কলকাতা, 6 জুলাই: বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্তাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজের সুবাস এখনও ছড়িয়ে শহর কলকাতায় ৷ এমন সময় ফের শহরে বিশ্বকাপ। ফুটবল নয়, এবার ক্রিকেট বিশ্বকাপ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ওয়ান-ডে বিশ্বকাপের আসর ভারতে বসছে। কলকাতার ইডেনে হবে সেমিফাইনাল-সহ পাঁচটি ম্যাচ। 2011 সালের 2 এপ্রিল ভারত শেষবার ওয়ান-ডে বিশ্বকাপ জিতেছিল। এবছর সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তির আবদার দেশজুড়ে। বৃহস্পতিবার সেই আবদার আরও উসকে দিলেন ঝুলন গোস্বামী।
ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফির সিটি ট্যুরে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়িকা। দক্ষিণ কলকাতার মডার্ন হাইস্কুলের অডিটোরিয়ামে বিশ্বকাপ প্রদর্শনের অনুষ্ঠান ঘিরে এদিন উৎসাহ উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্কুলের পড়ুয়ারা বিশ্বকাপ বরণ করে এবং কিংবদন্তি ঝুলন গোস্বামীকে সংবর্ধিত করে অনুষ্ঠানে ভিন্ন মাত্রা যোগ করলেন। এদিন ঝুলন গোস্বামী বলেন, "ধোনির বিশ্বকাপ জয়ের স্মৃতি এখনও অমলিন। যে কোনও অ্যাথলিটের কাছে অলিম্পিকে অংশগ্রহণ একটি স্বপ্ন। ক্রিকেটারদের কাছে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া স্বপ্ন। আর তা জয় করতে পারলে সেটা হয় স্বপ্নপূরণ। আমরা আশা করব ভারতীয় দল সেই স্বপ্ন ফের পূরণ করবে ৷"
ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের কিংবদন্তি তথা বাঙালি পেসার নিজেই চলমান স্বপ্নের নাম। তাঁর জীবনযুদ্ধ শুধু খেলোয়াড়দের কাছে নয় আমজনতার কাছেও অনুপ্রেরণা। ঝুলন তাই স্কুল ছাত্রীদের সামনে নিজের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন ছোঁয়ার অক্লান্ত দৌড়ের গল্প শোনালেন। মানলেন ডাউন মেমোরি লেনে হাঁটার সময় ওইসব দিনের লড়াই এখন অকল্পনীয় মনে হয়। বাঙালি ক্রিকেটারের কথা, "আমি একটি গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। সেখানে মেয়েদের জন্য কোনও ক্রিকেট পরিকাঠামো ছিল না। প্রতিদিন কলকাতায় ট্রেনে করে আসতাম। শুধুমাত্র ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নকে ছুঁয়ে দেখার দেখার জন্য ওই কষ্টটা করেছিলাম। এখন ফিরে দেখলে সেটা নিজেরই অকল্পনীয় মনে হয় ৷"
"ক্রিকেট খেলা তাঁর কাছে শুধু খেলা নয় একটি শিক্ষালয়। যা জীবনের পাঠ দেয়। ক্রিকেটে প্রচুর ওঠানামা রয়েছে। সবসময় সাফল্যের আলোয় আপনি থাকবেন না। বেশিরভাগ সময়ই ব্যর্থতার সম্মুখীন হতে হবে। কিন্তু প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি আপনার একান্ত নিজস্ব। আমিও আমার খারাপ সময়ে নিজের ত্রুটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে তা শুধরে নিয়েছি। এই সময় আপনার পরিবার, আপনার কাছের লোকেদের পরামর্শ প্রয়োজনীয় হলেও আসল কাজটা নিজেকেই করতে হবে ৷" বলেন ঝুলন।
আরও পড়ুন: শ্রীভূমির পর সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার, কলকাতায় আতিথেয়তায় মুগ্ধ মার্তিনেজ