কলকাতা, 10 এপ্রিল: রাতভর জয়ের উৎসব পালন করে এবার নতুন লক্ষ্যে কলকাতা নাইট রাইডার্স । চলতি সপ্তাহে ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ । এদিকে ধীরে ধীরে দল গুছিয়ে নিচ্ছে কেকেআর । জেসন রয় হায়দরাবাদেই দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন । বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার লিটন দাসও কলকাতায় চলে এসেছেন । ফলে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের হাতেও এখন একাধিক বিকল্প । পরপর দুটো ম্যাচে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের ফায়দা পেয়েছে নাইটরা । ভেঙ্কটেশ আইয়ারের তৈরি মঞ্চে জয়ের স্কাইস্ক্যাপার গড়েছেন রিঙ্কু সিং ।
একইভাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে নেমে বল হাতে কামাল দেখিয়েছিলেন সুয়াশ শর্মা । এবার জেসন রয়, লিটন দাস যোগ দিয়েছেন । রানে ফিরেছেন অধিনায়ক নীতিশ রানা । চিন্তা শুধু ক্যারিবিয়ান অল-রাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলকে ঘিরে । চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ইতিমধ্যে রাসেলের সঙ্গে কথা বলেছেন । সামনের ম্যাচে ইডেনে রাসেলের বদলে দু'জন নয়া বিদেশি ব্যাটারের একজনকে দেখা যাবে কি না, সময় বলবে । সোমবার রাতে শহরে পৌঁছছে নাইটরা ।
আগামিকাল ঐচ্ছিক অনুশীলন রাখা হতে পারে । আপাতত জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে জোড়া জয়ের হ্যাংওভার কাটিয়ে নতুন স্ট্যান্স নিতে চাইছে কেকেআর । এদিকে রিঙ্কু সিংকে নিয়ে আনন্দের মাঝে যশ ধুলের পাশে দাঁড়ালো কলকাতা নাইট রাইডার্স । শেষ ওভারে রিঙ্কু সিংয়ের পাঁচ ছক্কা মেরেছেন অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের পেসারের বিরুদ্ধে । ছক্কার ধাক্কায় পিচেই হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন যশ ধুল ।
গুজরাত টাইটান্সের সতীর্থরা তাঁকে সান্ত্বনা দেন । এবার সহমর্মিতার হাত বাড়ালো কলকাতা নাইট রাইডার্সও । সামাজিক মাধ্যমে যশ ধুলকে সান্ত্বনা দিয়ে তারা লিখেছে, "মাথা উঁচু করে এগিয়ে চলো বন্ধু । এটা অফিসে একটা খারাপ দিনের মতো । বিশ্বের সেরা ক্রিকেটারদের সঙ্গেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে । তুমি আদতে একজন চ্যাম্পিয়ন । আশা করছি আরও শক্তিশালী হয়ে প্রত্যাবর্তন করতে পারবে ।"
যশ ধুলের মধ্যে নিজেকে খুঁজে পাচ্ছেন প্রাক্তন ফুটবলার ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় । 1975 সালের বড় ম্যাচে মোহনবাগানের গোলে দাঁড়িয়ে চার গোল হজম করে ছিলেন ভাস্কর । 5-0 গোলে সেই বড় ম্যাচ জিতেছিল । সেদিনের ঘটনার সঙ্গে রবিবারের মোতেরার ঘটনার তুলনাটা হয়তো মনে হতে পারে মানানসই নয় । কারণ ক্রিকেট এবং ফুটবলের তুলনা চলে না । তবুও একজন ক্রীড়াবিদ হিসেবে ভাস্কর মনে করেন প্রত্যাবর্তন সম্ভব । "খেলার মাঠ এবং জীবন সবকিছুতেই মানসিক দৃঢ়তা সবচেয়ে জরুরি । ব্যর্থতা ক্রীড়াবিদদের জীবনের অংশ । আজ যারা অন্ধকারে ছুঁড়ে দিচ্ছে ভালো খেললে তারাই মাথায় তুলে নাচবে । তাই ভুল কোথায় হয়েছে তা সঠিকভাবে বিচার করে খুঁজে বের করে চেষ্টা করতে হবে । আমিও বাড়তি পরিশ্রমে ঘুরে দাঁড়ানোর পথ খুঁজে পেয়েছিলাম । শুনলাম যশ ছেলেটার বয়স কম । চেষ্টা করলে পারবে । যে পারে সেই চ্যাম্পিয়ন," বলছিলেন ভারতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক ।
আরও পড়ুন : বিশ্বাস ছিল পারব, সেটাই করে দেখিয়েছি: রিঙ্কু