ধরমশালা, 22 অক্টোবর: বিশ্বকাপে 'বিরাট শো' অব্যাহত ৷ মাত্র 5 রানের সেঞ্চুরি মাঠে রেখে আসেন কোহলি ৷ তার ফলে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সচিন তেন্ডুলকরের সর্বাধিক 49টি শতরান স্পর্শ করা হল না বিরাটের ৷ মেঘ সরিয়ে ধরমশালায় খেলা শুরু হলে বিরাট গতিতেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া ৷ সেই সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপে প্রথম পাঁচ ম্যাচ (অস্ট্রেলিয়া, আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড) জিতে লিগ টবিলে এক নম্বরে উঠে এল ভারত ৷
রান তাড়া করতে নামা ভারতীয় ইনিংসের 16তম ওভারে কুয়াশায় ঢেকেছিল ধরমশালা স্টেডিয়াম ৷ ক্রমশ কমে দৃশ্যমানতা ৷ ফলে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ ৷ 274 রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা ‘মেন ইন ব্লু’র তখন স্কোর ছিল 15.4 ওভারে 100 ৷ আম্পায়ার খেলা বন্ধ রাখায় ক্রিজ ছাড়েন বিরাট কোহলি ও শ্রেয়স আইয়ার ৷ ম্যাচের ফয়সালা হতে তখনও বাকি ছিল 4.2 ওভার ৷ না-হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হত ৷ কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মেঘ সরে যাওয়ায় খেলা শুরু করেন আম্পায়ার ৷ সেখান থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন বিরাট ৷ তবে ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি করার প্রত্যাশায় ব্যক্তিগত 95 রানে আউট হন কোহলি ৷ তবে ভারতের জয় আটকায়নি ৷ ওই ওভারেই বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলকে জেতান বরীন্দ্র জাদেজা ৷ 39 রানে অপরাজিত থাকেন তিনি ৷
এর আগে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া 274 রানের লক্ষ্য তাড়া করে শুরুটা ভালো করে ভারত ৷ এর আগে এদিন বল মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন দুই ভারতীয় খেলোয়াড় ৷ দেশের জার্সিতে উইকেট নেওয়ার নিরিখে অনিল কুম্বলেকে টপকে তিন নম্বরে উঠে এসেছেন মহম্মদ শামি ৷ প্রথম ভারতীয় বোলার হিসেবে গড়েছেন বিশ্বকাপে দু’বার এক ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার নজির ৷ পাশাপাশি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে দ্রুত 2000 রান করার রেকর্ড গড়েছেন শুভমন গিল ৷
সবুজের বলয়ে ঘেরা ধরমশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বলয়ের বাইরে স্বচ্ছ উজ্জ্বল ধৌলাধর পাহাড় ৷ যে কেউ অবাক হয়ে যেতে পারে, একটি ঢালু পাহাড়কে কেটে এই সুন্দর ক্রিকেটের মঞ্চ গড়ে তুলেছে হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ৷ প্রাকৃতিক শোভায় ভরা ধরমশালা ক্রিকেট স্টেডিয়াম ৷ যদিও বারবার প্রশ্নের মুখে পড়ছে এই স্টেডিয়ামের ব্যবস্থাপনাই ৷ আউটফিল্ড নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছিল ৷ এবার মেঘাচ্ছন্ন আকাশের ভ্রুকুটিতে বিঘ্নিত বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ৷
আরও পড়ুন: কামব্যাকে শামির পঞ্চবাণ, মাইলস্টোন ছুঁয়ে উপেক্ষার জবাব বঙ্গপেসারের
কিন্তু, পাহাড়ের উপর অত্যাধুনিক ব্যবস্থাপনা-সহ এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি করতে নিপুণ ইঞ্জিনিয়ারিং দক্ষতা রয়েছে ৷ এই মাঠে 21 হাজার 800 জন দর্শক বসে খেলা দেখতে পারেন ৷ যেখানে দ্বিতীয়বার আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টের আসর বসেছে ৷ তাই পুরো স্টেডিয়াম আইসিসি-র রংয়ে রাঙিয়ে উঠেছে ৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 1457 মিটার উঁচুতে অবস্থিত এই ক্রিকেট স্টেডিয়াম পৃথিবীর সর্বোচ্চ ক্রিকেট মাঠ ৷