ETV Bharat / sports

সেঞ্চুরি হাতছাড়া অনুষ্টুপের, শাহবাজের জোড়া উইকেটে ঘুরে দাঁড়াল বাংলা - 99-এ আউট অনুষ্টুপ

ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে বাংলার বাজি ছিলেন অনুষ্টুপ । প্রাথমিক ঝটকা সামলে মজবুত ভিতের ওপর দলকে নিয়ে যাওয়ার কাজটা প্রথম দিন কার্যত একাই করেছিলেন । দিল্লির বোলারদের সামলে সেই কাজটা দীর্ঘায়িত করার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামলেও ভাগ্য সঙ্গ দিল না অনুষ্টুপের । ব্যক্তিগত নিরানব্বই রানে আউট হন তিনি ।

anustup-majumder
আউটের পর হতাশ অনুষ্টুপ
author img

By

Published : Jan 28, 2020, 10:49 PM IST

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: 99 করে আউট ! এভাবে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার দুর্ভাগ্যজনক কাহিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় কম নেই । সেইসব অভিশপ্ত নায়কদের নিয়ে গল্প কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে । এবার নিরানব্বইয়ের চক্রব্যুহে আটকে পড়া হতভাগ্যদের তালিকায় নতুন সংযোজন বাংলার অনুষ্টুপ মজুমদার ।

ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে বাংলার বাজি ছিলেন অনুষ্টুপ । প্রাথমিক ঝটকা সামলে মজবুত ভিতের উপর দলকে নিয়ে যাওয়ার কাজটা প্রথম দিন কার্যত একাই করেছিলেন । দিল্লির বোলারদের সামলে সেই কাজটা দীর্ঘায়িত করার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামলেও ভাগ্য সঙ্গ দিল না অনুষ্টুপের । ব্যক্তিগত নিরানব্বই রানে আউট হন তিনি । হিতেন দালাল যখন তাঁকে রান আউট করলেন তখন ইডেন জুড়ে পিন ড্রপ সাইলেন্স ৷ সেঞ্চুরির শুভেচ্ছা জানাতে তৈরি চলা বঙ্গ সাজঘর এই আউটের ধাক্কায় এতটাই মুহ্যমান হয়ে পড়ল যে পাঁচ উইকেটে 286 রান নিয়ে খেলা শুরু করে প্রথম ইনিংসে 318তে গুটিয়ে গেল বাংলা । ভাগ্য সহায় হল না শাহবাজ আহমেদেরও ৷ 74 বলে 46 রানে আউট হয়ে নিশ্চিত হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন ৷ অবশ্য ইডেনে সবুজ উইকেটে 318 পুঁজি নিয়ে দিল্লিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ছাড়েননি বাংলার পেসাররা । নির্দিষ্ট লাইন লেন্থে অভ্রান্ত থেকে ধ্রুব সোরেদের হাত থেকে দিনের শেষে ব্যাটন ফের মনোজদের হাতে । দ্বিতীয় দিনের শেষে দিল্লির স্কোর ছয় উইকেটে 192। হাতে চার উইকেট নিয়ে দিল্লিকে আরও 126 রান করতে হবে।

দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে দিল্লির খাতিজ শর্মা ও সিমরজিৎ সিংকে পরপর দু'বলে ফিরিয়ে ফের হ্যাটট্রিকের সামনে বাংলার বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ আহমেদ । হায়দরাবাদের পরে দিল্লির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের প্রথম ডেলিভারিতে উইকেট তুলে নিতে পারলে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করবেন ।

Shahbaz Ahmed struck with two late wickets
দিনের শেষে জোড়া উইকেট নিলেন শাহবাজ আহমেদ

বাংলার পেসারদের নিঁখুত বোলিংয়ে অধিনায়ক ধ্রুব সোরের 65,ওপেনার হিতেন দালালের 40 এবং নীতিশ রানার 24 রানের ইনিংস ডালপালা মেলতে পারল না। অভিষেককারী পেসার নীলকণ্ঠ দাস দিল্লির দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ভাঙনের কাজ শুরু করেছিলেন । তার ভালো বোলিংয়ের ব্যাটনটা নিঃশব্দে বইলেন মুকেশ কুমার । প্রথমে নীতিশ রানা এবং পরে ধ্রুব সোরেকে অফস্ট্যাম্পের বাইরে প্রলোভিত করে আউট করলেন এবং তাতেই প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে যায় । জন্টি সিধু 32 রানে ক্রিজে রয়েছেন । কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলার আগ্রাসী বোলারদের সামলাতে তিনি কতটা সফল হবেন তার উপর সব নির্ভর করছে ।

