বেঙ্গালুরু, 8 অক্টোবর: জুয়া আর ক্রিকেটের সম্পর্ক নতুন নয়। নয়ের দশকের শেষ থেকে বারাবর ক্রিকেট ঘিরে এই ধরনের অভিযোগ শোনা গিয়েছে। ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার বেশ কিছু তারকা ক্রিকেটারের কেরিয়ার পর্যন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে এই কারণে। এবার বিশ্বকাপের শুরু থেকেই বেটিং নিয়ে সজাগ থাকতে চাইছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই অনলাইনে চলতে থাকা ক্রিকেট-জুয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে অফলাইনে জুয়া বন্ধ করা মোটেই সোজা কাজ নয়। সবদিক থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা।
প্রতিটি অপরাধের ধরন এক নয়। তাছাড়া জুয়ার সঙ্গে অন্য অপরাধের বিস্তর ফারাকও আছে। জুয়া সাধারণত বন্ধু এবং পরিচিতদের মধ্যে হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে জুয়ারিদের নাগাল পাওয়া সোজা নয়। সেদিক থেকে সতর্ক থাকতে পানাশালার মতো জায়গায় বিশেষ নজর দিচ্ছে বেঙ্গালুরু-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ। হোটেলের মতো জায়গাতেও চলছে নজরদারি। বেটিং রুখতে এজেন্টদের হদিশ আগে দরকার বলে মনে করেন তদন্তকারীরা। আর তাই আগে অভিযুক্ত হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের উপর বাড়তি নজর রাখা হচ্ছে।
জুয়ায় অনেকেই সর্বস্ব খুইয়ে ফেলেন। এতে পরিবারের বাকি সদস্যদের সমস্যায় পড়তে হয়। তাছাড়া জুয়ার টাকা আদায় করতে গিয়ে অনেক সময় মারধরের ঘটনাও ঘটে। তাতে প্রাণও হারান অনেকে। সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
অফলাইনর মতো অনলাইন বেটিং-ও প্রশাসনের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠেছিল। তবে ধীরে ধীরে অনলাইন বেটিং-এর উপর রাশ টানা হচ্ছে। এশিয়া কাপের সময় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সংবাদমাধ্যমকে অনলাইন জুয়ার বিজ্ঞাপন দেখাতে বারণ করা হয়েছিল। সেই নির্দেশ এবারও থাকছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক মনে করে টিভিতে বা অন্য কোনও মাধ্যমে জুয়ার বিজ্ঞাপন দেওয়ার নেপথ্যে বেশ কয়েকটি বিষয় বড় ভূমিকা নেয়। জুয়া থেকে যে টাকা আয় হয় সেটা এই বিজ্ঞাপনে ব্যবহার হয়। এভাবেই বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কালো টাকাকে সাদা করে নেয়। তাই এবার কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাছাড়া টিভিতে এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেখালে জুয়ার প্রতি তরুণদের ঝোঁক আরও বাড়বে বলেও মনে করে সরকার।