিন্তু আঠারোর যুবক আবেগে ভেসে না গিয়ে পরিশ্রম করে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়াতে চেয়েছিলেন । আর তার মঞ্চ হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন মোহনবাগান ক্লাবকে । বলেছিলেন, "আমি হয়তো যোগ্য নই । তাই ভারতের হয়ে খেলার জন্য বিবেচিত হইনি । তবে মোহনবাগান আমি ছাড়ব না ।" সেই দৃঢ়তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি জ্যোতিষ গুহ ।