দেরাদুন (উত্তরাখণ্ড), 13 সেপ্টেম্বর: কিশোরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় দোষীসাব্যস্ত উত্তরাখণ্ডের উঠতি ক্রিকেটার সুমিত জুয়ালকে 10 বছরের কারাদণ্ড ৷ স্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক পঙ্কজ তোমর আজ উত্তরাখণ্ডের ওই ক্রিকেটারকে দোষীসাব্যস্ত করেন এবং 10 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ৷ সঙ্গে 10 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ 2017 সালের 9 ডিসেম্বরের এই ঘটনায় মৃত কিশোরীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল ৷
এই মামলায় সরকারি আইনজীবী কিশোর সিং জানিয়েছেন, মোট 10 জন সাক্ষী এবং অন্যান্য তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্ত সুমিত জুয়ালকে দোষীসাব্যস্ত করেন ৷ তাঁকে 10 বছরের কারাদণ্ড এবং 10 হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷ আইনজীবী জানিয়েছেন, 2017 সালের 6 ডিসেম্বর ক্লেমেন্টটাউনের বাসিন্দা এক কিশোরী আত্মহত্যা করেন ৷ কেন কিশোরী আত্মহত্যা করলেন ? তা জানতে তার বাবা কিশোরীর ঘরে তল্লাশি চালান ৷
সেখানেই ফোনে সুমিত জুয়ালের সঙ্গে মেয়ের শেষ কথোপকথনের তথ্য পান ৷ দু’জনের মধ্যে মেসেজে কথা হয়েছিল ৷ সেখানে ওই কিশোরী লিখেছিলেন, ‘‘সুমিত তুমি বদলাবে না... বিদায় ৷’’ এমনকি মেয়ের ডায়রিতেও উত্তরাখণ্ডের ক্রিকেটার সুমিত জুয়ালের সম্পর্কে নানান কথা লেখা ছিল ৷ সেই সব তথ্য হাতে পাওয়ার পর কিশোরীর বাবা 2017 সালের 15 ডিসেম্বর ক্লেমেন্টটাউন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ৷
আরও পড়ুন: ওয়ান-ডে'তে সাফল্যের সরণিতে প্রত্যাবর্তন, নেপথ্য কারণ জানালেন কুলদীপ
পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারেন, সুমিত ওই কিশোরীকে খেলায় অংশগ্রহণ করানোর নামে বাইরে নিয়ে যেতেন ৷ আর কিশোরীর অভিভাবকদের কাছে সেই সংক্রান্ত ভুয়ো চিঠি পেশ করতেন অনুমতির জন্য ৷ যেখানে কোচের নাম থাকলেও, যে ফোন নম্বর সুমিতের দেওয়া থাকত ৷ মূলত কিশোরীকে বাইরে নিয়ে গিয়ে শোষণ করতেন বলে তদন্তে জানতে পারে পুলিশ ৷ সমস্ত প্রমাণ এবং সাক্ষীদের বয়ানের ভিত্তিতে পুলিশ সুমিত জুয়ালকে গ্রেফতার করে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ৷
এর পর দীর্ঘ শুনানিতে 10 জন সাক্ষীর সাক্ষ্য এবং প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তকে 10 বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ জানা গিয়েছে, সম্প্রতি তিনি উত্তরাখণ্ডের সিনিয়র দলের ক্যাম্পে সুযোগ পেয়েছিলেন ৷ তবে, তার আগে 2 বছর তার ক্রিকেট খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বিসিসিআই ৷ উত্তরাখণ্ডের অনূর্ধ্ব-19 দল বাছাইয়ে বয়স কম দেখানোর অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয় ৷