নয়াদিল্লি, 4 মে : করোনার গ্রহে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ ৷ বায়ো বাবলের সুরক্ষা ভেদ করে ক্রিকেটারদের শরীরে প্রবেশ করেছে মারণ ভাইরাস ৷ ফলে সংক্রমিত ক্রিকেটারদের সংস্পর্শে আসা সকলকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে ৷ ম্যাচ বাতিল হয়েছে ৷ করোনার আতঙ্কে কাঁপছেন ক্রিকেটাররা ৷ সব মিলিয়ে ডামাডোল অবস্থা ৷ এই পরিস্থিতিতে লিগের বাকি ম্যাচগুলি মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবছে বিসিসিআই ৷ যাতে ম্যাচ খেলার জন্য এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় না যেতে হয় ৷ পাশাপাশি পিছোতে পারে ফাইনাল ম্যাচ ৷
সোমবার কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে 30তম ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু সেদিন সকালে নাইট সদস্য বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়রের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ ফলে ম্যাচ বাতিল হয়ে যায় ৷ পুরো কেকেআর স্কোয়াড, কোচ-সাপোর্ট স্টাফদের টিম হোটেলে আইসোলেশনে পাঠানো হয় ৷ রাতের দিকে আরও খারাপ খবর আসে ৷ চেন্নাই সুপার কিংসের বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি এবং দলের চিফ এক্সিকিউটিভ কাশী বিশ্বনাথনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে ৷ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড স্টাফরা আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর আসে ৷ আতঙ্কে অনুশীলন বন্ধ করে দেয় সিএসকে, দিল্লি ক্যাপিটালস ৷
আরও পড়ুন : এবার সিএসকের তিন সদস্য করোনা আক্রান্ত
এই অবস্থায় টুর্নামেন্টের বাকি 30টি ম্যাচ মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করার কথা ভাবছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড ৷ মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে, ব্র্যবোর্ন স্টেডিয়াম এবং ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের করা হতে পারে ৷ কিন্তু সেটাও মুখের কথা নয় ৷ প্রতিটি টিমের জন্য জৈব সুরক্ষা বলয় তৈরি করা, নতুন ক্রীড়াসূচি তৈরি সহ একাধিক সমস্যা রয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে ফাইনাল ম্যাচ 30 মে-র পরিবর্তে জুন মাসের প্রথম দিকে হতে পারে ৷
ম্যাচ মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েও উঠছে প্রশ্ন ৷ কারণ গোটা দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে ৷ খারাপ অবস্থা বাণিজ্যনগরী মুম্বইতেও ৷ তা সত্ত্বেও ম্যাচগুলি মুম্বইয়ে স্থানান্তরিত করার ভাবনাচিন্তা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে ৷