দুবাই, 5 সেপ্টেম্বর: এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে হার ভারতের ৷ শেষ ওভারের থ্রিলারে 5 উইকেটে হারল মেন ইন ব্লু (Pakistan Beats India by 5 Wickets) ৷ এ দিন প্রথমে ব্যাট করে ভারত 7 উইকেট হারিয়ে 181 রান তোলে ৷ জবাবে 1 বল বাকি থাকতে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান ৷ এ দিনের ম্যাচে বুমরা-শামিহীন ভারতীয় বোলিংকে যথেষ্ঠ দুর্বল দেখিয়েছে ৷ ম্যাচে ভারতের প্রাপ্তি বলতে দুই ওপেনার রোহিত (16 বলে 28 রান), রাহুল (20 বলে 28 রান) এবং বিরাট কোহলির (44 বলে 60 রান) ছন্দে ফেরা ৷ ম্যাচের সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের বাঁ হাতি ব্যাটার মহম্মদ নওয়াজ ৷
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সুপার ফোরের ম্যাচে পর জয়ের ময়নাতদন্ত চলছে। মোক্ষম সময়ে অর্শদীপ সিংয়ের ক্যাচ মিস কাঠগড়ায়। তরুন বা হাতি পেসারের ক্যাচ ফস্কানো দেখে রাগে ফেটে পড়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে শুধু অর্শদীপকে কাঠগড়ায় তুললেই হারের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যাবে না। প্রতিপক্ষ পাকিস্তান দলে চারজন হার্ড হিটার দেখেও কেন রবীচন্দ্রন আশ্বিন ডাগ আউটে থাকলেন ? সে প্রশ্ন উঠবে। কেন রবি বিষ্ণোই এবং যজুবেন্দ্র চাহাল দুজন লেগস্পিনার একাদশে রইলেন তাও প্রশ্নের উর্ধে নয়। কেন দীপক হুডাকে এক ওভারও বল দেওয়া হল না সেটাও চর্চার বিষয । বুমরা চোটের কারণে দলে নেই জেনেও মহম্মদ শামি কেন এসওএস পেলেন না তা নির্বাচক মণ্ডলী এবং টিম ম্যানেজমেন্টকে বলতে হবে। ম্যাচ পরবর্তী সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের তরফে বলা হয় এই হার শিক্ষনীয়। এখন ফাইনালে কোন পথে ওঠা যাবে সেই প্রশ্নই বড় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বড় জয় স্বস্তি দেবে। বিরাট কোহলির ফর্মে ফেরা চিন্তা মুক্ত করবে। কিন্তু মিডল অর্ডারে রবীন্দ্র জাদেজার অনুপস্থিতি এবং বাকিদের ছন্দে না থাকা চিন্তায় রাখবে। ক্রিকেটের সবচেয়ে ছোট ফর্ম্যাটের খেলায় একটা দুটো ওভারে অনেক রং বদলে যায়। সেই রং বদলে প্রতিপক্ষ দুই দল সিদ্ধহস্ত। তাই ফাইনালের মায়াকাজল পড়তে হলে শর্মাজিকে কঠোর এবং বাস্তচিত হবে। তাহলেই এশিয়া কাপের ফাইনাল। নচেৎ সমালোচনার শরশয্যা।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক টি20 থেকে অবসর ঘোষণা মুশফিকুর রহিমের
তবে, একপেশে ভাবে এই ম্যাচ পাকিস্তান জিতেছে তা নয় ৷ এ দিন পাওয়ার প্লে-তে পাক অধিনায়ক বাবর আজমের ইউকেট তুলে নেন প্রথমবার ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচ খেলা রবি বিষ্ণোই ৷ এমনকী পাওয়ার প্লের পরেও পাকিস্তানকে চাপে রাখতে সফল হয়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা ৷ তবে, সমস্যা হয়ে যায় মিড ওভারে উইকেট তুলতে না পারা ৷ 9 নম্বর ওভারে ফকর জামানকে আউট করেন যুজবেন্দ্র চহাল ৷ সেটি ছিল পাকিস্তানের দ্বিতীয় উইকেট ৷ এর পর 16 নম্বর ওভারে পাকিস্তানের তৃতীয় উইকেট পড়ে ৷ কিন্তু, ততক্ষণে টি20-তে পাকিস্তানের মিস্টার কনসিসটেন্ট মহম্মদ রিজওয়ান (51 বলে 71 রান) এবং মহম্মদ নওয়াজ (20 বলে 42 রান) ভারতকে ম্যাচ থেকে অনেকটাই দূরে করে দেন ৷
তবে, এর পরেও ম্যাচ রোহিত শর্মার দলের হাতে ছিল ৷ বিশেষ করে শেষ 2 ওভারে 26 রান দরকার ছিল পাকিস্তানের ৷ সেখানে 19 নম্বর ওভার করতে আসেন অভিজ্ঞ ভুবনেশ্বর কুমার ৷ কিন্তু, ওই ওভারেই ভুবনেশ্বর 19 রান দেন ৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, একজন অভিজ্ঞ টি20 বোলার কীভাবে এত বড় ভুল করতে পারেন ৷ যেখানে তাঁর অভিজ্ঞতার উপরে বিশ্বাস করেই, শেষ ওভারে আরশদীপ সিংকে বল করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত ৷
আরও পড়ুন: ছক্কা হাঁকিয়ে অর্ধশতরান, কোহলির ব্যাটে বাবরদের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যমাত্রা ভারতের
তবে, শুধু ভুবি নন, 18 নম্বর ওভারে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে আসিফ আলির সহজ ক্যাচ ফেলে দেন আরশদীপ ৷ আর সেই আসিফ আলিই ভুবনেশ্বর কুমারের ওভারে রানের বন্যা বইয়ে দেন ৷ শেষ ওভারে 7 রান রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে শুরু থেকেই চাপে ছিলেন তরুণ বাঁ হাতি পেসার আরশদীপ ৷ যদিও ওই ওভারে আসিফ আলিকে লেগ বিফর করে ম্যাচে কিছু প্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন পঞ্জাবের পেসার ৷ তবে, শেষ 2 বলে 2 রান তুলতে খুব একটা সমস্যা হয়নি পাকিস্তানের লোয়ার মিডল অর্ডারের ৷ ভারতের পরের ম্যাচ 6 সেপ্টেম্বর আয়োজক শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে