ETV Bharat / sports

ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না - pacer

জিন্না মণ্ডল বাংলার ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় পেস বোলার । নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্নার বাবা পেশায় দিনমজুর । পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় জিন্নাকে । রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা, ডাবের মুচি, লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি ।

জিন্না মণ্ডল
author img

By

Published : Apr 19, 2019, 11:46 PM IST

Updated : Apr 19, 2019, 11:59 PM IST

বসিরহাট, 19 এপ্রিল : মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ অবাক হয় না । সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে । বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জানগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে । প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ-শিয়ালদা লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছোনো যাবে না । আর সময়ে না পৌঁছতে পারলে হয়ত সেদিনটা আর প্র্যাকটিস করা হবে না । সঙ্গে স্যারের বকাও হয়ত শুনতে হবে । বছর আঠারোর ছেলেটা খেলায় ফাঁকি দিতে চায় না । ক্রিকেটই তার জীবন । তাই সব কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ IPL-এ নেট বোলার হিসাবে সুযোগ জুটেছে । জিন্না মণ্ডল বাংলার ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় পেস বোলার।

ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মণ্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময় । দু'বেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই IPL-র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে । যা হয়ত কোনও চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন । বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষির ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার । ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙেছেন । কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযূষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরণ ব‍্যানার্জির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার । কলকাতা, পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চির লম্বা ছিপছিপে ছেলেটি । সম্বরণ তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না। বাবা দিনমজুর । পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় জিন্নাকে । বাবাকে সাহায্য করতে বিলে, জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না । মা জমিতে ঘাস কাটেন । গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন । রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা, ডাবের মুচি, লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি । সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু । গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ । কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় । দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না । তারই হাত ধরে হিন্দুস্থান পার্কের সম্বরণ ব্যানার্জির ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কত বছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে - এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর, "এবছর আম পাকার সময় এলে দু'বছর হবে।"

শনি রবিবার অ্যাকাডেমিতে প্র্যাকটিস । সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা । তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানখেত অথবা স্কুলের মাঠে বল-ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে জিন্না । স্কুলের হেডমাস্টারমশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন । গতবছর ন্যাশানাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মতো নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে । ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে সে । পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরণ ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন । অ্যাকাডেমির অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল । ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে ।

IPL- র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চায় জিন্না । বলের গতি বাড়ানোর দক্ষতা রপ্ত করতে চায় সে । ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ । আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারোর পেসার । প্রাথমিকভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া তার লক্ষ্য । তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন । চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযূষ চাওলার উইকেট । IPL-র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়েছে । সেই নেশাতেই গদ্যময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মণ্ডল।

বসিরহাট, 19 এপ্রিল : মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ অবাক হয় না । সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে । বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জানগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে । প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ-শিয়ালদা লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছোনো যাবে না । আর সময়ে না পৌঁছতে পারলে হয়ত সেদিনটা আর প্র্যাকটিস করা হবে না । সঙ্গে স্যারের বকাও হয়ত শুনতে হবে । বছর আঠারোর ছেলেটা খেলায় ফাঁকি দিতে চায় না । ক্রিকেটই তার জীবন । তাই সব কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ IPL-এ নেট বোলার হিসাবে সুযোগ জুটেছে । জিন্না মণ্ডল বাংলার ক্রিকেটের সম্ভাবনাময় পেস বোলার।

ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মণ্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময় । দু'বেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই IPL-র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে । যা হয়ত কোনও চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন । বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষির ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার । ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙেছেন । কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযূষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরণ ব‍্যানার্জির ক্রিকেট অ্যাকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার । কলকাতা, পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাঁচ ফুট দশ ইঞ্চির লম্বা ছিপছিপে ছেলেটি । সম্বরণ তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে ।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য়

নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না। বাবা দিনমজুর । পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় জিন্নাকে । বাবাকে সাহায্য করতে বিলে, জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না । মা জমিতে ঘাস কাটেন । গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন । রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা, ডাবের মুচি, লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি । সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু । গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ । কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় । দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না । তারই হাত ধরে হিন্দুস্থান পার্কের সম্বরণ ব্যানার্জির ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে। কত বছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে - এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর, "এবছর আম পাকার সময় এলে দু'বছর হবে।"

শনি রবিবার অ্যাকাডেমিতে প্র্যাকটিস । সপ্তাহের বাকি দিনগুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা । তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানখেত অথবা স্কুলের মাঠে বল-ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছে জিন্না । স্কুলের হেডমাস্টারমশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন । গতবছর ন্যাশানাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মতো নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে । ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে সে । পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরণ ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন । অ্যাকাডেমির অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল । ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে ।

IPL- র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করতে চায় জিন্না । বলের গতি বাড়ানোর দক্ষতা রপ্ত করতে চায় সে । ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ । আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারোর পেসার । প্রাথমিকভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া তার লক্ষ্য । তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন । চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযূষ চাওলার উইকেট । IPL-র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়েছে । সেই নেশাতেই গদ্যময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মণ্ডল।

