কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: রঞ্জি ফাইনালে ব্যাটিং ধস । প্রথম ইনিংসে 174 রানেই থামল বাংলা (Bengal vs Sourashtra) । অভিষেক পোড়েল ও শাহবাজ আহমেদের ব্যাটে ভর করে বিপর্যয় খানিকটা কাটিয়ে উঠলেও রঞ্জি ফাইনালে চাপে 'মনোজ অ্যান্ড কোং' (Bengal score 174 runs in First Innings of Ranji Final) ।
33 বছর পর ইডেন গার্ডেন্সে ফাইনাল খেলতে নেমেছে বাংলা দল । সেই ঘরের মাঠে গ্রিন টপে প্রথম সেশনে কার্যত ব্যাকফায়ার করে । টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলার টপ-অর্ডার এদিন তথৈবচ ৷ অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সুমন্ত গুপ্ত, সুদীপ ঘরামি, মনোজ তিওয়ারি, অনুষ্টুপ মজুমদার, আকাশ ঘটক । লাইন দিয়ে ক্রিজ ছেড়েছেন ব্যাটাররা ৷ সৌরাষ্ট্র ক্যাপ্টেন জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়ার ডুয়েল সামলে বাংলাকে ম্যাচে ফেরায় শাহবাজ-অভিষেক জুটি (101) ।
সপ্তম উইকেটে দলকে লড়াইয়ে ফেরান এই দুই ব্যাটার ৷ অর্ধশতরান করেন শাহবাজ (69)। এখনও দেশের জার্সিতে নিয়মিত নন তিনি । তবুও এদিন তাঁর লড়ুাকু ইনিংস জাতীয় নির্বাচকদের ভাবাতে বাধ্য করবে । 112 বলে 11টি বাউন্ডারির সাহায্যে তাঁর 69 রানের ইনিংসে ভর করেই লড়াইয়ে ফেরে দল । তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেন জুনিয়র পোড়েল । অভিষেকের অবদান 50 রান ।
আরও পড়ুন: রঞ্জি ফাইনালে দুই দলের তফাৎ গড়ে দিতে পারেন যাঁরা
প্রথমদিনেই সৌরাষ্ট্রের হাতে ম্যাচের রাশ তুলে দেন জয়দেব উনাদকাট ও চেতন সাকারিয়া । দুই বাঁ-হাতি বোলারের দাপটেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে বাংলার ব্যাটিং লাইন-আপ । দুজনের ঝুলিতেই গিয়েছে 3টি করে উইকেট । 2টি করে উইকেট পেয়েছেন চিরাগ জানি ও ধর্মেন্দ্র জাদেজা ।
বাংলার স্কোরবোর্ড:
- সুমন্ত গুপ্ত (3 বলে 1)
- অভিমন্যু ঈশ্বরণ (4 বলে 0)
- সুদীপ ঘরামি (2 বলে 0)
- অনুষ্টুপ মজুমদার (35 বলে 16)
- মনোজ তিওয়ারি (12 বলে 7)
- আকাশ ঘটক (48 বলে 17)
- শাহবাজ আহমেদ (112 বলে 69)
- অভিষেক পোড়েল (98 বলে 50)
- আকাশদীপ (6 বলে 4)
- মুকেশ কুমার (6 বলে 1)
- ঈশান পোড়েল (1 বলে 0)
আরও পড়ুন: পূজারাকে শ্রদ্ধা জানাতেই রঞ্জি জিততে চাই, ম্যাচের আগে উনাদকাট-উবাচ
প্রসঙ্গত, এদিন ইডেন বেল বাজিয়ে শেষবার রঞ্জিজয়ী বাংলা দলের অধিনায়ক সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় খেলার সূচনা করেন ৷ 89-এর রঞ্জিজয়ী দলের সমস্ত সদস্যকে এই ম্যাচে উপস্থিত থাকার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ৷ তিন বছর আগে রাজকোটে বাংলাকে হারিয়ে রঞ্জি জিতেছিল সৌরাষ্ট্র ৷ অন্যদিকে, পাঁচ বছরের মধ্যে দু'বার ফাইনালে উঠেছে বাংলা ৷ 33 বছর পর ইডেনেই ফাইনাল খেলা বাংলা দলের সামনে এবছর ঘরের মাঠে ট্রফি জয়ের সুযোগ ৷