নয়াদিল্লি, 10 মার্চ : ছুটিতে পাঠানো হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের সিইও মনু সোহনিকে ৷ আচরণগত সমস্যার কারণে অডিট সংস্থা প্রাইস ওয়াটার হাউজ় কুপার্সের অন্তর্বর্তী তদন্তে মনু সোহনির তদন্তকারীদের স্ক্যানারে এসেছেন ৷ এর ফলে সোহনিকে তাঁর সময় শেষের আগে আইসিসি-র সিইও পদ থেকে ইস্তফা দিতে হতে পারে বলে আইসিসি সূত্র খবর ৷
প্রসঙ্গত, 2019 বিশ্বকাপের পর ডেভ রিচার্ডসনের জায়গায় আইসিসি-র সিইও পদে 2022 সাল পর্যন্ত তাঁকে নিযুক্ত করা হয় ৷ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিযোগ ওঠে, মনু সোহনি তাঁর সহর্কমীদের সঙ্গে খুবই বাজে ব্যবহার করেন ৷ এমনকি বিশ্ব ক্রিকেটে ক্ষমতাসীন কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ডের সদস্যের সঙ্গেও বাজে ব্যবহার করেছেন মনু সোহনি ৷ এ নিয়ে আইসিসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘‘আইসিসির একাধিক কর্মীর কাছ থেকে তাঁর ঘৃণ্য ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ এসেছিল ৷ যা একটি দক্ষ কর্মীদের দলের মনোবলে খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে ৷’’
দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠার পর থেকেই বেশ কয়েকদিন আইসিসি-র অফিসে যাননি মনু সোহনি ৷ এরপর মঙ্গলবার থেকে তাঁকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আইসিসি সূত্রে খবর, বোর্ড অফ ডিরেক্টরস কমপ্রোমাইজ় ফর্মুলাতে সম্মানের সঙ্গে সোহনিকে সিইও পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য বলতে পারে ৷ প্রসঙ্গত, আইসিসি-র নয়া চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া কার্যকর হওয়ার সময় থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে তিনি বেশ কিছুটা চাপে ছিলেন ৷ পরবর্তী সময়ে গতবছর নভেম্বর মাসে গ্রেগ বার্কলে আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে আসেন ৷
আরও পড়ুন : বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল এখন ভারত
মনু সোহনির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে বলা হয়েছে, ডেভ রিচার্ডসন কর্মীদের সঙ্গে যে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতেন তার কোনও লক্ষণ মনু সোহনির ব্যবহারে পাওয়া যায়নি ৷ এমনকি তাঁর কাজের ধরণটাই ছিল কর্তৃত্ববাদী দৃষ্টিভঙ্গির ৷ যা আইসিসি-র অন্যান্য কর্মীদের কাছে খুবই অপমানজনক ছিল ৷ এমনকি বেশ কয়েকটি ক্রিকেট বোর্ড তাঁর উপর অখুশি ছিল ৷ কারণ অভিযোগ উঠেছে, গত বছর নির্বাচনের সময় তিনি অন্তর্বর্তী চেয়ারম্যান ইমরান খাওয়াজাকে প্রতি মুহূর্তে সমর্থন করে যাচ্ছিলেন ৷
এমনকি বেশ কয়েকটি বড় ক্রিকেট বোর্ড তাঁর উপর ক্ষুব্ধ ছিল আইসিসি-র নেওয়া সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্তকে সমর্থন করার জন্য ৷ যেখানে সবক’টি বোর্ডকে বলা হয়েছে, পরবর্তী সময়ে আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বিড করতে হবে এবং টাকা দিতে হবে ৷