কলকাতা, 6 নভেম্বর: পুজো শেষে প্রতিমা শূন্য মণ্ডপের অবস্থা যেমন হয়, তেমনই অবস্থা সিএবি'র। চলতি বিশ্বকাপের একটি সেমিফাইনাল-সহ মোট 5টি ম্যাচ রয়েছে ইডেনে। এর মধ্যে গ্রুপ পর্যায়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচটি হয়ে গেল রবিবার। মুখোমুখি হয়েছিল ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা । ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে ৷ বিরাট কোহলি তাঁর জন্মদিনে 49তম সেঞ্চুরি করে কলকাতার দর্শককে রিটার্ন গিফট দিলেন ৷ সবকিছুই এক মূর্ছনা তৈরি করেছিল। পরদিন অর্থাৎ, সোমবার বিকেলে ইডেনে সেই ব্যস্ততা উধাও। ছুটি ছুটি মেজাজ এখন ক্রিকেটের নন্দনকাননে । সিংহভাগ কর্তা আসেননি। আর যাঁরা অভ্যাসবশত এসেছিলেন তারা সকলেই রবিবারের ম্যাচের কোহলির ইনিংস নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত।
ইডেনের শতরান যে স্বপ্নের মতো তা কোহলি স্বয়ং স্বীকার করেছেন । দুপুরে ভারতীয় দল নেদারল্যান্ডস ম্যাচের জন্য শহর ছাড়ল । যে ধারাবাহিক বিধ্বংসী পারফরম্যান্স কোহলি, রোহিত শর্মারা উপহার দিয়ে চলেছেন তা যে কাপ স্বপ্ন আরও জোরালো যে হচ্ছে, তা বলাই বাহুল্য । ইতিমধ্যেই ভারতীয় দলের সাজঘরে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ জয়ের পরে উৎসব হয়েছে । তবে তা লাগামছাড়া নয় ।
বিরাট কোহলির জন্মদিন উপলক্ষে হয়েছে কেক কাটিং সেরিমনি ৷ ম্যাচের সেরা বার্থডে বয় বিরাট কোহলিকে কেক খাইয়ে দেন 5 উইকেট নেওয়া রবীন্দ্র জাদেজা । ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে জাদেজা জানিয়েছেন, ভারতের জার্সিতে প্রতিদিনই জন্মদিন । আরও গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ আসছে । আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে তিনি মাঠে নামতে চান । প্রায় একইসঙ্গে তিনি যোগ করেছেন সামনের ম্যাচগুলো গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে । তাই ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ চাপে পড়ে যাক, সেটাই তারা চাইছেন । রবীন্দ্র জাদেজার মতে, তাঁরা একটি করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান । যে ছন্দে দল খেলছে তা সেমিফাইনাল এবং পরবর্তী ম্যাচেও ধরে রাখতে চান ।
আরও পড়ুন: এই বিশ্বকাপে বিরাটের সেরাটা আসা এখনও বাকি, মত পন্টিংয়ের
এদিকে ট্র্যাভেল ডে'র পরের দিন পাকিস্তান দলের সোমবার ছিল রেস্ট ডে। এই কারণে পুরো দল হোটেলেই । শহরের কোনও জায়গায় বেরনোর কোনও পরিকল্পনা ছিল না ক্রিকেটাদের। সুইমিং, জিম সেশন রুটিন মাফিকই সারলেন তাঁরা । হোটেলের সুইমিং পুলের ধারে জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো হয়েছে । সেখানেই পুল সেশন চলাকালীন বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দেখলেন বাবর আজমরা । হ্যারিস রউফ চোট পাওয়া হাতে শুশ্রূষা করতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গিয়েছিলেন । সন্ধ্যায় টিম মিটিংয়ের পরে দলের অনুশীলনের সূচি তৈরি হলেও তা জানানো হয়নি । আপাতত পাকিস্তান দল শুধুমাত্র ক্রিকেটে মনোসংযোগ করতে চাইছে ।