কলকাতা, 18 জুন : কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরার চেষ্টা হচ্ছে । তবে তা এখনও গতি পায়নি। বল গড়াচ্ছে না কলকাতা ময়দানে। ক্রিকেট মরশুম বাতিল করা হয়েছে। নতুনভাবে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে মরশুম শুরু করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন। জুলাই মাসে সদ্য শেষ হওয়া মরশুমের সেরা পারফর্মারদের পুরস্কার দেওয়া হয় । চ্যাম্পিয়ন ক্লাবের হাতে তুলে দেওয়া হয় ট্রফি। বয়সভিত্তিক থেকে সিনিয়র বিভাগের ক্রিকেটাররা তাদের পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি পান। কিন্তু যেখানে মরশুম শেষ করা যায়নি সেখানে ব্যক্তি নৈপুণ্যের স্বীকৃতি দেওয়া হবে কীভাবে। ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গলের যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস জানিয়েছেন,"আর কয়েকদিনের মধ্যে CAB খুলতে চলেছে। তখন প্রেসিডেন্ট, দুই সচিব এবং অন্য পদাধিকারীরা মিলে পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"
পরিসংখ্যান বলছে এর আগে কখনও CAB-র বর্ষসেরা অনুষ্ঠান হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়নি। এটাও ঠিক, এইরকম পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি। অথচ সদ্য শেষ হওয়া মরশুমে বাংলার ক্রিকেট পারফরম্যান্স যথেষ্ট ভালো। অভিমন্যু ঈশ্বরনের নেতৃত্বাধীন বাংলা দল রণজি ট্রফিতে রানার্স হয়েছে। মেয়েদের ক্রিকেটের পারফরম্যান্স সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভালো। তাই তাদের কৃতিত্বকে পুরস্কৃত করার পরিকল্পনা থাকলেও তা কতটা সম্ভব হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। পাশাপাশি নতুন মরশুমে বাংলা দল বাছতে ঘরোয়া ক্রিকেটে স্থানীয় ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স বড় ভূমিকা নেয়। সেই মতো সম্ভাব্য দল তৈরি হয়। এই ব্যাপারে নির্বাচকদের ভূমিকা কী হতে চলেছে সেটা দেখার। "আমরা ইতিমধ্যে নির্বাচকদের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করেছি," বলেছেন দেবব্রত দাস।
নতুন মরশুমে কোচের পদে ফের অরুণ লাল। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে CAB প্রেসিডেন্ট অভিষেক ডালমিয়া বলেছেন, "ক্রিকেটাররা যতক্ষণ মাঠে না নামছেন, পারস্পরিক সম্পর্ক তৈরি হওয়া কঠিন।এই অবস্থায় ডিজিটাল মাধ্যম কাজে লাগিয়ে টিম স্পিরিট ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়েছে । গত মরশুমের ব্যক্তিগত এবং দলগত সাফল্য এই মরশুমে উন্নতির চেষ্টা করাই আমাদের পাখির চোখ।"
গত মরশুমের সাফল্য এবং কোথায় উন্নতি করা যায় তা নিয়ে কথা হয়েছে । কঠিন সময়ে শারীরিক এবং মানসিকভাবে ফিট থাকা জরুরি ।
কোচ অরুণ লাল বলেছেন,"খেলোয়াড়দের পক্ষে কাজটা মোটেই সহজ নয়। দীর্ঘদিন তারা ঘরবন্দী । অনিশ্চিত সবকিছু । ফলে ক্লান্তি এসে পড়ে সহজে। এই অবস্থায় সকলের একসাথে হওয়া জরুরি। এই ধরনের মিটিং প্রতি সপ্তাহে একবার করা হবে।" অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন বলেছেন, গত মরশুমের তুলনায় কীভাবে উন্নতি করা যায় সেব্যাপারে কথা বলেছে সবাই । নতুন মরশুমের সলতে পাকানোর কাজ শুরু হয়েছে বাংলার সাজঘরের অন্দরমহলে ।