হায়দরাবাদ, 5 অক্টোবর: সচিন রমেশ তেন্ডুলকর ও রাহুল শরদ দ্রাবিড় ৷ ভারতের দুই কিংবদন্তির নামের মিশেলে ছেলের নামকরণ করেছিলেন রবীন্দ্রর বাবা ৷ রাচিন আসলে রাহুলের ‘রা’ ও সচিনের ‘চিন’-এর সংমিশ্রণ ৷ বিশ্বকাপের মঞ্চে এদিন নজর কাড়লেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যাটার ৷ কিউয়িদের হয়ে চলতি বছরে অভিষেক হওয়া রাচিন রবীন্দ্রের এটাই প্রথম ওয়ান ডে শতরান ৷ বিশ্বকাপের মঞ্চে কেরিয়ারের প্রথম শতরানে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন সচিন-রাহুলের যুগলবন্দি ৷
চলতি বছরেই ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ডেবিউ হয়েছে রবীন্দ্রর ৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বলতে 13টি ম্যাচ ৷ কোঁকড়া চুলের সেই ছেলের সামনেই এদিন খাবি খেল ক্রিস ওকস, মার্ক উডরা ৷ বেঙ্গালুরুতে জন্ম ও বেড়ে ওঠা রবীন্দ্রর ৷ বাবা-মা নিউজিল্যান্ডে পাড়ি দেওয়ার আগে বেঙ্গালুরুতে ক্লাব স্তরের ক্রিকেটে হাতেখড়ি ৷ 2019 বিশ্বকাপ ফাইনালে বেঙ্গালুরুর স্পোর্টস বারে বসে কিউয়িদের পরাজয় চাক্ষুষ করেছিলেন রাচিন ৷
এদিন প্রথমে ব্যাট করে 282 রানের বড় ইনিংস গড়েছিল ‘থ্রি লায়ন্স’ ৷ রান তাড়া করতে নেমেই ফিরেছিলেন ইয়ং ৷ ধারেভারে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ড শুরুতেই ম্যাচের রাশ কার্যত হাতে তুলে নিয়েছিল ৷ সেখান থেকেই এদিন ম্যাচের মোড় 360 ডিগ্রি ঘুরিয়ে দেয় কনওয়ে-রবীন্দ্র জুটি ৷ কনওয়ে অপারজিত থাকেন 152 রানে ৷ ইনিংসে রয়েছে 19টি চার ও 3টি ছয় ৷ রবীন্দ্রর ইনিংস সাজানো 11টি চার ও 5টি ছয়ে ৷
নিউজিল্যান্ডের থেকে বেশিবার বাউন্ডারিতে বল পাঠিয়ে 2019 বিশ্বকাপের ফাইনালে বাজিমাত করেছিল ইংরেজরা ৷ এদিন কনওয়ে-রাচিন মিলে সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের থেকে 4টি বেশি বাউন্ডারি হাঁকালেন ৷ ‘বদলার’ ম্যাচ না-হলেও, এই ম্যাচ জিতে ফাইনালের সেই দুঃখ খানিক ঘোচাতে বদ্ধপরিকর ছিল ‘কেন অ্যান্ড কোং’ ৷ 2019 বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের স্কোয়াডেই ছিলেন না এই দুই ব্যাটার ৷ তাঁদের ব্যাটেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই বাজিমাত করল নিউজিল্যান্ড ৷
আরও পড়ুন: বিধ্বংসী কনওয়ের দোসর রাচিন রবীন্দ্র, বিশ্বকাপের উদ্বোধনেই ঝলমলে ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’