Intro:মাঝরাতে ওর হুড়মুড়িয়ে সাইকেল চালানো দেখে আর কেউ সচকিত হয়না। সকলেই জানে জিন্না সাইকেল চালিয়ে ট্রেন ধরতে ছুটছে। বসিরহাটের বিবিপুরের বাড়ি থেকে কাকড়া মির্জা নগর স্টেশন সতেরো কিলোমিটার দূরে। প্রথম ট্রেন হাসনাবাদ শিয়ালদহ লোকাল ধরতে না পারলে সঠিক সময়ে পৌঁছনো যাবে না যে। আর সময়ে না পৌছতে পারলে প্র্যাকটিসে হয়ত নামা হবে, এক ই সঙ্গে স্যারের বকা শুনতে হবে। বছর আঠারো র ছেলেটা খেলায় ফাকি দিতে চায় না। ক্রিকেট কে আকড়ে জীবন পেতে চায় ও। তাই সমস্ত কষ্ট অপমান সহ্য করে আজ আইপিএলে নেট বোলারের সুযোগ জুটেছে। জিন্না মন্ডল বাংলা র ক্রিকেটের সম্ভাবনা ময় জোরে বোলার।


Body:ক্ষুধার রাজ্যে জিন্না মন্ডলের পৃথিবী সত্যিই গদ্যময়। দুবেলা দুমুঠো অন্নের জন্যে ওর লড়াই আইপিএলে র প্রিজমে দেখলে সাদাকালো সিনেমা মনে হবে। যা হয়ত কোন চিত্রনাট্যকার লিখতে পারলে ধন্য মনে করতেন। বসিরহাটের বিবিপুরের ভাগচাষীর ছেলে জিন্না ইডেনে নেট বোলার।ইতিমধ্যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের ডেভিড মিলারের উইকেট ভেঙে ছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্সের পীযুষ চাওলাকেও আউট করেছেন সম্বরন ব‍্যানার্জীর ক্রিকেট আকাডেমির এই শিক্ষার্থী পেসার। কলকাতা পঞ্জাব ছাড়াও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বল করে নজর কেড়েছেন পাচ ফুট দশ ইঞ্চি লম্বা র ছিপছিপে ছেলেটি। সম্বরন তাকে ডাকেন জোরে বোলার বলে।
নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে জিন্না র বাবা দিনমজুর। পেট চালাতে রাত জেগে মাছ ধরতে হয় তাকে। বাবাকে সাহায্য করতে মাঠে বিলে জলা জমিতে বিষাক্ত সাপের সঙ্গে লুকোচুরি খেলে মাছ ধরে জিন্না।মা জমিতে ঘাস কাটেন। বাড়িতে হাস মুরগি ছাগল আছে। তা প্রতিপালন করেই মন্ডল পরিবারের গ্রাসাচ্ছদনের লড়াই।
গদ্যময় পৃথিবীতে বাস করেও জিন্নার চোখে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন। রাস্তায় পড়ে থাকা ইটের ঢেলা,ডাবের মুচি,লেবু দিয়ে জিন্নার বোলিংয়ের হাতে খড়ি। সেখান থেকে টেনিস বলে হাত পাকিয়ে পাড়ার মাঠে খেলা শুরু। গরিব ঘরের ছেলে, লিকলিকে চেহরা দেখে সুযোগ দিতে চাইত না কেউ। কিন্তু ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়। দাদাদের ফাইফরমাশ খেটে জল বয়ে মন জুগিয়ে পাড়ার দলে জায়গা পেয়েছিল। এভাবেই টেনিস বলের টুর্নামেন্টে ভালো খেলে এলাকার এক ক্রিকেট প্রেমীর নজরে পড়ে জিন্না। তারই হাত ধরে হিন্দুস্তান পার্কের সম্বরন ব্যানার্জি র ক্রিকেট আকাডেমি তে। কবছর কলকাতায় প্র্যাকটিস করছে- এই প্রশ্নে জিন্নার সহজ সরল উত্তর,"এবছর আম পাকার সময় এলে দুবছর হবি।"
শনি রবিবার আকাডেমি তে প্র‍্যাকটিস। সপ্তাহের বাকি দিন গুলোতে ফজর নামাজের পরে কিছুক্ষণ শরীরচর্চা। তারপর প্রতিবেশীদের আমবাগান, ধানক্ষেত কিংবা স্কুলের মাঠে বল ব্যাট নিয়ে অনুশীলন। বিবিপুরের স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে ছে জিন্না। স্কুলের হেডমাস্টার মশাই ও গেমটিচার নানাভাবে সাহায্য করছেন।গতবছর ন্যাশনাল স্কুল ক্রিকেট ট্রায়ালে ডাক পেলেও সময় মত নথি জমা দিতে না পারায় সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে। ইতিমধ্যে উত্তর 24 পরগনা জেলা লিগে সুযোগ পেয়েছে। পান্তাভাত খেয়ে প্র্যাকটিসের কথা শুনে সম্বরন ব্যানার্জি টিফিনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আকাডেমি র অন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক রা জিন্নার প্রতি সহানুভূতিশীল। ইতিমধ্যে আকাডেমি থেকে একমাত্র জিন্নাই নেট বোলার হিসেবে ডাক পেয়েছে।
আইপিএলে র বড় মঞ্চে নেট বোলার হওয়ার সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে নিজেকে পরিশালিত করতে চায় জিন্না। বলের গতি বাড়ানোর কারিকুরি আয়ত্ত করতে চায় সে। ডেল স্টেইনের বল করা কাছ থেকে দেখে মুগ্ধ। আপাতত ক্লাব ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ার আশায় দিন গুনছে বছর আঠারো র পেসার। প্রাথমিক ভাবে বাংলা দলে জায়গা করে নেওয়া পাখির র চোখ। তারপর জাতীয় দলের স্বপ্ন।চাষের মাঠ থেকে মিলার পীযুষ চাওলার উইকেট। আইপিএলে র রঙিন ক্রিকেট চোখে নেশা ধরিয়ে ছে। সেই নেশাতেই গদ্য ময় জীবন থেকে ক্রিকেটের রাজপথে ছুটতে চায় দিনমজুরের ছেলে জিন্না মন্ডল।


Conclusion:
Last Updated : Apr 19, 2019, 11:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.