ETV Bharat / sports

Sachin Tendulkar: 'বিরাট' কাঁধে ভিকট্রি ল্যাপ, একযুগ পর কোহলির জন্য ওয়াংখেড়েতে গলা ফাটাচ্ছেন সচিন - Sachin Tendulkar in Wankhede

10 বছর বয়সে লুকিয়ে খেলা দেখতে এসেছিলেন এই মাঠে ৷ টিকিট ছিল না তাঁর কাছে ৷ আর সেই ওয়াংখেড়েতেই এখন শোভা পাচ্ছে তাঁর 'বিরাট' মূর্তি ৷ বৃহস্পতিবার ভারতের খেলা দেখতে গ্যালারিতে হাজির মাস্টার ব্লাস্টার ৷

Sachin Tendulkar
কোহলির জন্য় আজ ওয়াংখেড়েতে গলা ফাটাচ্ছেন সচিন
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 2, 2023, 3:45 PM IST

Updated : Nov 2, 2023, 3:59 PM IST

ওয়াংখেড়ে, 2 নভেম্বর: 2011 সালে 2 এপ্রিল, ঠিক এক যুগ আগে এই দিনে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ক্রিকেট জীবনের একটি বৃত্ত পূর্ণ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর ৷ 1987 সালের বিশ্বকাপে বলবয়ের দায়িত্ব পালন করা তরুণ ক্রিকেটারের হাতে সেদিন উঠেছিল বিশ্বকাপের ট্রফি ৷ বারবার তিনি বলেছেন, কপিল দেবের হাতে প্রুডেনশিয়াল কাপ দেখার পর থেকেই তিনি চেয়েছিলেন দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে ৷ কিন্তু স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছি এসেও 2003 সালে ট্রফি ছুঁতে পারেননি 'ক্রিকেট ঈশ্বর' ৷ 'ম্যান অফ সিরিজ'-এর সোনার ব্যাটই সেদিন ছিল সান্ত্বনা ৷ ঠিক আট বছর পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পূর্ণ হয় লিটল মাস্টারের কঠিন লড়াই ৷ এরপর সচিনকে কাঁধে সারা মাঠে চক্কর দিয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা ৷ সেই বিরাটের খেলা দেখতেই বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়েতে হাজির মাস্টার ব্লাস্টার ৷ আজ তিনি দর্শকাসনে বসে গলা ফাটাবেন বি-রা-ট, বি-রা-ট স্বরে ।

একদিন এই গ্য়ালারিতেই উঠত স-চি-ন, স-চি-ন স্লোগান ৷ অবশ্য় সেই চিৎকার মনে পড়ে গেল এদিনও ৷ মাঠে সতীর্থ মুথাইয়া মুরলিধরনের সঙ্গে স্বপ্নের ট্রফি হাতে পা রাখলেন মাস্টার ব্লাস্টার ৷ আর গোটা ওয়াংখেড়ে যেন চিৎকার করে শুভেচ্ছা জানাল তাঁদের কাছের মানুষকে ৷ বুধবার এই স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকর স্ট্যান্ডের ঠিক পাশেই তাঁর একটি 22 ফুট উঁচু মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে ৷ সোশাল মিডিয়ায় সেই মূর্তির একটি ছবিও এদিন শেয়ার করেছেন লিটল মাস্টার ৷ আর সঙ্গে শেয়ার করেছেন প্রথমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কাহিনি ৷

  • This photo has a very special place in my heart. From being a 10-year-old boy who was sneaked into the North Stand with only 24 tickets for 25 eager fans, to having my statue unveiled at the iconic Wankhede, life has truly come full circle. I still remember our joyous chants, the… pic.twitter.com/Oi481ktwBP

    — Sachin Tendulkar (@sachin_rt) November 2, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: ওয়াংখেড়েতে উন্মোচিত হল ‘বাইশ গজের ঈশ্বরের’ 22 ফুটের মূর্তি

