পোচেস্ট্রুম, 9 ফেব্রুয়ারি: গোটা দেশ তাকিয়ে ছিল তাঁর দিকে ৷ সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও যশস্বী জয়সওয়ালের ব্যাটে ঝড় উঠবে, আশা ছিল দেশবাসীর ৷ ঝড় উঠল না। কিন্তু, আশাহতও করেননি যশস্বী। শতরানের কাছাকাছি পৌঁছেও থমকে যেতে হল তাঁকে ৷ 121 বলে 88 রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি ৷ যশস্বী ফিরতেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ভারতের ব্যাটিং লাইন-আপ ৷ অনূর্ধ্ব-19 বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করে 47.2 ওভারে 177 রান তুলেছে ভারত ৷ এই ম্যাচে জয় পেতে হলে পোচেস্ট্রুমের মাঠে জ্বলে উঠতে হবে ভারতের বোলিং ব্রিগেডকে ৷
দলীয় 9 রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল ভারত ৷ ওপেনার দিব্যাংশ সাক্সেনাকে 2 রানে ফিরিয়ে ভারতকে জোর ধাক্কা দেন অভিষেক দাস ৷ সেখান থেকে যশস্বী এবং তিলক ভার্মা জুটি ভারতের স্কোর একশোর উপরে নিয়ে যায় ৷ শম্বুক গতিতে হলেও স্কোরবোর্ড সচল রাখেন দুজনে ৷ দলীয় 103 রানে ফেরেন তিলক ভার্মা (38) ৷ ততক্ষণে অর্ধশতরান করে ফেলেছেন যশস্বী ৷ 89 বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন ৷ চাপের মুখে ব্যর্থ হন অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ ৷ 9 বলে 7 রান তুলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ৷ তবে উইকেট আঁকড়ে পড়েছিলেন যশস্বী৷ বাংলাদেশি পেসারদের সামনে ভারতীয় ব্যাটিং ব্রিগেডকে অসহায় দেখালেও দৃঢ় ছিলেন বছর আঠারোর বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান ৷ তিনিই ছিলেন ভারতের ভরসা ৷ 156 রানে তানজাদ হাসানের বলে শরিফুল ইসলামের হাতে ক্যাচ ধরে সাজঘরের পথ ধরেন ৷ যশস্বী ফেরার পর কিছুটা চেষ্টা চালান ধ্রুব জুরেল ৷ 22 রান করে রান আউটের শিকান হন ৷ এরপর বাকিরা আসা যাওয়ার খাতায় নাম লেখান ৷
অতিরিক্ত সাবধানী হয়ে খেলতে গিয়ে ভারতের ইনিংস গতি পেল না মোটেও ৷ 16.1 ওভারে ভারতের প্রথম পঞ্চাশ রান এসেছিল ৷ 50 ওভারে দুশো রানে গণ্ডিও পার করতে পারল না মেন ইন ব্লু ৷ 177 রানের পুঁজি নিয়ে ভারতের বোলিং ব্রিগেড কী ম্যাজিক দেখায় সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ ৷