ব্রিসবেন, 19 জানুয়ারি : ব্রিসবেনের গাব্বা মানেই অস্ট্রেলিয়ার দুর্ভেদ্য় দুর্গ ৷ 1988 সালের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় সফররত কোনও দলই গাব্বায় টেস্ট ম্য়াচ জিতে ফিরতে পারেনি ৷ টানা 32 বছরের সেই রেকর্ড ভেঙে দিল তারুণ্য়ে ভরা ভারতীয় ক্রিকেটদল ৷ গাব্বার মাঠে 328 রান তাড়া করে 3 উইকেটে ম্য়াচ জিতেছে ভারত ৷ আর এই জয়ের সঙ্গে ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লিখলেন অজিঙ্ক রাহানেরা ৷ শেষবার 1988 সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে গাব্বায় ম্য়াচ জেতে ৷ তারপর আর কোনও দেশ গাব্বার মাঠে এই কৃতীত্ব দেখা পারেনি ৷
আরও পড়ুন : অজ়ি বধের পুরস্কার, 5 কোটি টাকার বোনাস ঘোষণা বিসিসিআই-র
প্রসঙ্গত, অ্য়াডিলেডে পিঙ্ক বলে ডে-নাইট টেস্টে টিম পেইনেদের সামনে দুরমুশ হওয়ার পর, বক্সিং’ডে টেস্টে দুরন্তভাবে কামব্য়াক করে ভারত ৷ মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়াকে 8 উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল ৷ ভারতের এই কামব্য়াককে সেরা কামব্য়াক হিসেবে বর্ণনা করেছিল ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ৷ যারপর তৃতীয় টেস্ট খেলতে সিডনি উড়ে যায় ভারত ৷ তবে, সিডনিতে একের পর এক সিনিয়র ক্রিকেটাররা চোট পেতে থাকেন ৷ সেই অবস্থাতেই কোনও মতে শেষদিন পর্যন্ত ম্য়াচ টেনে নিয়ে যায় ভারত ৷ সেই টেস্ট ড্র করার পর, ভারতীয় দলের চারিত্রিক দৃঢ়তার ভূয়সী প্রশংসা শুরু হয় ৷ সেখান থেকে এক ঝাঁক তরুণ ক্রিকেটারকে নিয়ে ব্রিসবেনে নামনে অজিঙ্ক রাহানে ৷ যে দলে একসঙ্গে দু’জন ক্রিকেটার ভারতের হয়ে টেস্ট ম্য়াচে ডেবিউ করেন ৷ যে দলের বোলারদের আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্য়াচ খেলার সর্বোচ্চ অভিজ্ঞ ছিল 3 টেস্ট ৷ যার ফলে গাব্বায় অস্ট্রেলিয়া 32 বছরের অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙার জয় আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে ‘মেন ইন ব্লু’ ব্রিডেগের কাছে ৷
আরও পড়ুন :"স্মরণীয় জয়", 5 কোটি টাকার বোনাস ঘোষণা করে টুইট সৌরভের
তবে, আজকের এই জয়ের অক্সিজ়েন ভারতীয় শিবিরে আমদানি শুরু হয়েছিল মেলবোর্ন থেকে ৷ যেখানে অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে একা কুম্ভের ভূমিকায় ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন ৷ দলের সামনে নিজেকে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছিলেন রাহানে ৷ তারই মধ্য়ে দলের অধিকাংশ সিনিয়র সদস্য়ের চোট আঘাত ভারতীয় শিবিরের মনোবলে চির ধরাতে পারতো ৷ তবে, তা হতে দেননি অশ্বিন, হনুমা বিহারী, যশপ্রীত বুমরারা ৷ সিডনির তৃতীয় টেস্টে পিঠের ব্য়াথা নিয়েও ম্য়াচ বাঁচানো ইনিংস খেলেছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন ৷ একইভাবে হ্য়ামস্ট্রিংয়ের ব্য়াথা নিয়ে ব্য়াট করে গিয়েছিলেন হনুমা বিহারী ৷ দলের অভিজ্ঞ সদস্য়দের দাঁতে দাঁত পিষে লড়াই করার মনোভাবই বাকিদের মধ্য়ে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল ৷ আর আজকের এই জয় সেই আত্মবিশ্বাসের ফল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