কোচি, 22 জুন : আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন ভারতীয় পেসার শান্তাকুমারণ শ্রীসান্থ ৷ 2013 সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে স্পট ফিক্সিং কাণ্ডে নাম জড়ায় শ্রীসান্থের ৷ তারপরই BCCI শ্রীসান্থকে আজীবন নির্বাসন দেয় ৷ তখনই তিনি আত্মহত্যার কথা ভেবেছিলেন বলে জানান শ্রীসান্থ ৷
যদিও 2015 সালে দিল্লির একটি বিশেষ আদালত তাঁকে সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি দেয় । কিন্তু শ্রীসান্থ গতকাল জানান, তিনি তাঁর জীবনের সেই অন্ধকারময় সময়ে আত্মঘাতী হওয়ার চিন্তার বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই করেছিলেন ।
2011 ওয়ান ডে ও 2007 টি-20 বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য বলেন,‘‘ এটি এমন একটি বিষয়, যার সঙ্গে আমি 2013 সালে ক্রমাগত লড়াই করেছিলাম ৷ আমি যখন যা-ই করতাম, তখনই আমার আত্মহত্যার কথা মনে হত ৷ কিন্তু আমার পরিবার আমাকে নজরে রেখেছিল ৷ আমাকে সবসময় পরিবারের সঙ্গে থাকতে হত ৷ আমি জানতাম ওদের আমাকে প্রয়োজন ৷ ’’
শ্রীসান্থ জানান, তিনি প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের খুব ভালো বন্ধু ছিলেন ৷ 14 জুন নিজার বান্দ্রার আবাসনে আত্মহত্যা করেন সুশান্ত ৷ সুশান্তকে নিয়ে শ্রীসান্ত বলেন, ‘‘সুশান্ত আমার খুব ভালো বন্ধু ছিল ৷ তাই ওঁর মৃত্যুটা আমার উপর চরম প্রভাব ফেলেছে ৷ আমিও একসময় ওই একই জায়গায় ছিলাম ৷ কিন্তু আমি সেখান থেকে ফিরে আসি ৷ কারণ আমি জানতাম যাঁরা তোমাকে বিশ্বাস করে ও তোমাকে ভালোবাসে এটা তাঁদের উপর কতটা প্রভাব ফেলবে ৷ আমি আমার জীবনের অন্ধকারময় সময়টা নিয়ে একটি বই লিখছি ৷ হয়ত এক মাসের মধ্যেই সেটা প্রকাশিত হবে ৷ তবে একাকিত্ব সবসময় খারাপ হয় না ৷ কখনও কখনও একাকিত্ব থেকেই ভালো জিনিসগুলি বেরিয়ে আসে ৷’’
আরও পড়ুন :-সুযোগ পেলে ফের জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান শ্রীসন্থ
নিজের শাস্তির বিরোধিতা করে শ্রীসান্থ সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ৷ সুপ্রিম কোর্টের বিশেষ আদালত BCCI-কে তাঁর শাস্তি কমানোর নির্দেশ দেয় ৷ তারপরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁর শাস্তি কমিয়ে 7 বছর করে ৷ অর্থাৎ চলতি বছরের অগাস্ট মাসেই তাঁর নির্বাসন উঠতে চলেছে ৷ দেশের হয়ে শ্রীসান্থ এখনও পর্যন্ত 27টি টেস্ট, 53টি ওয়ান ডে ও 10টি টি-20 ম্যাচ খেলেছেন ৷