আমেদাবাদ, 20 নভেম্বর: গ্যালারিতে লক্ষেরও বেশি মানুষের চিৎকার, স্লোগান এই চাপ কীভাবে সামলাবেন? ফাইনালের আগে এহেন প্রশ্ন শুনে অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দাবি করেছিলেন, তাঁরা গ্যালারিকে চুপ করিয়ে দেবেন ৷ রবিবার ঠিক সেটাই দেখল আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম ৷ নিজে হাতে যখন বিরাট কোহলির উইকেট ছিটকে দিলেন তিনি তখনও গোটা স্টেডিয়াম স্তব্ধ ৷ হয়তো কয়েক সেকেন্ডের জন্য় থমকে গিয়েছিল গোটা দেশের হৃদস্পন্দনই ৷ আশঙ্কাটা তখন থেকেই দানা বাঁধছিল ৷ এবারও কি তবে? হ্যাঁ, 20 বছর পরও বদলার স্বপ্ন পূর্ণ হল না ৷ ট্রফি নিয়ে জয়ে উদযাপনে মেতে উঠেছে গোটা দল ৷ সবরমতীর উপরে ক্রুজে বসে ছবি তুলতে দেখা গেল কামিন্সকেও ৷
সোমবার ট্রফি জয়ের উদযাপন করতে সবরমতীতে ক্রুজে সময় কাটান কামিন্স ৷ নিয়ম মেনে ট্রফি হাতে ফটোশুটও করলেন কামিন্স ৷ গতকাল ট্রফি জয়ের পর তিনি বলেন, "আমার মনে হয় সেরাটা শেষের জন্য় বাঁচিয়ে রেখেছিলাম ৷ দু'জন বিগ ম্যাচ প্লেয়ার ঠিক সময় হাত তুলেছেন ৷ টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আগে ব্যাটিং নিচ্ছিলাম ৷ এদিন আমরা ভেবেছিলাম রান তাড়া করার জন্য দিনটা দারুণ হতে চলেছে ৷ আমাদের মনে হয়েছিল আমরা আরও সহজে জিতে যাব ৷"
প্রসঙ্গত, ম্য়াচে প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র 240 রানে গুটিয়ে যায় ভারতীয় দল ৷ রোহিত শর্মার 47 রান, বিরাট কোহলির 54 রান এবং কেএল রাহুলের 66 রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনও ভারতীয় ব্যাটারই তেমন সাহায্য করতে পারেননি ৷ বিশেষত, সূর্যকুমার যাদব তো একেবারেই তেমন কিছু করতে পারেননি ৷
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র 34 রান খরচ করে 2 উইকেট তুলে নেন প্যাট কামিন্স ৷ মিচেল স্টার্ক পান 3 উইকেট ৷ রান তুলতে তেমন কোনও সমস্যাই হয়নি অস্ট্রেলিয়ার ৷ ট্রাভিস হেডের 137 রান এবং মার্নাস লাবুশেনের 58 রানের দৌলতে 6 উইকেটে দুরন্ত জয় তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া ৷
আরও পড়ুন: