কলকাতা, 25 জুন: ক্রিকেট মরশুমে প্রথম ট্রফি পেল মোহনবাগান। শনিবার ইডেনে ভবানীপুরকে এক উইকেটে হারিয়ে পি সেন ট্রফি জিতল সবুজ-মেরুন। 6 বছর পরে ঐতিহ্যবাহী পি সেন ট্রফি আয়োজন করেছিল সিএবি। আর সেই ট্রফি গেল সবুজ-মেরুন শিবিরে। 22 গজের লড়াইয়ে জয়লাভ করে সবুজ-মেরুন শিবিরে খুশির হাওয়া। দশ দলের প্রতিযোগিতা জিততে অংশগ্রহণকারী দলগুলো আইপিএলের নজরকাড়া ক্রিকেটারদের নিয়ে এসে দল গড়তে কসুর করেনি। ফাইনালে মোহনবাগানের জয়ে শাকির হাবিব গান্ধি বড় ভূমিকা নিলেন। তাঁর অপরাজিত 157 রানই ভবানীপুরের রানের পাহাড় সহজেই টপকাতে সাহায্য করল।
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
দিনরাতের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভবানীপুর 49 ওভারে সাত উইকেটে 352 রান তোলে। অভিষেক রামনের 74, অনুষ্টুপ মজুমদারের 71 এবং চিরাগ জানির 42 বলে 60 রান বড় ইনিংস গড়তে সাহায্য করে। মোহনবাগানের হয়ে 60 রানে তিন উইকেট নেন সুনীল দালাল। প্রত্যুত্তরে ব্যাট করতে নেমে মোহনবাগান সমস্যায় পড়লেও শাকির দলের ইনিংস টানতে থাকেন। 12 ওভারে 88 রানে তিন উইকেট পড়ে গিয়েছিল মোহনবাগানের। এই সময় শাকির মাথা ঠান্ডা রেখে ইনিংস গড়তে থাকেন।
আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা বজায় রেখে নিজের সেরাটা দেওয়াই লক্ষ্য যস্বশী জয়সওয়ালের
ললিত যাদব দারুণ শুরু করলেও বড় ইনিংস গড়তে ব্যর্থ। মাত্র 45 রানে আউট হয়ে যান। তবে নিয়মিত উইকেট পড়লেও শাকির পিচ আঁকড়ে জয়ের সোপান গড়তে থাকেন। ভবানীপুরের হয়ে তিন উইকেট নেন রাজকুমার পাল। মরশুমের প্রথম ট্রফি ঢুকল গোষ্ঠ পাল সরণীতে। চলতি মরশুমে তথাকথিত দুই প্রধান ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সুবিধা করতে পারেনি।
সেদিক থেকে পি সেন ট্রফি ছিল মোহনবাগানের সম্মান রক্ষার লড়াই। ইডেনে ভবানীপুরের বড় রান তাড়া করতে নেমে মোহনবাগান তাই প্রাথমিক ঝটকা সামলেও হাল ছাড়েনি। সেই নাছোড় মনোভাব প্রতিফলিত শাকিরের ব্যাটে। যা শেষ পর্যন্ত জয়ে পরিণত হয়। 6 বছর পর পি সেন ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় খুশির আমেজ বাগান শিবিরে।