বেঙ্গালুরু, 17 জুন : নজিরের বাংলায় বিপদের সিঁদুরে মেঘ । প্রথম ইনিংসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুটা ভাল হল না অভিমন্যু ঈশ্বরণদের । জয়ের জন্য বাংলার সামনে মধ্যপ্রদেশ লক্ষ্মণরেখা টেনেছে 350 রানের । দ্বিতীয় ইনিংসে মধ্যপ্রদেশের ইনিংস শেষ হল 281 রানে । 68 রানে এগিয়ে থাকার সুবাদে তাদের মোট রান 349 (Bengal need 254 runs in last day of Ranji Semifinal) ।
ব্যাটের পর চতুর্থ দিন বল হাতেও দুরন্ত শাহবাজ আহমেদ । পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে রঞ্জি ট্রফির একই ম্যাচে শতরান ও 5 উইকেটের রেকর্ড গড়লেন বাংলার বাঁ-হাতি স্পিনার । সূরযূরাম কাহোজিয়া গিরিধারী, প্রকাশ ভাণ্ডারী, প্রণব নন্দী ও সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের ক্লাবে ঢুকলেন তিনি । দ্বিতীয় ইনিংসে শাহবাজ আহমেদের 5/79 আর প্রদীপ্ত প্রামাণিকের 4/65-তে ভর দিয়ে কিছুটা শ্রী ফিরেছিল বাংলায় । রজত পাতিদারের 79, অধিনায়ক আদিত্য শ্রীবাস্তবের 82 রানে ভর করে লড়াইয়ে ছিল মধ্যপ্রদেশেও । সকালে বাংলার ফিল্ডাররা সহজ ক্যাচ হাতছাড়া না করলে ইনিংস আরও আগে শেষ হত ।
সাড়ে তিনশো রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া কঠিন হলেও অসম্ভব নয় । এই অবস্থায় চ্যালেঞ্জ সামলানোর গুরুদায়িত্ব বাংলার ব্যাটারদের হাতে । কিন্তু প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও শুরুতেই বিপর্যয় নেমে এসেছে বাংলায় । ওপেনার অভিষেক রামন প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়েছেন । কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত সেঞ্চুরি করা সুদীপ ঘরামি সেমিফাইনালে প্রথম ইনিসের পরে দ্বিতীয় ইনিংসেও বড় রান করতে ব্যর্থ । ব্যক্তিগত 19 রানে সারাংশ জৈনের বিরুদ্ধে অনাবশ্যক রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন
49 রানে 2 উইকেট হারানোর পরে অভিষেক পোড়েলকে নামিয়েছিল বেঙ্গল থিঙ্কট্যাঙ্ক । ব্যক্তিগত 7 রানে কুমার কার্তিকেয়র বলে বোল্ড হন তিনি । পিচ ভাঙতে শুরু করেছে । বল নিচু হচ্ছে এবং দ্রুত স্পিন করছে । এই অবস্থায় প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা মনোজ তিওয়ারিকে চার নম্বরে পাঠানো হয়েছিল । কিন্তু তিনিও মধ্যপ্রদেশ স্পিনারদের সামলাতে ব্যর্থ । দিনের শেষে উইকেটে রয়েছেন অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরণ (52 রান) এবং অনুষ্টুপ মজুমদার (8 রান)। বঙ্গ অধিনায়ক ইতিমধ্যে হাফ সেঞ্চুরি পার করেছেন ।
আরও পড়ুন : স্পোর্টস লাইব্রেরি, বইমেলা ! নতুন রূপে সেজে উঠছে বাগান
দিনের শেষে 4 উইকেট হারিয়ে 96 রানে রয়েছে বাংলা । শেষ দিনে এই জুটি এবং শাহবাজের ব্যাটে বাংলার ভাগ্য নির্ভর করছে । স্পিনারদের মৃগয়াভুমিতে এই রান কঠিন হলেও অসম্ভব নয় । সেই কঠিন কাজটা বাংলার ব্যাটাররা করতে পারেন কি না, সেটাই দেখার ।