সচিন জানিয়েছেন, প্রথমবার মাত্র 10 বছর বয়সে এই ময়দানে অন্যদের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছিলেন তিনিও ৷ সেই ছবি এখনও তাঁর কাছে অমূল্য ৷ ক্য়াপশানে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক লেখেন, "এই ছবিটা আমার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে ৷ সেই দশ বছর বয়সি ছেলেটাকে মনে পড়ছে যে আরও 25 জন সমর্থকের ভিড়ে লুকিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকেছিল ৷ কারণ টিকিট ছিল মাত্র 24টি ৷ আর এখন সেই স্টেডিয়ামেই উন্মোচিত হল আমার মূর্তি ৷ জীবন সত্যিই একটা বৃত্ত পরিপূর্ণ করল ৷ আমাদের নর্থস্ট্যান্ড গ্যাংয়ের সেই দুরন্ত বন্ধুত্ব, আনন্দের স্লোগান বছরের পর বছর ধরে স্মৃতি হয়ে রয়ে গিয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: শুরুতেই ফিরলেন রোহিত, বড় রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন গিল-কোহলি

তিনি আরও লেখেন, "আমি প্রথম ওয়াংখেড়েতে পা দিয়েছিলাম একজন সমর্থক হিসেবে ৷ তারপর 1987 সালের বিশ্বকাপে বল বয় হয়েছিলাম ৷ আবার 2011 সালে জিতেছিলাম বিশ্বকাপ ৷ এই মাঠেই খেলেছিলাম জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ৷ আমার এই যাত্রার কথা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয় ৷" একইসঙ্গে তাঁর এই মূর্তি তিনি সকল কাছের মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন 'গড অফ ক্রিকেট' ৷ তিনি লেখেন, "এই মূর্তি শুধু আমার নয়, প্রত্যেক নন-স্ট্রাইকার, আমার ক্রিকেটের সমস্ত নায়ক, প্রত্যেক সতীর্থ, প্রত্যেক সহকর্মীর ৷ যাঁরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন ৷ আর তাঁদের সকলের উদ্দেশে এই মূর্তি উৎসর্গ করলাম ৷... ওয়াংখেড়ে ও ক্রিকেট আমায় দু'হাত ভরে দিয়েছে ৷"

ওয়াংখেড়ে, 2 নভেম্বর: 2011 সালে 2 এপ্রিল, ঠিক এক যুগ আগে এই দিনে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই ক্রিকেট জীবনের একটি বৃত্ত পূর্ণ করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর ৷ 1987 সালের বিশ্বকাপে বলবয়ের দায়িত্ব পালন করা তরুণ ক্রিকেটারের হাতে সেদিন উঠেছিল বিশ্বকাপের ট্রফি ৷ বারবার তিনি বলেছেন, কপিল দেবের হাতে প্রুডেনশিয়াল কাপ দেখার পর থেকেই তিনি চেয়েছিলেন দেশকে বিশ্বকাপ জেতাতে ৷ কিন্তু স্বপ্ন পূরণের খুব কাছাকাছি এসেও 2003 সালে ট্রফি ছুঁতে পারেননি 'ক্রিকেট ঈশ্বর' ৷ 'ম্যান অফ সিরিজ'-এর সোনার ব্যাটই সেদিন ছিল সান্ত্বনা ৷ ঠিক আট বছর পর ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পূর্ণ হয় লিটল মাস্টারের কঠিন লড়াই ৷ এরপর সচিনকে কাঁধে সারা মাঠে চক্কর দিয়েছিলেন বিরাট কোহলিরা ৷ সেই বিরাটের খেলা দেখতেই বৃহস্পতিবার ওয়াংখেড়েতে হাজির মাস্টার ব্লাস্টার ৷ আজ তিনি দর্শকাসনে বসে গলা ফাটাবেন বি-রা-ট, বি-রা-ট স্বরে ।

