কলকাতা, 2 মার্চ: "উলটে দেখুন পালটে গেছে" কথাটা ঈশান পোড়েল সম্পর্কে বললে বোধহয় বাড়াবাড়ি হবে না । ইডেনে কর্নাটকের ব্যাটসম্যানদের দমিয়ে রাখার কাজটা একাই গত দু'দিন ধরে করে চলেছেন তিনি । শুধু সেমিফাইনাল নয়, মরশুম জুড়েই বাংলার বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ঈশান । এই ধারা বজায় রাখলে টিম ইন্ডিয়ার সাজঘরে ঈশানের দেখা পাওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছেন অনেকে। 4 উইকেটে 72 রান নিয়ে খেলা শুরু করে বাংলার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় 161রানে । 190রানের লিড নিয়ে বাংলার রান পৌছায় 351-এ ।
সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের 45 এবং অনুষ্টুপ মজুমদারের 41 ছাড়া তেমন কেউ রান পাননি । পরিসংখ্যান বলছে, চতুর্থ ইনিংসে কর্নাটক সবচেয়ে বেশি 264 রান তাড়া করেছে । তৃতীয় দিনের শেষে করুণ নায়ারের দল তিন উইকেটে 98 রানে পৌঁছেছে । আউট হয়েছেন মণীশ পান্ডে (10) এবং পাডিক্কাল (50) । তবে দিনের শেষে কর্নাটকের কে গৌতম বলছেন, বাকি দুদিনে 254 রান পার করার ক্ষমতা তাদের রয়েছে । আগামী দুদিনে 22 গজ আরও ধীর গতিতে পরিণত হবে । ফলে কর্নাটক শিবিরের দাবির পিছনে যুক্তি রয়েছে । বাংলা শিবির জুড়ে রয়েছে আরও 100 রান না করতে পারার আক্ষেপ ।
দলের টপ অর্ডার ব্যর্থ হওয়ার অভ্যাস কীভাবে বদল করা যায়, তা খুঁজে বের করতে ব্যর্থ কোচ অরুণলাল । বোলারদের পারফরমেন্সের ব্যাখ্যায় নতুন বিশেষণের খোঁজেই ব্যস্ত বাংলার কোচ । প্রথম ইনিংসে কর্নাটকের মতো প্রতিপক্ষকে কম রানে বেধে ফেলার পরও দ্বিতীয় ইনিংসে একই রকম বল করেছেন ঈশান পোড়েল, আকাশদীপ, মুকেশ কুমাররা ।
রণজি ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে দ্রুত আরও সাতটি উইকেট তুলতে হবে । বোলিংয়ে আগুন ঝড়াচ্ছেন ঈশান । নির্ভুল লাইনে বল করছেন তিনি । 18 রানের বদলে একটি উইকেট রয়েছে আপাতত তাঁর ঝুলিতে । ঈশানের বোলিংয়ের হদিশ কে এল রাহুলের মতো ব্যাটসম্যানও পাননি । মুকেশ কুমার এবং আকাশদীপও একই রকম আগ্রাসী ফর্মে রয়েছেন ।
দীর্ঘদিন পর বাংলার পেস আক্রমণকে ঝাঁঝালো দেখাচ্ছে , যার সামনে যে কোনও প্রতিপক্ষ দুশ্চিন্তায় পড়তে বাধ্য । বোলিংয়ে গতির দাপটে রণজি ফাইনালের টিকিট পাওয়া যাবে কি না তার উত্তর পাওয়া যাবে আগামী দুদিনের মধ্যে । কর্নাটক বলছে তাঁরা জিতবে, অন্যদিকে অরুণলাল বলছেন 100 রান বেশি হলে অবস্থানটা আরও জোরদার হত । তবে তিনি এতেও খুশি ।