বাংলার কোচ অরুণ লাল দলের বোলিং ও ফিল্ডিং দেখে খুশি । শাহবাজের বলে কাজি সইফি যেভাবে ক্যাচটি তালুবন্দি করেছেন তা দিনের সেরা ছবি এবং তার জন্যে কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয় । তবে ছেলেদের তিনি আত্মতুষ্ট হতে নিষেধ করেছেন ।

কলকাতা, 28 জানুয়ারি: 99 করে আউট ! এভাবে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার দুর্ভাগ্যজনক কাহিনি ক্রিকেট দুনিয়ায় কম নেই । সেইসব অভিশপ্ত নায়কদের নিয়ে গল্প কথা ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে । এবার নিরানব্বইয়ের চক্রব্যুহে আটকে পড়া হতভাগ্যদের তালিকায় নতুন সংযোজন বাংলার অনুষ্টুপ মজুমদার ।

ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে বড় রান তুলতে বাংলার বাজি ছিলেন অনুষ্টুপ । প্রাথমিক ঝটকা সামলে মজবুত ভিতের উপর দলকে নিয়ে যাওয়ার কাজটা প্রথম দিন কার্যত একাই করেছিলেন । দিল্লির বোলারদের সামলে সেই কাজটা দীর্ঘায়িত করার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামলেও ভাগ্য সঙ্গ দিল না অনুষ্টুপের । ব্যক্তিগত নিরানব্বই রানে আউট হন তিনি । হিতেন দালাল যখন তাঁকে রান আউট করলেন তখন ইডেন জুড়ে পিন ড্রপ সাইলেন্স ৷ সেঞ্চুরির শুভেচ্ছা জানাতে তৈরি চলা বঙ্গ সাজঘর এই আউটের ধাক্কায় এতটাই মুহ্যমান হয়ে পড়ল যে পাঁচ উইকেটে 286 রান নিয়ে খেলা শুরু করে প্রথম ইনিংসে 318তে গুটিয়ে গেল বাংলা । ভাগ্য সহায় হল না শাহবাজ আহমেদেরও ৷ 74 বলে 46 রানে আউট হয়ে নিশ্চিত হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া করলেন ৷ অবশ্য ইডেনে সবুজ উইকেটে 318 পুঁজি নিয়ে দিল্লিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ছাড়েননি বাংলার পেসাররা । নির্দিষ্ট লাইন লেন্থে অভ্রান্ত থেকে ধ্রুব সোরেদের হাত থেকে দিনের শেষে ব্যাটন ফের মনোজদের হাতে । দ্বিতীয় দিনের শেষে দিল্লির স্কোর ছয় উইকেটে 192। হাতে চার উইকেট নিয়ে দিল্লিকে আরও 126 রান করতে হবে।

দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে দিল্লির খাতিজ শর্মা ও সিমরজিৎ সিংকে পরপর দু'বলে ফিরিয়ে ফের হ্যাটট্রিকের সামনে বাংলার বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ আহমেদ । হায়দরাবাদের পরে দিল্লির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের প্রথম ডেলিভারিতে উইকেট তুলে নিতে পারলে পরপর দুই ম্যাচে হ্যাটট্রিকের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করবেন ।

Shahbaz Ahmed struck with two late wickets
দিনের শেষে জোড়া উইকেট নিলেন শাহবাজ আহমেদ

বাংলার পেসারদের নিঁখুত বোলিংয়ে অধিনায়ক ধ্রুব সোরের 65,ওপেনার হিতেন দালালের 40 এবং নীতিশ রানার 24 রানের ইনিংস ডালপালা মেলতে পারল না। অভিষেককারী পেসার নীলকণ্ঠ দাস দিল্লির দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ভাঙনের কাজ শুরু করেছিলেন । তার ভালো বোলিংয়ের ব্যাটনটা নিঃশব্দে বইলেন মুকেশ কুমার । প্রথমে নীতিশ রানা এবং পরে ধ্রুব সোরেকে অফস্ট্যাম্পের বাইরে প্রলোভিত করে আউট করলেন এবং তাতেই প্রতিপক্ষের ব্যাটিংয়ের কোমর ভেঙে যায় । জন্টি সিধু 32 রানে ক্রিজে রয়েছেন । কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলার আগ্রাসী বোলারদের সামলাতে তিনি কতটা সফল হবেন তার উপর সব নির্ভর করছে ।

বাংলার কোচ অরুণ লাল দলের বোলিং ও ফিল্ডিং দেখে খুশি । শাহবাজের বলে কাজি সইফি যেভাবে ক্যাচটি তালুবন্দি করেছেন তা দিনের সেরা ছবি এবং তার জন্যে কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয় । তবে ছেলেদের তিনি আত্মতুষ্ট হতে নিষেধ করেছেন ।

