নয়াদিল্লি , 13 জুলাই : হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার যশপাল শর্মা ৷ বয়স হয়েছিল 66 বছর ৷ 1983-এর বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি ৷
পঞ্জাবের এই ক্রিকেটারটি দেশের হয়ে 37টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন ৷ খেলেছেন 42টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ ৷ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটাররা ৷
ভারতীয় এই ক্রিকেটারকে বলা হত আইডিয়াল ম্যান ফর ক্রাইসিস । তাঁর দৃঢ় রক্ষণাত্মক ব্যাটিং শৈলী যে কোনও বোলিং আক্রমণকে ভোঁতা করে দিত । 1977-78 মরশুমে দলীপ ট্রফিতে সাউথ জ়োনের বিপক্ষে নর্থ জ়োনের হয়ে 173 রান করেন । সেই পারফরমেন্স তাঁকে জাতীয় দলের সুযোগ এনে দেয় ।
পরের বছর জাতীয় দলের হযে পাকিস্তান সফরে গিয়েছিলেন , কিন্তু সেবার যশপাল প্রথম এগারোয় সুযোগ পাননি । 1979 সালে ইংল্যান্ড সফরে তিন টেস্টে সুযোগ পান যশপাল । 1979-80 সালে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন । নয়াদিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম শতরানও পান তিনি । 1981-82 মরশুমে ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন যশপাল ৷ ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গুন্ডাপ্পা বিশ্বনাথের সঙ্গে 316 রানের পার্টনারশিপ গড়েছিলেন ৷ সেই পার্টানারশিপে যশপাল করেছিলেন 140 রান ৷ সেবার টেস্টের তৃতীয় দিন ক্রিজ আকঁড়ে ছিলেন এই দুই ভারতীয় ৷ যা এখন বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম নজির ৷
পর পর কয়েক মরশুমে ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়ে 1983 সালের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে জায়গা করে নেন যশপাল । তাঁর ব্যাটিং ও অসাধারণ রানিং বিটুইন দ্য উইকেট ভারতের প্রথম বিশ্বজয়ের অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল ।
1983 সালের বিশ্বকাপের পরই যশপালের ফর্ম হঠাৎ হারিয়ে যায় । 1983-84 সালে পাকিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজে আশা জাগিয়েও ভাল খেলতে পারেননি । ফলস্বরূপ বাদ পড়েন দল থেকে । 1985 সালে চণ্ডীগড়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় দলের হয়ে শেষ এক দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি । জাতীয় দলের হয়ে 42 টি একদিনের ম্যাচে 883 রান করেছিলেন যশপাল । 37 টি টেস্টে তাঁর সংগ্রহ 1 হাজার 606 রান ।
আরও পড়ুন : INDW vs ENGW : ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্লো ওভার রেট , জরিমানা ভারতীয় মহিলা দলের
জাতীয় দলে সুযোগ না পালেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্জাব ও হরিয়ানার হয়ে নিয়মিত খেলে গেছেন যশপাল । 1992-93 মরশুমে অবসর নেন তিনি । এরপর বেশ কয়েক বছর বিভিন্ন দলে কোচিং করিয়েছিলেন তিনি । এর জাতীয় দলের সিলেক্টরও ছিলেন বেশ কয়েক বছর । প্রথম দফায় 2005 সালের ডিসেম্বর ও দ্বিতীয় দফায় 2008 সাল থেকে 2009 পর্যন্ত সিলেক্টর ছিলেন । পরে তাঁকে দেখা গিয়েছে ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় ।