ধরমশালা, 22 অক্টোবর: সন্ধিপূজোর সন্ধিক্ষণে ব্রাত্যজনের স্পর্ধার প্রত্যাবর্তন । প্রত্যাবর্তনের নাম মহম্মদ শামি । রাহুল দ্রাবিড় ও রোহিত শর্মার বিশ্বকাপের রোডম্যাপে উত্তরপ্রদেশ জাত বাংলার পেসার পরিবর্ত হিসেবে চিহ্নিত । ফলে ডাগ-আউটে বসে সুযোগের অপেক্ষা ছাড়া পথ ছিল না মধ্য তিরিশের ভারতীয় পেসারের । এবার মাঠে ফিরেই যাবতীয় উপেক্ষার জবাব দিলেন মহম্মদ শামি ৷
ভারতীয় দলের সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ক্ষুরধার পেসার দলে থাকলেও ব্রাত্য । চলতি বিশ্বকাপে হার্দিক পান্ডিয়া চোট না-পেলে হয়তো জল বয়েই শেষ হত অভিযান । অথচ বিশ্বকাপের মঞ্চে যতবার সুযোগ পেয়েছেন তখনই জ্বলে উঠেছেন । চারবছর আগে 2019 বিশ্বকাপে টানা 4 ম্যাচ বসে থাকার পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে কামব্যাক ম্যাচে 4 উইকেট (হ্যাট্রিক-সহ) তুলেছিলেন । পরিসংখ্যান 9.5-1-40-4 । 2023 বিশ্বকাপে একই ছবি । টানা 4 ম্যাচ বসে থাকার পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কামব্যাক ম্যাচে 5 উইকেট তুললেন, পরিসংখ্যান 10-0-54-5 ।
পুনেতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হার্দিক পাণ্ডিয়ার চোট মহম্মদ শামির জন্য দরজা খুলে দেয়। একটা সুযোগের অপেক্ষা করছিলেন তিনি। ধরমশালায় নিউজিল্যাণ্ডের বিরুদ্ধে শামি নামলেন,প্রতিপক্ষ কিউয়ি ব্যাটারদের মাপলেন ৷ দুরন্ত বোলিংয়ে ডাগ-আউটের রাস্তা দেখালেন কিউয়িদের পাঁচ ব্যাটারকে ৷ দেশের জার্সিতে উইকেট নেওয়ার নিরিখে অনিল কুম্বলেকে টপকে উঠে এলেন তিন নম্বরে ৷ নয়া রেকর্ড গড়ে ‘দ্রাবিড় অ্যান্ড কোং’কে বুঝিয়ে দিলেন ইউটিলিটি বোলারের বোলিংটাই ব্রহ্মাস্ত্র ৷ অন্যদিকে, তৃতীয় উইকেটে 159 রানের পার্টনারশিপ গড়েন রাচিন-মিচেল জুটি ৷ যার দৌলতে 273 রান তুলল নিউজিল্যান্ড ৷
শুরুটা করেছিলেন মহম্মদ সিরাজ ও মহম্মদ শামি ৷ 19 রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ৷ সেখান থেকে দলকে টানলেন রাচিন রবীন্দ্র ও ডারেল মিচেল ৷ দুই ব্যাটারের দাপটে ধরমশালায় ভদ্রস্থ স্কোর ‘ব্ল্যাক ক্যাপস’-এর ৷ শামি-সিরাজের স্পেল সামলে রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে এল 75 রানের ঝকঝকে ইনিংস ৷ মিচেল অপরাজিত থাকলেন রানে ৷ কিউয়িদের ইনিংসের ভীত গড়তে ওই পার্টনারশিপই যথেষ্ট ছিল ৷
আরও পড়ুন: কিউয়িদের বিরুদ্ধে দুরন্ত শামি, কুম্বলেকে টপকে গেলেন বঙ্গপেসার