ETV Bharat / sports

Titas Shines in U-19 World Cup: ছেলেদের ক্রিকেটে খেলিয়ে তিতাসকে তৈরি করিয়েছিলেন কোচ প্রিয়ঙ্কর

হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাস সাধু ৷ যিনি আজ অনূর্ধ্ব-19 মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্য়াচের সেরা (Titas Shines in U-19 World Cup) ৷ তাঁকে নিয়ে বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় তথা তাঁর কোচ জানালেন, 'ও মহিলা ক্রিকেটার হলেও নিয়মিত ছেলেদের সঙ্গে খেলাতাম।' সেইসঙ্গে তিতাসের এই পারফরম্য়ান্স নিয়ে বললেন, 'ওকে দেখেই মনে হয়েছিল ও লম্বা রেসের ঘোড়া ৷'

Titas Sadhu
প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় ও তিতাস সাধু
author img

By

Published : Jan 29, 2023, 11:07 PM IST

কলকাতা, 29 জানুয়ারি: ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেই অনন্য তিতাস সাধু ৷ অনূর্ধ্ব-19 মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে (U-19 Womens T20 World Cup Final) বাংলার মেয়ের দাপুটে পারফরম্যান্সেই পরাজিত ইংল্যান্ড। হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাসের বাবা রণজিৎ সাধু নিজেও ছিলেন অ্যাথলিট। তবে ক্রীড়াবিদের মেয়ে ক্রিকেটে আগ্রহী। তার ক্রিকেট প্রতিভা প্রথম নজরে পড়ে বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি। মহিলা ক্রিকেটার হলেও তিতাসকে নিয়মিত ছেলেদের সঙ্গে খেলাতেন কোচ।

"অনূর্ধ্ব-15, অনূর্ধ্ব-17 বিভাগের টুর্নামেন্টে তিতাস ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন রাতের দিকে ওর সঙ্গে কথা হত। ফাইনালের আগেও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই সাফল্য দেখে ভালো লাগছে। অদ্ভুত একটা তৃপ্তি" বললেন, প্রিয়ঙ্কর। প্রায় একইসঙ্গে যোগ করলেন, "গড়ে তুলতে একটা পরিবেশ পরিস্থিতি দরকার। তিতাসকে দেখে মনে হয়েছিল লম্বা রেসের ঘোড়া। তখনই আমি শিবশঙ্কর পালকে দেখতে বলেছিলাম। সেই ভরসা যে মিথ্যে ছিল না তা দেখা যাচ্ছে।"

তিন বঙ্গকন্যার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-19 মহিলাদের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে কার্যত গুড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। তিন বাঙালি ক্রিকেটার রিচা ঘোষ, ঋষিতা বসু ও তিতাস সাধু। এই 3 ক্রিকেটারকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পাল। তিন বিশ্বজয়ীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলা মহিলা দলের প্রাক্তন কোচও। শিবশঙ্কর বলেন, "ঝুলনের পর মেয়েদের ক্রিকেটে আরও বাঙালি ক্রিকেটার উঠে আসছেন। সেটা দারুণ ব্যাপার।"

Titas Sadhu
বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিতাস সাধু

ফাইনালে দারুণ বল করেছেন বাংলার তিতাস সাধু। চার ওভারে মাত্র ছ'রান দিয়ে দু'টি উইকেট তুলে নেন বাংলার মেয়ে। কীভাবে তিতাসকে তুলে এনেছিলেন? শিবশঙ্কর বলছেন, "তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় আমায় জানায় ওর কথা। আমি পাঠাতে বলি। নেটে ওর বোলিং দেখি। ওর বোলিং দেখে আমার ভালো লাগে। এখন কিছু নিয়ম রয়েছে। সেটা মেনেছি। সেই সময় সিএবি সভাপতি ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। দেবব্রত দাস তখন যুগ্ম সচিব। সবার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের রাজি করাই। তারপর ওকে নেওয়া হয় দলে। তারপর থেকেই ভালো খেলছে ও।"

আরও পড়ুন: আত্মপ্রকাশেই চ্যাম্পিয়ন, অনূর্ধ্ব-19 কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে সেরা ভারতের মেয়েরা

তিতাসকে বাংলা দলে নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও কৃতিত্ব দাবি করতে নারাজ শিবশঙ্কর। তিবি এ নিয়ে বলেন, "আমি কাউকে দলে নিতে পারি। তবে খেলার দায়িত্ব তো ওর। ও সেটাই দারুণভাবে করে গিয়েছে। আমরাও অনেক সময় ভুল করে ফেলি এটা ঠিক। ওরা ভালো খেলছে দেখলেই ভালো লাগে। মনে হয় ঠিক ক্রিকেটার নির্বাচন করেছি বলে।" প্রিয়ঙ্করের সঙ্গে নিয়মিত কথা হলেও বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে তিতাসের সঙ্গে কথা হয়নি শিবশঙ্করের। তবে তা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই বাংলার মহিলা দলের প্রাক্তন কোচের। তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে রিচা ছাড়া আর কারও সঙ্গে কথা হয় না। দুই বছর আগে দায়িত্ব ছেড়েছি। তারপর থেকে খুব একটা কথা হয় না। তবে দেখতে ভালো লাগে ওরা ভালো খেলছে।" ঝুলন গোস্বামীর ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলানোর উত্তরসূরিরা চলে আসছে। যা দেখে তৃপ্তি সিএবিজুড়ে।

