কলকাতা, 26 ডিসেম্বর : আলোর অভাবে সারাদিনে চারবার বন্ধ হল খেলা । আলোর উন্নতি না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই দিনের খেলা পরিত্যক্ত বলে জানিয়ে দেন আম্পায়াররা । বিক্ষিপ্তভাবে 21 ওভারে বল হয়েছে । 4 উইকেটে 241 রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলা অলআউট 289 রানে । প্রথম দিনে 110 রানে অপরাজিত অভিষেক রামন আজ প্রথম ওভারে মাত্র দু'রান যোগ করে সাজঘরে ফিরে যান । বাকিটা সময় মেঘলা আবহাওয়া ও ভেজা পিচে অন্ধ্রপ্রদেশ বোলারদের সামলাতে ব্যর্থ শ্রীবৎসরা । 101 মিনিট খেলা হওয়া সম্ভব হয়েছে । আলোর অভাবে খেলা পুরো না হওয়ায় হতাশ বাংলার কোচ অরুণলাল । তিনি বলেন, "এর ফলে হয়তো বাংলার পক্ষে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা কঠিন হয়ে গেল ।"
বিক্ষিপ্তভাবে খেলা বন্ধ হওয়া নিয়ে বাংলা ও অন্ধ্রপ্রদেশ শিবিরের হতাশা ছাপিয়ে ইডেনে সরগরম জাতীয় নির্বাচক দেবাং গান্ধির কর্মকাণ্ড । এই জাতীয় নির্বাচক গত দু'দিন ধরে ইডেনে বাংলা বনাম অন্ধ্রপ্রদেশ রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ দেখতে আসছেন । আজ সকালেও তিনি বাংলার ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করেন ।নিয়ম অনুযায়ী খেলা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট দলের ক্রিকেটার বা অনুমতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ড্রেসিংরুমে প্রবেশ করতে পারেন । তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এমন ছবি সম্বলিত অনুমতি পত্র সাজঘরে টাঙিয়ে দেওয়া হয় । আর এখান থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত । জাতীয় নির্বাচকের সাজঘরে প্রবেশ নিয়ে সরব হন মনোজ তিওয়ারি । তিনি বিষয়টি অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের সদস্যের নজরে আনেন । ফলে জাতীয় নির্বাচককে সাজঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয় ।
এখন প্রশ্ন হল কেন বাংলার সাজঘরে গিয়েছিলেন দেবাং ? এবিষয়ে মনোজ তিওয়ারি জানান, পিঠের ব্যাথার সমস্যা নিয়ে বাংলা দলের ফিজিয়োর খোঁজ করতে গিয়েছিলেন দেবাং । যা তিনি করতে পারেন না । বিষয়টি অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের নজরে আনা হলে তৎক্ষণাৎ তারা দেবাংকে বেরিয়ে যেতে বলেন । প্রসঙ্গত, এই বিষয়টি যখন ঘটেছে তখন আলোর অভাবে খেলা বন্ধ ছিল । জাতীয় নির্বাচক এবিষয়ে নিজে বলছেন, এই ঘটনায় বিতর্কের কিছু নেই । তিনি বাংলার সাজঘরে গিয়েছিলেন কোচ অরুনলালের আমন্ত্রণে । উদ্দেশ্য ছিল পিঠের ব্যাথার সমস্যা সারাতে মেডিকেল ইউনিটের পরামর্শ নেওয়া ।
এবিষয়ে অরুণলালকে প্রশ্ন করা হলে তিনি একটি শব্দও খরচ করতে রাজি হননি । তবে, CAB-র যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া প্রেস বিঞ্জপ্তিতে পুরো বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছেন । দেবাং গান্ধি যে অনুমতি না নিয়েই বাংলার সাজঘরে প্রবেশ করেছিলেন তা তারা মেনে নিয়েছেন । মেডিকেল ইউনিটের কাছে পিঠের ব্যাথার চিকিৎসার কথাটি বিজ্ঞপ্তিতেও রয়েছে । পাশাপাশি বেরিয়ে দেবাং গান্ধি যে মেডিকেল ইউনিটে পিঠের ব্যাথার চিকিৎসা করিয়েছেন তা জানানো হয়েছে ।