কলকাতা, 27 জুন: স্লগওভারে বাজিমাত । বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের আয়োজন ইডেনে গার্ডেন্সে । শেষ মুহূর্তের দৌড়ে কোন মন্ত্রে বাজিমাত তা ভাঙেননি সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় । তবে বিসিসিআই সচিব জয় শাহকে ইডেনের পরিকাঠামোর উন্নয়নের ছবি দেখিয়ে ম্যাচ ঘুরিয়েছেন তার ইঙ্গিত সিএবি প্রেসিডেন্টের গলায় । 1996 সালের পরে ইডেনে ফের একদিনের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের আসর । এছাড়াও আরও চারটে ম্যাচের আয়োজনে সিএবি ।
ফলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইডেন জুড়ে সাজোসাজো রব । স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, গত কয়েকমাস ধরে ইডেনে বিশ্বকাপের কোন কোন ম্যাচ হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছিল । তবে তিনি কখনও কোনও পূর্বাভাসের রাস্তায় হাঁটেননি । বরং যত বেশি সংখ্যক ম্যাচ পাওয়া যায় তার উপর জোর দিয়েছিলেন । এমনকি সেমিফাইনাল পাওয়ার ব্যাপারে শেষ বোর্ড মিটিংয়ে সওয়াল করে এসেছিলেন । শুধু সেমিফাইনাল পাওয়া নয়, পাকিস্তানের ম্যাচের আয়োজকও ইডেন ।
প্রতিবেশী দেশ কলকাতায় খেলতে আগ্রহী । যদি ভারত এবং পাকিস্তান সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় তাহলে সেটাও ইডেনে হবে । সেক্ষেত্রে ভারতের দুটো ম্যাচ এবং পাকিস্তানের তিনটে ম্যাচ কলকাতায় । যেহেতু পাকিস্তানের ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব, অতএব বাড়তি তৎপরতা । সিএবি প্রেসিডেন্ট বলছেন, এর আগেও পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করেছেন তাঁরা । সবচেয়ে বড় বিষয় বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজন এবং সেই চ্যালেঞ্জ নিতে সিএবি তৈরি । উৎসবের মরশুমে বিশ্বকাপের ম্যাচ ।
ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ হবে 5 নভেম্বর ৷ ওই দিন শহর জুড়ে কালীপুজো ও দীপাবলির আবহাওয়া । ফলে পুলিশ প্রশাসনের কাছেও চ্যালেঞ্জ । স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, উৎসবের আবহে ইডেনে ম্যাচ হয়েছে । এখনও পর্যন্ত টিকিটের দাম নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি । অ্যাপেক্স মিটিংয়ে তার সিদ্ধান্ত হবে । তবে সাধারণের ধরা ছোঁয়ার মধ্যেই থাকবে বিশ্বকাপের টিকিটের দাম । একইভাবে ম্যাচের সময় কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হবে বোর্ডের অনুমতির উপর ।
আরও পড়ুন : বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল ইডেনে, ভারত-পাক দ্বৈরথ নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামেই