নয়াদিল্লি, 14 জানুয়ারি: প্রকাশিত হয়েছে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধরের (Former India Fielding Coach R Sridhar) লেখা বই ৷ আর সেখানেই বিরাট কোহলি এবং তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়ে রবি শাস্ত্রীর কী ভূমিকা ছিল, তা উল্লেখ করেছেন শ্রীধর ৷ 2016 সালে ওডিআই দলের অধিনায়কত্ব পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে ছিলেন বিরাট (Virat Kohli Desperations for Captaincy) ৷ আর সেই সময় তাঁকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলেন কোচ শাস্ত্রী ৷ তাঁর বইয়ে শ্রীধর লিখেছেন, সেই সময় শাস্ত্রী বিরাটকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, এমএস ধোনির সিদ্ধান্তকে সম্মান দিতে ৷
আর শ্রীধরের প্রকাশিত বই, ‘কোচিং বিয়ন্ড: মাই ডেজ উইথ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম’ ৷ যেখানে তাঁর সহ-লেখক প্রবীণ সাংবাদিক আর কৌশিক ৷ আর শ্রীধর উল্লেখ করেছেন, তাঁর সময়ে ভারতীয় দলে কোচিং স্টাফদের মধ্যে বোঝাপড়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য় ছিল ৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘যতদূর কোচিং গ্রুপ নিয়ে বলা যায় তা হল, ড্রেসিংরুমে সততার পরিবেশ তৈরি করা ৷ এই একটি বিষয়ে কখনই আপোস করা হয়নি ৷ যেখানে একজন ক্রিকেটারের চোখে চোখ রেখে সত্যিটা কথাটা বলার ৷ তা যতই কটূ ও অপ্রিয় সত্যি হোক ৷’’
ওই বইয়ের 42 নম্বর পাতায় শ্রীধর ‘ক্র্যাকিং দ্য় কমিউনিকেশন কোড’ নামে একটি অধ্যায় লিখেছেন ৷ সেখানে তিনি বিরাট কোহলিকে নিয়ে লিখেছেন ৷ যে সময় কোহলি টেস্ট দলের অধিনায়ক ৷ কিন্তু, তখনও সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁকে অধিনায়কত্বের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছিল ৷ শ্রীধর লিখেছেন, ‘‘সময়টা 2016 সাল, যখন কোহলি অধীর আগ্রহে বসে রয়েছে সাদা বলের ক্রিকেটেও অধিনায়কত্ব করার জন্য ৷ ও এমন কিছু কথা বলেছিল, যা বুঝিয়ে দিয়েছিল যে, ও অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেতে মরিয়া হয়ে রয়েছে ৷’’
আরও পড়ুন: শেষবার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে নামার আগে আবেগঘন বার্তা সানিয়ার
শ্রীধরের বইয়ের লেখা অনুযায়ী, সেখানেই বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন রবি শাস্ত্রী ৷ শ্রীধর লিখেছেন, ‘‘একটা সন্ধ্যায় রবি বিরাটকে ডেকে বলেন, ‘দেখো বিরাট, এমএস লাল বলের ক্রিকেটে এটা (অধিনায়কত্ব) তোমায় দিয়েছে ৷ তোমায় ওকে সম্মান করতে হবে ৷ ও সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও তোমাকেই দায়িত্ব দেবে ৷ নয় তো, ভবিষ্যতে যখন তুমি অধিনায়ক হবে, তখন তুমিও দলের থেকে সেই সম্মানটা পাবে না ৷’’
শ্রীধর লিখেছেন, শাস্ত্রীর সেদিনের পরামর্শকে বিরাট গাঁট বেঁধে নিয়েছিলেন ৷ আর তার এক বছরের মধ্যে সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন বিরাট ৷ শ্রীধরের লেখায় উঠে এসেছে, দলের সবচেয়ে খারাপ কাজের দায়িত্বটা শাস্ত্রী নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন ৷ সেখানে তিনি দায়িত্ব নিয়ে কোনও ক্রিকেটারকে দল থেকে বা ম্যাচে বসানোর কথা বলতেন ৷