কলকাতা,২৮ মে: প্রত্যাশিতভাবেই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পাঠানোর চিঠির জবাব দিলেন হরিমোহন বাঙ্গুর । তবে আলোচনার দরজা খোলা রাখার ইঙ্গিত চিঠির বয়ানে । ক্লাবের চিঠির প্রত্যুত্তর দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও শিবাজী সমাদ্দার । তবে চিঠির বয়ানে কি রয়েছে তা প্রকাশ করতে তিনি নারাজ । চিঠিটি ক্লাব সহ-সভাপতি রূপক সাহাকে দেওয়া হয়েছে । চিঠির তলায় স্বাক্ষর এসসি ইস্টবেঙ্গলের সিইও কর্ণেল শিবাজী সমাদ্দারের । চিঠিতে বলা হয়েছে, মউ এবং চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে তফাৎ কোথায় রয়েছে তা পরিষ্কার করে জানানো হোক ।
যদি সত্যিই ফারাক থাকে তাহলে বদল করা হবে, প্রয়োজনে ফিরিয়ে নেওয়া হবে । এই সময়টা যে চূড়ান্ত সময় তা বুঝে নেওয়া প্রয়োজন । যদিও বিশ্বস্ত সূত্র বলছে, লাল হলুদের বিনিয়োগ সংস্থার কর্ণধার চিঠিতে কোনও দিনক্ষণের লক্ষণরেখায় ক্লাবকে বাঁধতে চাননি । বদলে চূড়ান্ত চুক্তিপত্রে ক্লাব স্বাক্ষর করতে রাজি আছে কিনা তা জানতে চেয়েছেন । অরাজি থাকলেও তা জানিয়ে দিতে বলেছেন । তার পরিপ্রেক্ষিতে এফএসডিএলকে বাঙ্গুর গোষ্ঠী পরবর্তী পদক্ষেপ জানিয়ে দেবে বলে ক্লাবকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে । বল ক্লাবের কোর্টে রেখে চুক্তি বিতর্কে খেলতে চাইছেন হরিমোহন বাঙ্গুর । পাশাপাশি তিনি ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হতে পারেন তারও জোরালো ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন। বলছেন, চুক্তি যেহেতু মুখ্যমন্ত্রীর সামনে হয়েছিল তাই পুরোটা তাঁর জানা প্রয়োজন । তবে আশা করছেন ক্লাব দ্রুত ইতিবাচক সাড়া দেবে । না হলে দল গঠন করে আইএসএলে অংশগ্রহণ কঠিন হবে । তবে এখনই কেন হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রীর শরণাপন্ন? বাঙ্গুর গোষ্ঠীর কর্ণধার বলছেন, ‘‘করোনা পরিস্থিতি এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ সমস্যা সমাধানে মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত । তবে ভবিষ্যতে যদি বিদায় বিচ্ছেদ হয় তাহলে তাঁর শরণাপন্ন হতে হবে ।’’
আরও পড়ুন: বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ড্র বা টাই হলে যুগ্ম বিজয়ী : আইসিসি
এই চিঠি পাওয়ার পরে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কর্তারা আলোচনায় বসেছেন । ইতিমধ্যে তাঁরা বলেছেন, মোহনবাগান এবং এটিকে যে মডেলে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তা করলে চূড়ান্ত স্বাক্ষরে সমস্যা নেই । হরিমোহন বাঙ্গুর বলেছেন এই ক্ষেত্রে দুটো প্রেক্ষাপট আলাদা, তুলনা চলে না। ক্লাবের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার বলছেন, ‘‘চিঠি পেয়েছেন । সমস্যা কোথায় তা যদি বিনিয়োগ সংস্থা বুঝতে না পারে তাহলে আলোচনার টেবিলে বসা হোক । তাহলে সমস্যা দূর হবে । না হলে ধরে নেব ক্লাবের কাঁধে বন্দুক রেখে বিনিয়োগ সংস্থা পালিয়ে যেতে চাইছে ।" বক্তব্য এবং পাল্টা বক্তব্যে চিঠি বিতর্ক দীর্ঘায়িত । ক্লাব কর্তারা কেন সরাসরি হরিমোহন বাঙ্গুরকে ফোন করছেন না সেই ধন্দ পরিষ্কার নয় ।তবে যাই হোক না কেন আদতে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা সদস্য-সমর্থকরা হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছেন ।