ETV Bharat / sports

"ম্যাচ হেরেছি, অথচ আমার আইলাইনার নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে"

চলতি বছরে টি-20 বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে 18 রানে হারিয়েছিল ভারত ৷ তবে পড়শি দেশের হারের চেয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় উঠে আসেন অধিনায়ক জাহানারা আলম ৷ সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সক্রিয়তা, মাঠের পারফরম্যান্স, টি-20 বিশ্বকাপের খারাপ প্রদর্শন, মেয়েদের IPL খেলার অভিজ্ঞতা সহ নানা বিষয়ে ETV ভারতের সঙ্গে কথা বললেন জাহানারা ৷

জাহানারা আলম সাক্ষাৎকার
জাহানারা আলম সাক্ষাৎকার
author img

By

Published : Jul 15, 2020, 4:23 PM IST

কথায় বলে রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী ৷ বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট টিমের তারকা পেসার জাহানারা আলমের ক্ষেত্রে কথাটা একেবারে যথার্থ ৷ মাঠে নামলেও চোখের কোণে কাজলের রেখা টানতে ভোলেন না তিনি ৷ চলতি বছরে টি-20 বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে 18 রানে হারিয়েছিল ভারত ৷ তবে পড়শি দেশের হারের চেয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় উঠে আসেন অধিনায়ক জাহানারা আলম ৷ সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সক্রিয়তা, মাঠের পারফরম্যান্স, টি-20 বিশ্বকাপের খারাপ প্রদর্শন, মেয়েদের IPL খেলার অভিজ্ঞতা সহ নানা বিষয়ে ETV ভারতের সঙ্গে কথা বললেন জাহানারা ৷

  • ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জন্মাল কবে ?

জাহানারা : আমার ক্রিকেটে পা দেওয়ার গল্প শুনে অনেকেই মজা পান ৷ তবে আমার কাছে বিষয়টি খুব সোজা ৷ তখন আমার 14 বছর বয়স ৷ আমার কাছে খেলা মানে ছিল হ্যান্ডবল আর ভলিবল ৷ ক্রিকেটের নিয়ম কানুনের বিন্দুবিসর্গও বুঝতাম না বলে তখনও টিভি খুলে ক্রিকেট ম্যাচ দেখিনি ৷ বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের কোচ তখন সেখ সালাউদ্দিন ৷ মেনস্ট্রিম ক্রিকেট দলের বাইরে তিনি মেয়েদের আরও একটি টিম তৈরি করতে চেয়েছিলেন ৷ সেই টিমে আমাকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন সালাউদ্দিন স্যার ৷ আমিও প্রস্তাব পেয়ে হ্যাঁ করে দিই ৷ সালটা ছিল 2007 ৷

প্রথম প্রথম সব বিভাগেই ব্যর্থ হতাম ৷ বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং কোনওকিছুই পারতাম না ৷ তবে হাল না ছেড়ে কোচ আমাকে অনুশীলন চালিয়ে যেতে বলেন ৷ একমাসের মধ্যে আমি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে দলে পরিচিতি পাই ৷ আমাদের প্রথম টুর্নামেন্ট ছিল ওপেন টুর্নামেন্ট ৷ আমিই ছিলাম টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ৷ পরের বছরই জাতীয় দলে ডাক পাই ৷ সেই তখন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সদস্য আমি ৷

  • ক্রিকেটার হতে গিয়ে কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে ?

জাহানারা : এক্ষেত্রে আমি নিজেকে লাকি মনে করি ৷ কারণ ক্রিকেট জগতে প্রবেশের জন্য আমাকে বেশি স্ট্রাগল করতে হয়নি ৷ পরিবার সব সময় আমার পাশে থেকেছে ৷ বাবার সাপোর্ট সবচেয়ে বেশি পেয়েছি ৷ এখনও পাই ৷ যখন খেলা শুরু করি অনেকেই বাবাকে উপদেশ দিয়েছিল, মেয়েকে ক্রিকেটার না বানিয়ে পড়াশোনা শিখিয়ে বিয়ে দিন ৷ বাবা বলেছিল, ও তো কিছু ভুল করছে না ৷ আমার মেয়ে খেলতে চাইলে খেলুক ৷

জাহানারা আলম সাক্ষাৎকার
  • এতো গেল আপনার কথা ৷ কিন্তু সব মেয়ে তো এতটা লাকি হয় না

জাহানারা : 2018 সালের আগে সত্যিই বিষয়টি বেশ কঠিন ছিল ৷ কিন্তু 2018 সালের এশিয়া কাপের পর পরিস্থিতি বদলে যায় ৷ এশিয়া কাপের পর থেকেই অভিভাবকরা মেয়েদের ক্রিকেট মাঠে পাঠাতে শুরু করে ৷ শুধু ক্রিকেটই নয়, সব খেলার ক্ষেত্রেই এটা ঘটেছে ৷ অভিভাবকরা মেয়েদের খেলাধুলোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে ৷

  • বাংলাদেশে মহিলা ক্রিকেট কতটা জনপ্রিয় ?

জাহানারা : এখন প্রচুর মানুষ মেয়েদের ক্রিকেট দেখেন ৷ বাংলাদেশ এমনিতেই ক্রিকেট পাগল দেশ ৷ মেয়েদের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অনেক বদল ঘটেছে ৷

  • ভারত না পাকিস্তান, ফেবারিট প্রতিপক্ষ কোন দেশ ?

জাহানারা : আমি বলব পাকিস্তান ৷ কারণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যত ম্যাচ খেলেছি ভারতের বিরুদ্ধে তত ম্যাচ খেলা সম্ভব হয়নি ৷ সতীর্থদের কথা বলতে পারব না ৷ তবে আমার ফেবারিট প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ৷ তবে ভারতের বিরুদ্ধে খেলাটা উপভোগ করি ৷

  • 2020 টি-20 বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না ৷ কোথায় গলদ রয়ে গেছিল ?

জাহানারা : দেখুন এটা খেলার অঙ্গ ৷ আমরা চারটি টি-20 বিশ্বকাপ খেলেছি ৷ তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল 2020 বিশ্বকাপে ৷ নিজেদের যোগত্যা অনুযায়ী আমরা পারফরম্যান্স দিতে পারিনি ৷ এমনকী আমার পারফরম্যান্সও খারাপ ছিল ৷ ভারতের স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমাদের মতো তারকা ব্যাটসম্যানরাও তেমন রান পাননি ৷

  • টি-20 বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আপনি ক্রিকেটপ্রেমীদের ক্রাশে পরিণত হন ৷ কী বলবেন?
    জাহানারা আলম
    জাহানারা আলম

জাহানারা : ম্যাচের পর প্রচুর মেসেজ পেয়েছিলাম ৷ খুব মজা পেয়েছিলাম ৷ আমরা ম্যাচ হেরে গেছি অথচ সকলে আমাকে ও আমার আইলাইনার নিয়ে কথা বলছে ৷ এটা ভেবেই হাসি পাচ্ছিল ৷ একটু অবাক হয়েছিলাম ৷ কারণ আমি প্রথম থেকেই আইলাইনার ব্যবহার করি ৷ তবে আমার ভালোই লেগেছিল ৷ কারণ আমাকে পছন্দ হলে আমার খেলাকেও মানুষ পছন্দ করবে ৷ আমার টিমের খেলা দেখবে ৷

  • আপনি মহিলাদের IPL-এ ভেলোসিটির হয়ে খেলেছেন ? সেই অভিজ্ঞতা কেমন

জাহানারা : আমার কাছে এটা সত্যিই অসাধারণ অভিজ্ঞতা ৷ প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি ৷ আমরা বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি ৷ কিন্তু IPL-এ একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির জন্য খেলতে হয় ৷ মানিয়ে নেওয়ার বিষয় থাকে ৷ একইসঙ্গে পারফর্ম করতে হয় ৷ তখন মনে হয়েছিল আমি যেন ওদের থেকে একটু হলেও পিছিয়ে রয়েছি ৷ বুঝতে পারি যে ওই লেভেলে পারফর্ম করতে হলে আরও পরিশ্রম করতে হবে ৷ সেইভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করি ৷ তবে 2020 সালের বিশ্বকাপে সেই পরিশ্রমের ফল পাইনি ৷ আশা করছি ভবিষ্যতে আমি ও আমার দল ঘুরে দাঁড়াবে ৷

আমি আর একটা কথা বলতে চাই ৷ ভেলোসিটিতে মিতালি রাজের নেতৃত্বে খেলেছি ৷ ওর অধীনে খেলা খুব উপভোগ করি ৷ IPL-এ খেলার আগে আমি ভাবতাম ভারতীয় খেলোয়াড়রা খুব মুডি ৷ ওদের ধরণ ধারণ আলাদা ৷ কিন্তু ওদের সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হলে, খেলা শুরু করলাম তখন সেই ধারণা পুরোপুরি বদলে গেল ৷

  • আপনি বাঙালি ৷ এই কঠিন সময়ে বাঙালি অনুরাগীদের উদ্দেশে কী বলবেন ?

জাহানারা : খুব কঠিন সময় ৷ খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে যাবেন না ৷ দুস্থদের সাহায্য করুন ৷ নিজে সতর্ক থাকুন ও অন্যদেরও সতর্ক করুন ৷ আর আমাদের টিমকে এভাবেই সমর্থন করতে থাকুন ৷

কথায় বলে রূপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী ৷ বাংলাদেশ মহিলা ক্রিকেট টিমের তারকা পেসার জাহানারা আলমের ক্ষেত্রে কথাটা একেবারে যথার্থ ৷ মাঠে নামলেও চোখের কোণে কাজলের রেখা টানতে ভোলেন না তিনি ৷ চলতি বছরে টি-20 বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে 18 রানে হারিয়েছিল ভারত ৷ তবে পড়শি দেশের হারের চেয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনায় উঠে আসেন অধিনায়ক জাহানারা আলম ৷ সোশাল মিডিয়ায় তাঁর সক্রিয়তা, মাঠের পারফরম্যান্স, টি-20 বিশ্বকাপের খারাপ প্রদর্শন, মেয়েদের IPL খেলার অভিজ্ঞতা সহ নানা বিষয়ে ETV ভারতের সঙ্গে কথা বললেন জাহানারা ৷

  • ক্রিকেটের প্রতি আগ্রহ জন্মাল কবে ?

জাহানারা : আমার ক্রিকেটে পা দেওয়ার গল্প শুনে অনেকেই মজা পান ৷ তবে আমার কাছে বিষয়টি খুব সোজা ৷ তখন আমার 14 বছর বয়স ৷ আমার কাছে খেলা মানে ছিল হ্যান্ডবল আর ভলিবল ৷ ক্রিকেটের নিয়ম কানুনের বিন্দুবিসর্গও বুঝতাম না বলে তখনও টিভি খুলে ক্রিকেট ম্যাচ দেখিনি ৷ বাংলাদেশে ক্রিকেট দলের কোচ তখন সেখ সালাউদ্দিন ৷ মেনস্ট্রিম ক্রিকেট দলের বাইরে তিনি মেয়েদের আরও একটি টিম তৈরি করতে চেয়েছিলেন ৷ সেই টিমে আমাকে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন সালাউদ্দিন স্যার ৷ আমিও প্রস্তাব পেয়ে হ্যাঁ করে দিই ৷ সালটা ছিল 2007 ৷

প্রথম প্রথম সব বিভাগেই ব্যর্থ হতাম ৷ বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং কোনওকিছুই পারতাম না ৷ তবে হাল না ছেড়ে কোচ আমাকে অনুশীলন চালিয়ে যেতে বলেন ৷ একমাসের মধ্যে আমি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে দলে পরিচিতি পাই ৷ আমাদের প্রথম টুর্নামেন্ট ছিল ওপেন টুর্নামেন্ট ৷ আমিই ছিলাম টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ৷ পরের বছরই জাতীয় দলে ডাক পাই ৷ সেই তখন থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের সদস্য আমি ৷

  • ক্রিকেটার হতে গিয়ে কতটা স্ট্রাগল করতে হয়েছে ?

জাহানারা : এক্ষেত্রে আমি নিজেকে লাকি মনে করি ৷ কারণ ক্রিকেট জগতে প্রবেশের জন্য আমাকে বেশি স্ট্রাগল করতে হয়নি ৷ পরিবার সব সময় আমার পাশে থেকেছে ৷ বাবার সাপোর্ট সবচেয়ে বেশি পেয়েছি ৷ এখনও পাই ৷ যখন খেলা শুরু করি অনেকেই বাবাকে উপদেশ দিয়েছিল, মেয়েকে ক্রিকেটার না বানিয়ে পড়াশোনা শিখিয়ে বিয়ে দিন ৷ বাবা বলেছিল, ও তো কিছু ভুল করছে না ৷ আমার মেয়ে খেলতে চাইলে খেলুক ৷

জাহানারা আলম সাক্ষাৎকার
  • এতো গেল আপনার কথা ৷ কিন্তু সব মেয়ে তো এতটা লাকি হয় না

জাহানারা : 2018 সালের আগে সত্যিই বিষয়টি বেশ কঠিন ছিল ৷ কিন্তু 2018 সালের এশিয়া কাপের পর পরিস্থিতি বদলে যায় ৷ এশিয়া কাপের পর থেকেই অভিভাবকরা মেয়েদের ক্রিকেট মাঠে পাঠাতে শুরু করে ৷ শুধু ক্রিকেটই নয়, সব খেলার ক্ষেত্রেই এটা ঘটেছে ৷ অভিভাবকরা মেয়েদের খেলাধুলোর ক্ষেত্রে উৎসাহ দিচ্ছে ৷

  • বাংলাদেশে মহিলা ক্রিকেট কতটা জনপ্রিয় ?

জাহানারা : এখন প্রচুর মানুষ মেয়েদের ক্রিকেট দেখেন ৷ বাংলাদেশ এমনিতেই ক্রিকেট পাগল দেশ ৷ মেয়েদের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অনেক বদল ঘটেছে ৷

  • ভারত না পাকিস্তান, ফেবারিট প্রতিপক্ষ কোন দেশ ?

জাহানারা : আমি বলব পাকিস্তান ৷ কারণ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যত ম্যাচ খেলেছি ভারতের বিরুদ্ধে তত ম্যাচ খেলা সম্ভব হয়নি ৷ সতীর্থদের কথা বলতে পারব না ৷ তবে আমার ফেবারিট প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ৷ তবে ভারতের বিরুদ্ধে খেলাটা উপভোগ করি ৷

  • 2020 টি-20 বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স আহামরি ছিল না ৷ কোথায় গলদ রয়ে গেছিল ?

জাহানারা : দেখুন এটা খেলার অঙ্গ ৷ আমরা চারটি টি-20 বিশ্বকাপ খেলেছি ৷ তার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পারফরম্যান্স ছিল 2020 বিশ্বকাপে ৷ নিজেদের যোগত্যা অনুযায়ী আমরা পারফরম্যান্স দিতে পারিনি ৷ এমনকী আমার পারফরম্যান্সও খারাপ ছিল ৷ ভারতের স্মৃতি মান্ধানা, জেমিমাদের মতো তারকা ব্যাটসম্যানরাও তেমন রান পাননি ৷

  • টি-20 বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর আপনি ক্রিকেটপ্রেমীদের ক্রাশে পরিণত হন ৷ কী বলবেন?
    জাহানারা আলম
    জাহানারা আলম

জাহানারা : ম্যাচের পর প্রচুর মেসেজ পেয়েছিলাম ৷ খুব মজা পেয়েছিলাম ৷ আমরা ম্যাচ হেরে গেছি অথচ সকলে আমাকে ও আমার আইলাইনার নিয়ে কথা বলছে ৷ এটা ভেবেই হাসি পাচ্ছিল ৷ একটু অবাক হয়েছিলাম ৷ কারণ আমি প্রথম থেকেই আইলাইনার ব্যবহার করি ৷ তবে আমার ভালোই লেগেছিল ৷ কারণ আমাকে পছন্দ হলে আমার খেলাকেও মানুষ পছন্দ করবে ৷ আমার টিমের খেলা দেখবে ৷

  • আপনি মহিলাদের IPL-এ ভেলোসিটির হয়ে খেলেছেন ? সেই অভিজ্ঞতা কেমন

জাহানারা : আমার কাছে এটা সত্যিই অসাধারণ অভিজ্ঞতা ৷ প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি ৷ আমরা বিশ্বকাপে নিজের দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি ৷ কিন্তু IPL-এ একটি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির জন্য খেলতে হয় ৷ মানিয়ে নেওয়ার বিষয় থাকে ৷ একইসঙ্গে পারফর্ম করতে হয় ৷ তখন মনে হয়েছিল আমি যেন ওদের থেকে একটু হলেও পিছিয়ে রয়েছি ৷ বুঝতে পারি যে ওই লেভেলে পারফর্ম করতে হলে আরও পরিশ্রম করতে হবে ৷ সেইভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা শুরু করি ৷ তবে 2020 সালের বিশ্বকাপে সেই পরিশ্রমের ফল পাইনি ৷ আশা করছি ভবিষ্যতে আমি ও আমার দল ঘুরে দাঁড়াবে ৷

আমি আর একটা কথা বলতে চাই ৷ ভেলোসিটিতে মিতালি রাজের নেতৃত্বে খেলেছি ৷ ওর অধীনে খেলা খুব উপভোগ করি ৷ IPL-এ খেলার আগে আমি ভাবতাম ভারতীয় খেলোয়াড়রা খুব মুডি ৷ ওদের ধরণ ধারণ আলাদা ৷ কিন্তু ওদের সঙ্গে যখন আমার পরিচয় হলে, খেলা শুরু করলাম তখন সেই ধারণা পুরোপুরি বদলে গেল ৷

  • আপনি বাঙালি ৷ এই কঠিন সময়ে বাঙালি অনুরাগীদের উদ্দেশে কী বলবেন ?

জাহানারা : খুব কঠিন সময় ৷ খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে যাবেন না ৷ দুস্থদের সাহায্য করুন ৷ নিজে সতর্ক থাকুন ও অন্যদেরও সতর্ক করুন ৷ আর আমাদের টিমকে এভাবেই সমর্থন করতে থাকুন ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.