কলকাতা, 29 জানুয়ারি: ছেলেদের সঙ্গে প্র্যাকটিস করেই অনন্য তিতাস সাধু ৷ অনূর্ধ্ব-19 মেয়েদের বিশ্বকাপ ফাইনালে (U-19 Womens T20 World Cup Final) বাংলার মেয়ের দাপুটে পারফরম্যান্সেই পরাজিত ইংল্যান্ড। হুগলির চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাসের বাবা রণজিৎ সাধু নিজেও ছিলেন অ্যাথলিট। তবে ক্রীড়াবিদের মেয়ে ক্রিকেটে আগ্রহী। তার ক্রিকেট প্রতিভা প্রথম নজরে পড়ে বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন তিনি। মহিলা ক্রিকেটার হলেও তিতাসকে নিয়মিত ছেলেদের সঙ্গে খেলাতেন কোচ।

"অনূর্ধ্ব-15, অনূর্ধ্ব-17 বিভাগের টুর্নামেন্টে তিতাস ম্যান অফ দ্য ম্যাচ, ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছে। বিশ্বকাপ চলাকালীন রাতের দিকে ওর সঙ্গে কথা হত। ফাইনালের আগেও হয়েছে। শেষ পর্যন্ত এই সাফল্য দেখে ভালো লাগছে। অদ্ভুত একটা তৃপ্তি" বললেন, প্রিয়ঙ্কর। প্রায় একইসঙ্গে যোগ করলেন, "গড়ে তুলতে একটা পরিবেশ পরিস্থিতি দরকার। তিতাসকে দেখে মনে হয়েছিল লম্বা রেসের ঘোড়া। তখনই আমি শিবশঙ্কর পালকে দেখতে বলেছিলাম। সেই ভরসা যে মিথ্যে ছিল না তা দেখা যাচ্ছে।"

তিন বঙ্গকন্যার হাত ধরে বিশ্বকাপ জিতল ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-19 মহিলাদের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে কার্যত গুড়িয়ে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল ভারত। তিন বাঙালি ক্রিকেটার রিচা ঘোষ, ঋষিতা বসু ও তিতাস সাধু। এই 3 ক্রিকেটারকেই খুব কাছ থেকে দেখেছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পাল। তিন বিশ্বজয়ীকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত বাংলা মহিলা দলের প্রাক্তন কোচও। শিবশঙ্কর বলেন, "ঝুলনের পর মেয়েদের ক্রিকেটে আরও বাঙালি ক্রিকেটার উঠে আসছেন। সেটা দারুণ ব্যাপার।"

Titas Sadhu
বাংলার রঞ্জি দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিতাস সাধু

ফাইনালে দারুণ বল করেছেন বাংলার তিতাস সাধু। চার ওভারে মাত্র ছ'রান দিয়ে দু'টি উইকেট তুলে নেন বাংলার মেয়ে। কীভাবে তিতাসকে তুলে এনেছিলেন? শিবশঙ্কর বলছেন, "তিতাসের কোচ প্রিয়ঙ্কর মুখোপাধ্যায় আমায় জানায় ওর কথা। আমি পাঠাতে বলি। নেটে ওর বোলিং দেখি। ওর বোলিং দেখে আমার ভালো লাগে। এখন কিছু নিয়ম রয়েছে। সেটা মেনেছি। সেই সময় সিএবি সভাপতি ছিলেন অভিষেক ডালমিয়া। দেবব্রত দাস তখন যুগ্ম সচিব। সবার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের রাজি করাই। তারপর ওকে নেওয়া হয় দলে। তারপর থেকেই ভালো খেলছে ও।"

আরও পড়ুন: আত্মপ্রকাশেই চ্যাম্পিয়ন, অনূর্ধ্ব-19 কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে সেরা ভারতের মেয়েরা

তিতাসকে বাংলা দলে নেওয়ার জন্য আলাদা কোনও কৃতিত্ব দাবি করতে নারাজ শিবশঙ্কর। তিবি এ নিয়ে বলেন, "আমি কাউকে দলে নিতে পারি। তবে খেলার দায়িত্ব তো ওর। ও সেটাই দারুণভাবে করে গিয়েছে। আমরাও অনেক সময় ভুল করে ফেলি এটা ঠিক। ওরা ভালো খেলছে দেখলেই ভালো লাগে। মনে হয় ঠিক ক্রিকেটার নির্বাচন করেছি বলে।" প্রিয়ঙ্করের সঙ্গে নিয়মিত কথা হলেও বিশ্বকাপ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকা উড়ে যাওয়ার আগে তিতাসের সঙ্গে কথা হয়নি শিবশঙ্করের। তবে তা নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই বাংলার মহিলা দলের প্রাক্তন কোচের। তিনি বলেন, "আমার সঙ্গে রিচা ছাড়া আর কারও সঙ্গে কথা হয় না। দুই বছর আগে দায়িত্ব ছেড়েছি। তারপর থেকে খুব একটা কথা হয় না। তবে দেখতে ভালো লাগে ওরা ভালো খেলছে।" ঝুলন গোস্বামীর ছেড়ে যাওয়া জুতোয় পা গলানোর উত্তরসূরিরা চলে আসছে। যা দেখে তৃপ্তি সিএবিজুড়ে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.