একদিন এই গ্য়ালারিতেই উঠত স-চি-ন, স-চি-ন স্লোগান ৷ অবশ্য় সেই চিৎকার মনে পড়ে গেল এদিনও ৷ মাঠে সতীর্থ মুথাইয়া মুরলিধরনের সঙ্গে স্বপ্নের ট্রফি হাতে পা রাখলেন মাস্টার ব্লাস্টার ৷ আর গোটা ওয়াংখেড়ে যেন চিৎকার করে শুভেচ্ছা জানাল তাঁদের কাছের মানুষকে ৷ বুধবার এই স্টেডিয়ামে সচিন তেন্ডুলকর স্ট্যান্ডের ঠিক পাশেই তাঁর একটি 22 ফুট উঁচু মূর্তি উন্মোচন করা হয়েছে ৷ সোশাল মিডিয়ায় সেই মূর্তির একটি ছবিও এদিন শেয়ার করেছেন লিটল মাস্টার ৷ আর সঙ্গে শেয়ার করেছেন প্রথমবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের কাহিনি ৷

  • This photo has a very special place in my heart. From being a 10-year-old boy who was sneaked into the North Stand with only 24 tickets for 25 eager fans, to having my statue unveiled at the iconic Wankhede, life has truly come full circle. I still remember our joyous chants, the… pic.twitter.com/Oi481ktwBP

    — Sachin Tendulkar (@sachin_rt) November 2, 2023 " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data=" ">

আরও পড়ুন: ওয়াংখেড়েতে উন্মোচিত হল ‘বাইশ গজের ঈশ্বরের’ 22 ফুটের মূর্তি

সচিন জানিয়েছেন, প্রথমবার মাত্র 10 বছর বয়সে এই ময়দানে অন্যদের সঙ্গে খেলা দেখতে এসেছিলেন তিনিও ৷ সেই ছবি এখনও তাঁর কাছে অমূল্য ৷ ক্য়াপশানে প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক লেখেন, "এই ছবিটা আমার হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান করে নিয়েছে ৷ সেই দশ বছর বয়সি ছেলেটাকে মনে পড়ছে যে আরও 25 জন সমর্থকের ভিড়ে লুকিয়ে স্টেডিয়ামে ঢুকেছিল ৷ কারণ টিকিট ছিল মাত্র 24টি ৷ আর এখন সেই স্টেডিয়ামেই উন্মোচিত হল আমার মূর্তি ৷ জীবন সত্যিই একটা বৃত্ত পরিপূর্ণ করল ৷ আমাদের নর্থস্ট্যান্ড গ্যাংয়ের সেই দুরন্ত বন্ধুত্ব, আনন্দের স্লোগান বছরের পর বছর ধরে স্মৃতি হয়ে রয়ে গিয়েছে ৷"

আরও পড়ুন: শুরুতেই ফিরলেন রোহিত, বড় রানের লক্ষ্যে এগোচ্ছেন গিল-কোহলি

তিনি আরও লেখেন, "আমি প্রথম ওয়াংখেড়েতে পা দিয়েছিলাম একজন সমর্থক হিসেবে ৷ তারপর 1987 সালের বিশ্বকাপে বল বয় হয়েছিলাম ৷ আবার 2011 সালে জিতেছিলাম বিশ্বকাপ ৷ এই মাঠেই খেলেছিলাম জীবনের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ৷ আমার এই যাত্রার কথা ভাষায় বর্ণনা করা সম্ভব নয় ৷" একইসঙ্গে তাঁর এই মূর্তি তিনি সকল কাছের মানুষের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন 'গড অফ ক্রিকেট' ৷ তিনি লেখেন, "এই মূর্তি শুধু আমার নয়, প্রত্যেক নন-স্ট্রাইকার, আমার ক্রিকেটের সমস্ত নায়ক, প্রত্যেক সতীর্থ, প্রত্যেক সহকর্মীর ৷ যাঁরা সবসময় আমার পাশে থেকেছেন ৷ আর তাঁদের সকলের উদ্দেশে এই মূর্তি উৎসর্গ করলাম ৷... ওয়াংখেড়ে ও ক্রিকেট আমায় দু'হাত ভরে দিয়েছে ৷"

Last Updated : Nov 2, 2023, 3:59 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.