হায়দরাবাদ, 21 জানুয়ারি : অস্ট্রেলিয়ায় বসেই বাবার মৃত্যুর খবর পেয়েছিলেন ৷ চেয়েছিলেন টেস্টের সাদা জার্সিতে মাঠে নেমে প্রয়াত বাবার শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে ৷ তাই দেশে ফিরে আসেননি ৷ প্রিয়জনের মৃত্যুর কষ্ট চেপে বাইশ গজে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছিলেন মহম্মদ সিরাজ ৷ সকাল নটায় হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে নেমে সোজা বাবাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পৌঁছে যান সিরাজ ৷ তারপরই বাড়ি ফেরেন ৷
আইপিএল শেষে আরব আমিরশাহী থেকে জাতীয় দলের সঙ্গে সোজা অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের পেসার মহম্মদ সিরাজ ৷ তার সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ফুসফুসের সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয় সিরাজের বাবা মহম্মদ ঘাউসের ৷ বয়স হয়েছিল মাত্র 53 বছর ৷ অস্ট্রেলিয়ায় যখন সেই দুঃসংবাদ পৌঁছায় তখন সিডনির ব্ল্যাকটাউন ওভালে অনুশীলনে মগ্ন সিরাজ ৷ ট্রেনিংয়ের পর কোচ রবি শাস্ত্রী এবং অধিনায়ক বিরাট কোহলি সিরাজকে এই দুঃসংবাদ দেন ৷ দেশে ফিরে আসার পথ থাকলেও তা করেননি সিরাজ ৷ বরং টেস্টে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করে বাবার ইচ্ছে পূরণ করতে থেকে গিয়েছিলেন ৷
মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেকে দুই ইনিংস মিলিয়ে পাঁচটি উইকেট তুলে নেন সিরাজ ৷ এরপর ব্রিসবেন টেস্টে মাঠে আগুন ঝরান ৷ এক ইনিংসে তোলেন পাঁচটি উইকেট ৷ অস্ট্রেলিয়া সফরে সর্বোচ্চ (13) উইকেটসংগ্রহকারী তিনিই ৷ দৃঢ়চিত্তের সেই ছেলেটিকেই আবার জাতীয় সঙ্গীতের সময় চোখ মুছতে দেখা গিয়েছে ৷ দলের মেনস্ট্রিম বোলারদের অনুপস্থিতিতে তাঁর কাঁধে যে দায়িত্ব এসে পড়েছিল তা দায়িত্বের সঙ্গে পালন করেছেন ৷ 63 দিন পর বাড়ি ফিরে বড় ছেলের দায়িত্বও পালন করলেন ৷ হায়দরাবাদ বিমানবন্দর থেকে খৈরতাবাদে বাবার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে যান ৷ সিরাজের বন্ধু জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে বাবাকে জড়িয়ে ধরতে পারলে সিরাজ খুব খুশি হত ৷ নিজের সাফল্যের কাহিনি শোনাতে পারত ৷ কিন্তু ভাগ্যে হয়তো অন্যরকম কিছু লেখা ছিল ৷