মুম্বই, 21 অক্টোবর: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেও জয়ে ফিরতে পারল না ইংরেজবাহিনী ৷ এর আগে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধেও হার হজম করতে হয়েছিল ৷ তবে সেখানে অন্তত লড়াই করেছিলেন ব্যাটাররা ৷ শনিবারের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে সেই সুযোগও দিলেন না জিরাল্ড কোটজে, লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো জানসেন, কগিসো রাবাদারা ৷ চার পেসার লাগাতার আক্রমণের সামনে জস বাটলারদের অসহায় আত্মসমর্পনের সাক্ষী থাকল ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম ৷
জনি বেয়ারস্টো, ডেভিড মালান, জো রুট কেউই এদিন দাঁড়াতে পারলেন না প্রোটিয়া পেস অ্যাটাকের সামনে ৷ বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে চর্চা ছিল যথেষ্ট ৷ কিন্তু তিনিও ড্রেসিংরুমের পথ ধরলেন 5 রান করেই ৷ সাংবাদিক বৈঠকে জস বাটলার বলেছিলেন অতীতের স্মৃতি ভুলে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত দল ৷ কিন্তু বাস্তবে আরও ভরাডুবি হল ইংল্যান্ডের ৷
দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়েই পার্থক্যটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ৷ নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে হারের স্মৃতি ভুলে পাওয়ার হিটিংয়ের এক অনবদ্য প্রদর্শনী উপহার দেন হেনরিক ক্লাসেন, রিজা হেন্ড্রিকস, রাসি ভ্যান ডার ডুসান এবং মার্কো জানসেন ৷ ক্লাসেনের 109 রানের ইনিংস সুর বেঁধে দিলেও হাফ-সেঞ্চুরির হ্যাটট্রিকটিও সমান জরুরি ৷ আর তার জেরেই 400 রানের বিশাল টার্গেট রেখেছিল তারা ৷
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
আরও পড়ুন: মুম্বইয়ে পাওয়ার-হিটিংয়ের প্রদর্শনী, ইংল্যান্ডের সামনে 400 রানের টার্গেট রাখল দক্ষিণ আফ্রিকা
জবাবে ব্যাট করতে নেমে পুরো 50 ওভার খেলতেই পারলেন ইংরেজ ব্যাটাররা ৷ মাত্র 16.3 ওভারেই সাজঘরে ফিরলেন আট জন রথী-মহারথী ৷ দলগত স্কোর তখন সবে 100 ৷ এরপর মার্ক উড এবং গাস আটকিনসন চেষ্টা করেছিলেন দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেওয়ার ৷ 42 রান করে দলের সম্মান তিনি কিছুটা বাঁচালেন বটে তবে ইংল্যান্ডকে জয়ে পৌঁছে দেওয়া ছিল অসম্ভব ৷ চোটের জেরে এদিন ব্যাটিং করতে পারেননি রিকি টপলে ৷ ফলে 22 ওভারেই 169 রানে শেষ হয়ে যায় ব্রিটিশ ইনিংস ৷ প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ 3টি উইকেট শিকার করেন জিরাল্ড ৷ 2টি করে উইকেট পান এনগিদি এবং জানসেন ৷ 1টি করে উইকেট পান কেশব মহারাজ এবং রাবাদা ৷