ETV Bharat / sports

Racism in English Cricket: ব্রিটিশ ক্রিকেটে প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবিদ্বেষ ও লিঙ্গবৈষম্য, উল্লেখ স্বতন্ত্র কমিটির রিপোর্টে

বর্ণবিদ্বেষ শুধু ইংলিশ ফুটবলে নয়, রয়েছে ব্রিটিশ ক্রিকেটেও ৷ আর তা শুধু বর্ণবিদ্বেষেই থেমে নেই ৷ লিঙ্গবৈষম্য ও শ্রেণি বৈষম্যও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে দীর্ঘদিন ধরে বেড়ে উঠছে ব্রিটিশ ক্রিকেটে ৷ মঙ্গলবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের গঠিত স্বতন্ত্র কমিটি আইসিইসি বা ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন ফর ইক্যুইটি ইন ক্রিকেটের প্রকাশিত রিপোর্টে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ৷

Institutional Racism in English cricket ETV BHARAT
Institutional Racism in English cricket
author img

By

Published : Jun 27, 2023, 2:43 PM IST

লন্ডন, 27 জুন: প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবিদ্বেষ, লিঙ্গবাদ এবং শ্রেণি বৈষম্য ক্রমাগত ইংলিশ ক্রিকেটকে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এমনই ইসিবি-র স্বতন্ত্র কমিটির একটি রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ৷ ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের গঠিত আইসিইসি বা ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন ফর ইক্যুইটি ইন ক্রিকেট মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত রিপোর্টটি প্রকাশ্য করেছে ৷ যেখানে সে দেশের ক্রিকেটের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে ৷

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলিংশ ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষকে জোর করে ঢোকানো হয়েছে ৷ আর মহিলাদের সঙ্গে ক্রিকেটে ‘দ্বিতীয়-শ্রেণির নাগরিক’-দের মতো আচরণ করা হয় ৷ আর স্টেট স্কুলগুলিতে ক্রিকেট খেলার সুযোগ বিরল বলে উল্লেখ করেছে আইসিইসি ৷ এমনকি এই বৈষম্যগুলির বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ জানাতে গেলেও একাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হয় ৷ এর আসল কারণ, এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি ৷ যা ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের নীতির বাইরে ৷

প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসার পর, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ সেই সঙ্গে এই রিপোর্টকে ‘ঘুম থেকে জাগার’ সময় বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের কখনও মনে হয়েছে, যে তাঁদের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বা তাঁরা ক্রিকেটর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মতো নয় ৷ এমন আচরণ করা হয়েছে, তাঁদের সকলের কাছে কোনও রাখঢাক না রেখে আমি ক্ষমা চাইছি ৷’’ এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে মহিলাদের এবং কালো চামড়ার মানুষদের ক্রিকেট থেকে দূরে রাখার অভিযোগ উঠেছে ৷ সেই ইস্যুতেই ক্ষমা চেয়েছেন থম্পসন ৷

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ইডেনে, ভারত-পাক দ্বৈরথ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই

2020 সালে ইয়র্কশায়ারের প্রাক্তন খেলোয়াড় আজিম রফিকের অভিযোগ ইংলিশ ক্রিকেটকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, 2008-18 সালে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাবে দু’বার বর্ণবিদ্বেষগত হয়রানি এবং তিরস্কারের শিকার হয়েছিলেন ৷ পার্লামেন্টারি শুনানিতে 2021 সালে এ নিয়ে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি ৷ মূলত ইসলাম নিয়ে পশ্চিমের দেশে থাকা ভয়ের কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি ৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যদি আমাকে বলা হয়, বর্ণবিদ্বেষের কারণে কি আপনার ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে ? তাহলে আমি বলব হ্যাঁ ৷’’

লন্ডন, 27 জুন: প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবিদ্বেষ, লিঙ্গবাদ এবং শ্রেণি বৈষম্য ক্রমাগত ইংলিশ ক্রিকেটকে সংক্রমণের মতো ছড়িয়ে পড়ছে ৷ এমনই ইসিবি-র স্বতন্ত্র কমিটির একটি রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে ৷ ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের গঠিত আইসিইসি বা ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন ফর ইক্যুইটি ইন ক্রিকেট মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত রিপোর্টটি প্রকাশ্য করেছে ৷ যেখানে সে দেশের ক্রিকেটের বাস্তব পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে ৷

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইলিংশ ক্রিকেটে বর্ণবিদ্বেষকে জোর করে ঢোকানো হয়েছে ৷ আর মহিলাদের সঙ্গে ক্রিকেটে ‘দ্বিতীয়-শ্রেণির নাগরিক’-দের মতো আচরণ করা হয় ৷ আর স্টেট স্কুলগুলিতে ক্রিকেট খেলার সুযোগ বিরল বলে উল্লেখ করেছে আইসিইসি ৷ এমনকি এই বৈষম্যগুলির বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ জানাতে গেলেও একাধিক বাধার সম্মুখীন হতে হয় ৷ এর আসল কারণ, এ সংক্রান্ত অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি ৷ যা ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের নীতির বাইরে ৷

প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসার পর, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন জনসমক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন ৷ সেই সঙ্গে এই রিপোর্টকে ‘ঘুম থেকে জাগার’ সময় বলে ব্যাখ্যা করেছেন ৷ তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের কখনও মনে হয়েছে, যে তাঁদের ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বা তাঁরা ক্রিকেটর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মতো নয় ৷ এমন আচরণ করা হয়েছে, তাঁদের সকলের কাছে কোনও রাখঢাক না রেখে আমি ক্ষমা চাইছি ৷’’ এমনকি দীর্ঘ সময় ধরে মহিলাদের এবং কালো চামড়ার মানুষদের ক্রিকেট থেকে দূরে রাখার অভিযোগ উঠেছে ৷ সেই ইস্যুতেই ক্ষমা চেয়েছেন থম্পসন ৷

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ইডেনে, ভারত-পাক দ্বৈরথ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই

2020 সালে ইয়র্কশায়ারের প্রাক্তন খেলোয়াড় আজিম রফিকের অভিযোগ ইংলিশ ক্রিকেটকে নাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ সেই সময় তিনি অভিযোগ করেছিলেন, 2008-18 সালে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাবে দু’বার বর্ণবিদ্বেষগত হয়রানি এবং তিরস্কারের শিকার হয়েছিলেন ৷ পার্লামেন্টারি শুনানিতে 2021 সালে এ নিয়ে বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি ৷ মূলত ইসলাম নিয়ে পশ্চিমের দেশে থাকা ভয়ের কথা তুলে ধরেছিলেন তিনি ৷ সেখানে তিনি বলেন, ‘‘যদি আমাকে বলা হয়, বর্ণবিদ্বেষের কারণে কি আপনার ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছে ? তাহলে আমি বলব হ্যাঁ ৷’’

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.