Intro:নিরানব্বই য়ে আটকে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার বিয়োগান্তক কাহানি ক্রিকেট দুনিয়ায় কম নেই।সেইসব অভিশপ্ত নায়কদের নিয়ে গল্প কথা ক্রিকেট প্রেমীদের মুখে ফেরে।এবার সেই চক্রব্যুহে আটকে পড়া হতভাগ্য দের তালিকায় নতুন সংযোজন বাংলার অনুস্টুপ মজুমদার।ইডেনে দিল্লির বিরুদ্ধে বড় রানের লক্ষণরেখা টানার বাংলার বাজি ছিলেন অনুস্টুপ। প্রাথমিক ঝটকা সামলে মজবুত ভিতের ওপর দলকে নিয়ে যাওয়ার কাজটা প্রথম দিন কার্যত একাই করেছিলেন।দিল্লির বোলারদের সামলে সেই কাজটা দীর্ঘায়িত করার সংকল্প নিয়ে মাঠে নামলেও হতভাগ্যদের তালিকায় অনুস্টুপ। ব্যক্তি গত নিরানব্বই রানে রান আউট তিনি। হিতেন দালাল যখন তাকে রান আউট করলেন তখন ইডেন জুড়ে একটাই অব্যক্ত বাক্যগুচ্ছ,"ইতনা সান্নাটা কিউ।" সেঞ্চুরির শুভেচ্ছা বার্তা জানাতে প্রস্তুতি নিতে চলা বঙ্গ সাজঘর এই আউটের ধাক্কায় এতটাই মুহ্যমান হয়ে পড়ে যে পাচ উইকেটে 286রান নিয়ে খেলা শুরু করে 318তে অল আউট হয়ে যায়। শাহবাজ আহমেদের 74বলে 46রানে আউট হওয়ার মধ্যেও তো নিশ্চিত হাফ সেঞ্চুরি হাতছাড়া হওয়ার গল্প।
সবুজ উইকেটে তিনশো আঠারো পুজি নিয়ে দিল্লিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে ছাড়েননি বাংলার পেসাররা। নির্দিষ্ট লাইন লেন্থে অভ্রান্ত থেকে ধ্রুব সোরেদের হাত থেকে দিনের শেষে ব্যাটন ফের মনোজদের হাতে। দ্বিতীয় দিনের শেষে দিল্লি ছয় উইকেটে 192। হাতে চার উইকেটের পুজি নিয়ে দিল্লিকে আরও 126রান করতে হবে।
স্কোরবোর্ডের কচকচানি সরিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হবে একটি বিরল ঘটনার হাতছানি নিয়ে। দিনের শেষ ওভারে দিল্লির খাতিজ শর্মা ও সিমরজিৎ সিংকে পরপর দুবলে ফিরিয়ে ফের হ্যাটট্রিকের সামনে বাংলার বাহাতি স্পিনার শাহবাজ আহমেদ। হায়দরাবাদের পরে দিল্লির বিরুদ্ধে তিনি যদি সত্যিই প্রথম ডেলিভারি তে উইকেট তুলে নিতে পারেন তাহলে পরপর দুম্যাচে হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব অর্জন করবেন।যা বিরল।
অধিনায়ক ধ্রুব সোরের 65,ওপেনার হিতেন দালালের 40এবং নীতিশ রানার 24রানের ইনিংস ডালপালা মেলতে পারল না কারন বাংলার পেসারদের নিখুঁত বোলিং। অভিষেককারী পেসার নীলকণ্ঠ দাস দিল্লির দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ভাঙার কাজটা শুরু করেছিলেন।তার ভালো বোলিংয়ের ব্যাটনটা নিশব্দে বইলেন মুকেশ কুমার।প্রথমে নীতিশ রানা এবং পরে ধ্রুব সোরেকে অফস্ট্যাম্পের বাইরে প্রলোভিত করে আউট করলেন এবং তাতেই প্রতিপক্ষের কোমড় ভেঙে যায়। জন্টি সিধু 32রানে রয়েছেন।কিন্তু তৃতীয় দিনের শুরুতে বাংলার আগ্রাসী বোলারদের সামলাতে কতটা সফল হবেন তার ওপর দিল্লির সব কিছু নির্ভর করবে।
বাংলার কোচ অরুনলাল বলছেন দলের বোলিং ও ফিল্ডিং পারফরম্যান্সে তিনি খুশি। শাহবাজের বলে কাজি সইফি যেভাবে ক্যাচটি তালুবন্দি করেছেন তা দিনের সেরা ছবি এবং তার জন্যে কোনও বিশেষন যথেষ্ট নয়।তবে ছেলেদের তিনি আত্মতুষ্ট হতে বারণ করেছেন।কারন ছোট ভুলে বড় ক্ষতির সিদুরে মেঘ দেখার অভিঞ্জতা রয়েছে যে।


Body:বাংলা


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.