ধরমশালা, 15 সেপ্টেম্বর : দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে T-20 ম্যাচে এখনও জয়ের মুখ দেখেনি ভারত ৷ আজ সেই রেকর্ড বদলে ফেলার চ্যালেঞ্জ নিয়েই মাঠে নামতে চলেছেন বিরাট কোহলিরা ৷ অতীতের ছায়ামাত্র এই দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে বাজি ধরছেন না তেমন কোনও বিশেষজ্ঞই ৷ যদিও মাঠে নামার আগে ডেভিড মিলারের হুঙ্কার, "আমরা জিততে এসেছি ৷"
আগামী বছর T-20 বিশ্বকাপের আগে 20টার মতো T-20 ম্যাচ খেলবে ভারত ৷ এর আগে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ়কে 3-0 ব্যবধানে উড়িয়ে দিলেও সেভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি কোহলিদের ৷ তাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের T-20 সিরিজ়ে একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে ৷ ব্যাটিংয়ে মূল চিন্তার বিষয় অবশ্যই চার নম্বর নিয়ে ৷ 50 ওভারের বিশ্বকাপে চার নম্বরে কে নামবেন সেই উত্তর খুঁজে বের করতে না পারায় ভুগতে হয়েছিল ৷ তাই কুড়ি ওভারের বিশ্বকাপের আগে এটাই টিম ম্যানেজমেন্টের কাছে সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় ৷ ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে চার নম্বরে মণীশ পান্ডেকে খেলানো হলেও একেবারেই ফর্মে ছিলেন না কর্নাটকের এই ব্যাটসম্যান ৷ মিলারদের বিরুদ্ধে তাই শ্রেয়স আইয়ারকে খেলাতে পারেন কোহলি ৷
এদিকে জসপ্রীত বুমরাকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ়ে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে ৷ তাঁর অনুপস্থিতিতে ভারতের পেস অ্যাটাকের দায়িত্ব থাকবে দীপক চাহার, নভদীপ সাইনিদের কাঁধে ৷ ক্যারিবিয়ান সফরে দুজনেই বল হাতে সফল হয়েছিলেন ৷ মিলারদের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ফের সুযোগ পেয়েছেন তাঁরা ৷ দুই প্রতিভাবান পেসার যদি নিজেদের পারফরমেন্স ধরে রাখতে পারেন তাহলে পরের বছর বিশ্বকাপে তাঁদের টিকিট নিশ্চিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের ৷ তবে রবি শাস্ত্রী-বিরাট কোহলিদের কাছে বড় প্রশ্ন হল, বিশ্বকাপে রিস্ট স্পিনার না কি ফিঙ্গার স্পিনার ? 2017 সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে হারের পর দ্রুত গতিতে উঠে এসেছিলেন কুলদীপ যাদব ও যুজবেন্দ্র চহাল ৷ কিন্তু, তাঁদের সাম্প্রতিক ফর্ম চিন্তায় রেখেছে কোহলিদের ৷ মাঝের ওভারগুলিতে যথেষ্ট রান খরচ করেছেন দুই স্পিনারই ৷ তাই ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে পরীক্ষা করা হয়েছিল রাহুল চাহারকে দলে নিয়ে ৷ আহামরি না হলেও খুব একটা খারাপ পারফরমেন্স করেননি রাজস্থানের লেগ স্পিনার ৷ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁকে নিয়েও পরীক্ষা করা হতে পারে ৷ আর তিনি যদি সফল হন, সেক্ষেত্রে কুল-চা জুটির পক্ষে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়া যথেষ্ট কঠিন হয়ে যাবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের৷ অলরাউন্ডারদের মধ্যে এগিয়ে হার্দিক পান্ডিয়া ৷ অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁর বোলিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে ভারতের কাছে ৷ মূল প্রশ্নটা, রবীন্দ্র জাদেজা ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার মধ্যে বিশ্বকাপের প্রথম এগারোয় কে সুযোগ পাবেন? দুই তারকাই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দলে রয়েছেন ৷ তাঁদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলানো হতে পারে ৷ তবে ফিল্ডিং,বোলিং ও ব্যাটিং তিন বিভাগেই বেশ খানিকটা এগিয়ে রয়েছেন জাদেজা ৷
এদিকে, একঝাঁক তরুণ রক্ত এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ৷ পুরোনো মুখ বলতে কুইন্টন ডি কক, কাসিগো রাবাডার মতো কয়েকজনই ৷ এ বি ডিভিলিয়ার্স, ফ্যাফ ডু'প্লেসিসেসের অনুপস্থিতিতে রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার ভরসা ডি কক, মিলাররা ৷ বোলিং বিভাগকে নেতৃত্ব দেবেন রাবাডা ৷ বিশ্বকাপের আগে তাঁদেরও একাধিক প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ৷ বিশেষত, খুঁজে বের করতে মিডল অর্ডারের ডিভিলিয়ার্সের বিকল্প ৷ যদিও নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মিলার ৷ IPL-এর সৌজন্যে হাতের তালুর মতো চেনা ভারতের মাটিতে প্রোটিয়ারা ভালো পারফরমেন্স করবে বলে মত তাঁর ৷ আর সেজন্য ভারতের অনভিজ্ঞ পেস অ্যাটাকের উপর চাপ তৈরি করতে চান প্রোটিয়াদের সহকারী ব্যাটিং কোচ ল্যান্স ক্লুজ়নার ৷