গুয়াহাটি, 9 নভেম্বর : কর্নাটককে 7 উইকেটে হারিয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির শেষ আটে বাংলা। গ্রুপ বি'র ম্যাচে এদিন নেহরু স্টেডিয়ামে সুদীপ চট্টোপাধ্যায়ের দলের কাছে কর্নাটকের বিরুদ্ধে লড়াই ছিল অস্তিত্ব রক্ষার। কারণ বরোদাকে বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে বাংলার কাজটা কঠিন করে দিয়েছিল মুম্বই। চাপে পড়লেও বাংলার ক্রিকেটাররা যে এদিন দিগভ্রান্ত হননি, তা দিনের শেষে স্কোরবোর্ডে প্রমাণিত।
টস জিতে ব্যাটিং নিলেও বাংলার বোলারদের সামনে এদিন শুরু থেকেই অস্বস্তিতে পড়ে কর্নাটক ব্যাটাররা। ময়াঙ্ক আগরওয়াল এবং দেবদূত পারিক্কলকে প্রথম ওভারেই ডাগ-আউটে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন মুকেশ কুমার। শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে করুণ নায়ার 44 এবং মনীশ পাণ্ডে 32 রান করে কর্নাটককে লড়াইয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাংলার বাংলার স্পিনারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে কর্নাটক বেশিদূর এগোতে পারেনি। শাহবাজ আহমেদের পাশে প্রদীপ্ত প্রামাণিক এবং সুজিত যাদবের নিয়ন্ত্রিত বোলিং কর্নাটককে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয়। পেসার মুকেশ কুমার 3টি, প্রদীপ্ত 2টি, আকাশদীপ এবং শাহবাজ একটি করে উইকেট পান। নির্ধারিত 20 ওভারে কর্নাটক ইনিংস শেষ হয় 134 রানে।
প্রত্যুত্তরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় বাংলা। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ব্যক্তিগত 4 রানে আউট হন। কিন্তু শুরুর ধাক্কা সামলে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান অভিমন্যু ঈশ্বরণ, ঋদ্ধিমান সাহা, কাইফ আহমেদ। দু'ওভার বাকি থাকতেই 7 উইকেটে জয় তুলে নেয় বাংলা। ম্যাচের শেষে বাংলার অধিনায়ক সুদীপ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মুম্বই সকালে বড় ব্যবধানে জিতে শেষ আটে পৌছে গিয়েছিল। ফলে আমাদের কাছে মাস্ট উইন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমরা কেবলমাত্র ভাল ক্রিকেট খেলতে চেয়েছিলাম।"
আরও পড়ুন : এই দল ইতিহাসের অন্যতম সেরা, শেষ রবিসন্ধ্যায় জানিয়ে গেলেন শাস্ত্রী
বোলারদের প্রশংসা করে তিনি আরও বলেন, "এই জয়ের জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। মুকেশ প্রথম ওভারে দুটো উইকেট নিয়ে কর্নাটককে চাপে ফেলে দিয়েছিল। শাহবাজ, প্রদীপ্ত প্রয়োজনীয় সময়ে উইকেট তুলে নেওয়ায় কর্নাটককে কম রানে আটকে রাখা গিয়েছে। ব্যাট হাতে অভিমন্যু অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে। অভিমন্যু দলের সম্পদ।"