দিল্লি, 8 জুন : দু'জনই দিল্লির বাসিন্দা ৷ দু'জনই অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপজয়ী দলের অধিনায়ক ৷ ব্যাস ওইটুকুই ৷ এরপর থেকেই উন্মুক্ত চাঁদ আর বিরাট কোহলির জীবনের গল্পটা একেবারেই ভিন্ন ৷ একজন জাতীয় দলের অধিনায়ক৷ বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ৷ রয়েছেন জনপ্রিয়তার শিখরে ৷ আর অন্যজন জাতীয় দলে সুযোগই পেলেন না ৷ এমনকী নিজের রাজ্যে সুযোগ না পেয়ে অন্য রাজ্যে পা বাড়িয়েছেন ৷ ঠাঁই হয়নি IPL-এও ৷ দেশের ক্রিকেটের একসময়ের উদীয়মান তারা হিসেবে উঠলেও সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি ৷ একসময় যাঁর সঙ্গে কোহলির তুলনা হতো, বছর সাতাশের সেই উন্মুক্ত চাঁদ আক্ষেপ করে বলছেন, "আমার গল্পটাও অন্যরকম হতে পারত ৷"
সম্প্রতি প্রাক্তন ক্রিকেটার আকাশ চোপড়ার ইউটিউব চ্যানেলে উন্মুক্ত চাঁদ বলেন, "চার বছর আগে (2008 সালের অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ) বিরাট ভাইকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বকাপ জয় করে ফিরতে দেখেছিলাম ৷ আমার উপর এর ভীষণ প্রভাব পড়েছিল ৷ তাই অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ জেতাটা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল ৷ এমনটা নয় যে সবসময় কেউ ভারতের হয়ে খেলার সুযোগ পাবে ৷ তবে আমার গল্পটাও অন্যরকম হতে পারত ৷" 2012 সালে উন্মুক্ত চাঁদের নেতৃত্বে অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত ৷ সেইসময় তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেটের নেক্সট বিগ থিং বলে ধরে নিয়েছিল ক্রিকেট বোদ্ধারা ৷ কিন্তু আটটা বছর কেটে গেলেও উন্মুক্তের কাছে জাতীয় দলের দরজা উন্মুক্ত হয়নি ৷ তিনি বলেছেন, "এমনটা নয় যে আমি সুযোগ পাইনি ৷ ইন্ডিয়া "এ" টিমের হয়ে খেলেছি ৷ 2016 সালে নেতৃত্বও দিয়েছি ৷ রানের মধ্যেই ছিলাম ৷ কয়েকবার তো আমাকে বলা হয়েছে, তৈরি থেকো, যেকোনও মুহূর্তে ডাক আসতে পারে ৷ সুযোগ পেলে কী হত তা ভেবে এখন লাভ নেই ৷"
দিল্লির এই ব্যাটসম্যান আরও বলেন, "ভারতীয় টিমে কম্বিনেশন বলে একটা ব্যাপার আছে ৷ আমি যখন ভালো খেলছিলাম তখন সিনিয়র টিমে বীরু ভাই (বীরেন্দ্র সেওয়াগ) ও গৌতম ভাই (গৌতম গম্ভীর) ওপেনিং করতেন ৷ পরে ভারতীয় দলের একজন ভালো ওপেনারের প্রয়োজন পড়ে ৷ কিন্তু সেইসময় আমি ফর্মে ছিলাম না ৷ এই বিষয়গুলিও প্রভাব ফেলেছে ৷"