কলকাতা, 8 মে : করোনা অতিমারির ভয়াবহতায় সারা দেশজুড়ে । দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা 4 লাখ ছুঁয়েছে । তাই করোনাায় ইমিউনিটি তৈরি করতে সুরকে সঙ্গী করে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আসছেন সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র । এই করোনা কালে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এক অভিনব উদ্যোগ বাছলেন দেবজ্যোতি মিশ্র সুরকে সঙ্গী করে । করোনার প্রকোপে পাশাপাশি বসে আড্ডা দেওয়া এখন প্রায় অতীত । যা-কিছু সবটাই ভার্চুয়াল । তাই করোনাকালে সাধারণ মানুষের বাড়ি বসে মন ভাল করার দায়িত্ব নিলেন সংগীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র ।
অতিমারির ভয়াবহতায় অনিশ্চত জীবন ৷ লকডাউনের যাঁতাকলে নষ্ট হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য । তাই এবার সুরের সঙ্গে বিজ্ঞানকে মিলিয়ে ভার্চুয়াল আড্ডার আয়োজন করছেন দেবজ্যোতি মিশ্র । 'সঙ্গী হোক সুর' এই বিশেষ আয়োজন শুধু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর তাগিদ থেকে নিলেন শিল্পী । শিল্পী তার ফেসবুক পেজ থেকে মঙ্গল,বৃহস্পতি শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে বিশিষ্ট অতিথিদের ভার্চুয়ালি সঙ্গে নিয়ে করবেন এই অনুষ্ঠান ।
- " class="align-text-top noRightClick twitterSection" data="">
দেবজ্যোতি মিশ্র বললেন, ‘‘সঙ্গীত নিয়ে চর্চার পাশাপাশি তার বিজ্ঞান নিয়েও চর্চা বহু দিনের ।’’ দেবজ্যোতির মতে, মিউজিকের ইউমিনিটি পাওয়ার আছে । তিনি বললেন, "গত বছরে শ্রমজীবী ক্যান্টিন যথেষ্ট ভাল কাজ করেছে ৷ খুব ভাল সাড়া পাওয়া গিয়েছিল । একজন সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে মনে হচ্ছিল আমি নিজে এই মুহূর্তে দাড়িয়ে সমাজকে কী দিতে পারি? সেই থেকেই সুরের আশ্রয় নেওয়া ।’’ তার ভার্চুয়াল আড্ডায় সুধেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় ,সৌম্যদীপ ভট্টাচার্যের মতো ডাক্তারও যেমন ছিলেন, তেমনি কুমার মুখোপাধ্যায়ের মতো গুণী ধ্রুপদী শিল্পীও ছিলেন ।
আরও পড়ুন : করোনা আক্রান্ত 'কুইন'
দীর্ঘদিন ধরে সঙ্গীতের সঙ্গে বিজ্ঞানের চর্চার প্রসঙ্গে তিনি আনেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা । সেই সময়ে যুদ্ধবিধ্বস্ত পোল্যান্ডের ওয়ারশ শহরে একদল ইহুদি ছেলেমেয়েকে সামিল করে রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটকটি অভিনীত হয় । নাৎসি অধিগৃহীত পোল্যান্ডে ডাকঘর নাটকের উপস্থাপনা মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ানো অনাথ শিশুদের জীবনমন্ত্রে দীক্ষিত করেছিল । দেবজ্যোতি বলেন, ‘‘গানের, সুরের এই ক্ষমতা আমাদের এই যাত্রাপথের পাথেয় । অনেকেই মনে করেন মন খারাপের সময় করুণ রাগ শোনা ঠিক নয় । আমার মনে হয় যেকোনও সুরের মনের ওপর প্রভাব ফেলার ক্ষমতা আছে । ঠিক যেমন একটা ওষুধ কাজ করে । মুষড়ে পড়া মনে ভাল থাকার ইচ্ছা জাগিয়ে তোলে । বেশ কিছু ডাক্তারের কাছে শুনেছি তাঁরা আমার করা টেগোর অন স্ট্রিংস অপারেশনের সময়ে চালিয়ে রাখেন । এর থেকেই সঙ্গীতের ইউমিনিটি পাওয়ারের দিকটা বোঝা যায় । সঙ্গী হোক সুর আগামী বেশ কিছু মাস ধরে চালিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন বোধ করছি ৷’’