কলম্বো, 6 সেপ্টেম্বর: আজ থেকে 2 বছর আগেও ভারতীয় দলে ব্রাত্য ছিলেন ৷ কিন্তু, দু’বছরের মধ্যে ভারতের ওয়ান ডে দলের প্রথম একাদশের অটমেটিক চয়েসের নাম কুলদীপ যাদব ৷ আর পরিস্থিতির এই বদল এসেছে, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং অধ্যাবসায় থেকে ৷ 2021 সালে যখন ভারতীয় দলের বাইরে চলে গিয়েছিলেন কুলদীপ যাদব, সেই সময় তাঁর ফিরে আসা কঠিন বলে মত প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ ৷ কিন্তু, তা ভুল প্রমাণ করেছেন তিনি ৷ কিন্তু, কীভাবে এই বদল এল ? সেই কথাই শোনালেন কুলদীপ যাদব 2.0 গড়ে তোলার নেপথ্য কারিগররা ৷
কুলদীপের ছোটবেলার কোচ কপিল পাণ্ডে ৷ তাঁর কথায়, ‘সংকল্প’ যা কুলদীপকে নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে ৷ তিনি বলেন, ‘‘ওর হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল ৷ ভারতের হয়ে খেলার কথা প্রায় ভুলতে বসেছিল ৷ এমনকি কেকেআর-এর হয়ে কোনও ম্যাচে খেলার সুযোগ পাচ্ছিল না ৷ ডাগ-আউটে বসিয়ে রাখা হয়েছিল ওকে ৷ একজন ক্রিকেটারের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ নিজের দক্ষতাকে আরও ধারাল করা ৷ যাতে তাঁর বোলিংয়ের নিজস্বতা বজায় থাকে ৷’’ কপিল পান্ডে জানান, ভেঙে পড়লেও আশা ছেড়ে দেননি কুলদীপ ৷ তাঁর সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ নেটে বোলিং অনুশীলন করে যেতেন ৷ বলের গতি বাড়ানো থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে কাজ করেছিলেন কুলদীপ ৷
তবে, এক্ষেত্রে একটা জিনিস খুব গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন কুলদীপের ছোটবেলার কোচ ৷ আর তা হল, একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধান ৷ যা কুলদীপ পেয়েছিলেন সুনীল যোশীর মাধ্যমে ৷ প্রাক্তন ভারতীয় বাঁ-হাতি স্পিনার বলেন, ‘‘আমি নির্বাচক কমিটির অংশ ছিলাম, যখন কুলদীপ ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েন ৷ আর কুলদীপের মতো বোলারকে সরে যেতে দেখাটা খুবই খারাপ বিষয় ৷ এরপর ওর সঙ্গে আমি এনসিএ'তে দেখা করি এবং ওকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করতে একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছিলাম ৷’’
আরও পড়ুন: রাহুলকে রেখেই বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ভারতের
যোশী জানান, কুলদীপের বলের গতি বাড়াতে ওকে শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী করে তোলা ছিল প্রথম কাজ ৷ এরপর তাঁর হাতের গতি বাড়ানো হয় ৷ যাতে হাওয়ার তাঁর বলের গতি বৃদ্ধি পায় ৷ বোলিং রান-আপ ছোট করতে বলা হয় ৷ যাতে বল করার আগে তাঁর শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং জোরে বল করতে পারেন ৷ সুনীল যোশীর কথায়, কুলদীপ বলের গতির পাশাপাশি পিচে তাঁর ‘সুইট স্পট’ হারিয়ে ফেলেছিলেন ৷ ফলে কুলদীপের বলে আগের বৈচিত্র্য ছিল না ৷ সেই সব ভুলত্রুটি কুলদীপ প্রায় একবছরের কঠোর পরিশ্রমে শুধরে ছিলেন বলে জানান প্রাক্তন ভারতীয় স্পিনার ৷
(খবর সূত্র- সংবাদসংস্থা পিটিআই)