আবু ধাবি, 8 নভেম্বর : রবিবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শেষ হতে চলেছে একটি দলের ৷ অপর দলের কাছে ফাইনাল খেলার হাতছানি ৷ প্রায় দুই মাস লড়াইয়ের পর শেষ পর্যায়ে কোটিপতি লিগ ৷ তবে শেষ পাঁচটি ম্যাচের 4টিতে হেরেছে দিল্লি ক্যাপিটালস ৷ অন্যদিকে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ৷ যারা পরপর চারটি ম্যাচ জিতেছে ৷ আবু ধাবিতে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বল গড়ানোর আগে পর্যন্ত পরিসংখ্যানটা এই রকমই ৷
পরপর দ্বিতীয়বার দিল্লি ক্যাপিটালস এমন একটি দলের মুখোমুখি, যাদেরকে টুর্নামেন্টে একবারও হারাতে পারেনি শ্রেয়স আইয়ারের দল ৷ তাই মঙ্গলবার ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিায়ন্সের মুখোমুখি হতে গেলে হিসেবটা পালটাতে হবে শ্রেয়স, ঋষভদের ৷ তবে কথাটা মুখে বলা যতটা সহজ, কাজে করে দেখানোটা কিন্তু ততটাই কঠিন ৷ চলতি টুর্নামেন্টে দু’বারের সাক্ষাতে প্ল্যানিং ও কার্যকারিতায় দিল্লিকে মাত দিয়েছে হায়দরাবাদ ৷
হায়দরাবাদের পেসাররা দিল্লির বিরুদ্ধে ইনিংসের শুরুতেই উইকেট তুলে নিতে সক্ষম হয়েছে ৷ তেমনই মাঝের ওভারে দিল্লির বিরুদ্ধে ভয়ংকর হতে দেখা গেছে রশিদ খানকে ৷ 2 ম্যাচে তুলে নিয়েছেন 6টি উইকেট ৷ ব্যাটেও দিল্লি ক্যাপিটালসকে খানিকটা মাত দিয়েছে SRH ৷ দুই দলের আগের সাক্ষাৎকারেই মাত্র 45 বলে 66 রান করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার ৷ দু’বারই দিল্লির বিরুদ্ধে সফল SRH-এর ওপেনাররা ৷ একবার 77 রান ও অন্যবার 107 রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুই হায়দরাবাদি ওপেনার ৷
দিল্লির মতো দলের বিপক্ষে প্রথমদিকে ভালো শুরু করাটা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ৷ আবার হায়দরাবাদ এমন একটি দল যারা, তাদের প্রাথমিক শুরুর উপর ভিত্তি করে ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ৷ তাই সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদের চক্রব্যূহ ভাঙতে রিকি পন্টিংয়ের প্রধান লোক অবশ্যই কাগিসো রাবাডা ৷ অন্যদিকে রাবাডা যখনই ভালো শুরু করেছে দিল্লি সেই ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত দিল্লি খারাপ ফর্ম থেকে ফিরে আসার লক্ষণ দেখায়নি ৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে জয়ের পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে হারতে হয় শ্রেয়সের দলকে ৷
কয়েকটি ম্যাচে রাবাডাকে আগের ফর্মে পাওয়া যায়নি ৷ শেষ চারটি ম্যাচের 3টিতেই কোনও উইকেট তুলে নিতে পারেননি এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার ৷ এছাড়া রানও দিচ্ছেন তিনি ৷ একই সঙ্গে দিল্লির বোলিংয়ের কঙ্কালসার অবস্থা বারবার প্রকট হচ্ছে ৷ রাবাডা ও নর্জের পাশে তৃতীয় পেসারের অভাব বারবার দেখা যাচ্ছে ৷ ওই পজিশনে 6জন পেসারকে ব্যবহার করা হয়েছে ৷ কিন্তু তাঁরা সম্মিলিতভাবে মাত্র 7টি উইকেট তুলেছেন ৷ তাঁদের ইকোনমি ছিল 10.05 ৷
ব্যাটিংয়ে দিল্লির টপ অর্ডার আগের রাতের কথা ভুলতে চাইবে ৷ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে প্রথমবার কোনও দল শূন্য রানেই তিন উইকেট খোয়াল ৷ তবে সর্বপরি ভালো লড়াইয়ের আশায় সমর্থকরা ৷ তবে প্রশ্ন উঠছে ৷ ফের কি সমহিমায় দেখা যাবে রাবাডাকে ? নাকি ফের ব্যাট হাতে দিল্লির বিরুদ্ধে দাপট দেখাবে ডেভিড ওয়ার্নার ? অথবা বাম হাতি ওয়ার্নারে দাপট কমাতে কি অশ্বিনের উপর ভরসা করবে দিল্লি ক্যাপিটালস ? নাকি নিজেদের জয়ের ধারা বজায় রেখে ফাইনালে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখোমুখি হবে সানরাইজ়ার্স হায়দরাবাদ ? উত্তর জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ৷