ETV Bharat / sitara

উৎপল দত্তকে আবার মঞ্চে ফেরালেন সৌরভ - sourav palodhi

উৎপল দত্তের লেখা নাটককে মঞ্চে ফেরাতে চলেছেন নাট্যকার সৌরভ পালোধি। নাটকের নাম 'ঘুম নেই'। আজ প্রথমবারের জন্য মঞ্চস্থ হতে চলেছে এই নাটক অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে, সন্ধ্যে ৬:৩০টায়।

উৎপল দত্ত
author img

By

Published : May 10, 2019, 5:00 PM IST

কলকাতা : নাট্যকার সৌরভ পালোধির নাট্যদলের নাম 'ইচ্ছেদল'। যে কোনও প্রযোজনাই তাঁদের কাছে খুব স্পেশাল। রীতিমতো রিসার্চ করতে হয়েছে তাঁদের ১৯৭৫ সালের প্রেক্ষাপটটাকে তুলে ধরতে। এই নাটকের বিষয়বস্তু কী? সমাজের নিচুতলার মানুষের গল্প বলবে 'ঘুম নেই'। তাঁদেরই ম্যানিফেস্টো বলা যেতে পারে এই নাটককে। নাটকে দেখানো হয়েছে ট্রাকচালকদের। যাঁরা নিজেদের স্কন্ধে বহন করে সমাজের ভার। তাঁদের বেঁচে থাকা ও লড়াইয়ের গল্প বলবে 'ঘুম নেই' নাটকটি।

উৎপল দত্ত
নাটকের রিহার্সালে
পরিচালক সৌরভ পালোধি বললেন, " সাতের দশকে উৎপল দত্ত এই নাটকটি লিখেছিলেন। আমি দেখাচ্ছি ১৯৭৫ সালকে মাথায় রেখে। তবে এখনকার সময়ে এই নাটকের প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শ্রমিকরা মালিকের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে এবং ক্ষমতাটা পুরোটাই মালিকের হাতে চলে যাচ্ছে। রাজনৈতিক স্তরে শ্রমিক ইউনিয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। উৎপল দত্ত যখন এই নাটকটি লিখেছিলেন সাতের দশকে, তখন একটি বৃহত্তর শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। বিগত কয়েক বছরে সেই আন্দোলন মিসিং। আজ কোনও ক্যাব চালানো মানুষের মৃত্যু ঘটে গেলে পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না। কারণ, তাঁদের কোনও ইউনিয়ন নেই।"

সৌরভ আরও বলেন, "যেটা বেঙ্গালুরু কর্পোরেট সেক্টর করতে পারে আমরা তা পারি না। নাটকে দেখানো হবে, ৭৫'এর শ্রমিক আন্দোলন। মালিকপক্ষের বুক কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো একটা আন্দোলন। কিন্তু আজকের কোনও মানুষ যদি এটা বসে দেখেন, তিনি পুরোপুরি আজকের সময়টাকে কানেক্ট করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয়তাও বুঝতে পারবে ইউনিয়নের।"

উৎপল দত্ত
নাটকের দৃশ্য

নাটকে দেখানো হবে রাস্তার একটি ধাবা এবং তার মালিকের কাহিনিও। দেখানো হবে বেকারত্বের দুর্ভোগ এবং মূলস্রোতে ফিরে আসার লড়াই। দেখানো হবে এক উন্মাদকে ও সমাজে তার প্রত্যাখ্যানকে। গল্পে যুক্ত হয়েছে এক বয়ঃজ্যেষ্ঠ, যাঁর কাছে এদের লড়াই কোনও বিষয় নয়। আর রয়েছে দুই সাংবাদিক, যারা নতুন খবর তৈরির কাজে ছুটছে। তবে ধীরে ধীরে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে যাবে নাটকের গল্প।

কলকাতা : নাট্যকার সৌরভ পালোধির নাট্যদলের নাম 'ইচ্ছেদল'। যে কোনও প্রযোজনাই তাঁদের কাছে খুব স্পেশাল। রীতিমতো রিসার্চ করতে হয়েছে তাঁদের ১৯৭৫ সালের প্রেক্ষাপটটাকে তুলে ধরতে। এই নাটকের বিষয়বস্তু কী? সমাজের নিচুতলার মানুষের গল্প বলবে 'ঘুম নেই'। তাঁদেরই ম্যানিফেস্টো বলা যেতে পারে এই নাটককে। নাটকে দেখানো হয়েছে ট্রাকচালকদের। যাঁরা নিজেদের স্কন্ধে বহন করে সমাজের ভার। তাঁদের বেঁচে থাকা ও লড়াইয়ের গল্প বলবে 'ঘুম নেই' নাটকটি।

উৎপল দত্ত
নাটকের রিহার্সালে
পরিচালক সৌরভ পালোধি বললেন, " সাতের দশকে উৎপল দত্ত এই নাটকটি লিখেছিলেন। আমি দেখাচ্ছি ১৯৭৫ সালকে মাথায় রেখে। তবে এখনকার সময়ে এই নাটকের প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শ্রমিকরা মালিকের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে এবং ক্ষমতাটা পুরোটাই মালিকের হাতে চলে যাচ্ছে। রাজনৈতিক স্তরে শ্রমিক ইউনিয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। উৎপল দত্ত যখন এই নাটকটি লিখেছিলেন সাতের দশকে, তখন একটি বৃহত্তর শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। বিগত কয়েক বছরে সেই আন্দোলন মিসিং। আজ কোনও ক্যাব চালানো মানুষের মৃত্যু ঘটে গেলে পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না। কারণ, তাঁদের কোনও ইউনিয়ন নেই।"

সৌরভ আরও বলেন, "যেটা বেঙ্গালুরু কর্পোরেট সেক্টর করতে পারে আমরা তা পারি না। নাটকে দেখানো হবে, ৭৫'এর শ্রমিক আন্দোলন। মালিকপক্ষের বুক কাঁপিয়ে দেওয়ার মতো একটা আন্দোলন। কিন্তু আজকের কোনও মানুষ যদি এটা বসে দেখেন, তিনি পুরোপুরি আজকের সময়টাকে কানেক্ট করতে পারবেন এবং প্রয়োজনীয়তাও বুঝতে পারবে ইউনিয়নের।"

উৎপল দত্ত
নাটকের দৃশ্য

নাটকে দেখানো হবে রাস্তার একটি ধাবা এবং তার মালিকের কাহিনিও। দেখানো হবে বেকারত্বের দুর্ভোগ এবং মূলস্রোতে ফিরে আসার লড়াই। দেখানো হবে এক উন্মাদকে ও সমাজে তার প্রত্যাখ্যানকে। গল্পে যুক্ত হয়েছে এক বয়ঃজ্যেষ্ঠ, যাঁর কাছে এদের লড়াই কোনও বিষয় নয়। আর রয়েছে দুই সাংবাদিক, যারা নতুন খবর তৈরির কাজে ছুটছে। তবে ধীরে ধীরে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে এগিয়ে যাবে নাটকের গল্প।

Intro:নাট্যকার সৌরভ পালোধি নতুন নাটক "ঘুম নেই" আজ প্রথমবারের জন্য মঞ্চস্থ হতে চলেছে অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে, সন্ধ্যে ৬:৩০টায়। ইচ্ছেমতো নাট্যদলের নতুন নাটক।


Body:সমাজের নিচুতলার মানুষের গল্প বলবে ঘুম নেই। তাঁদেরই ম্যানিফেস্টো বলা যেতে পারে। এমন এক নিচুতলার শ্রেণি যা শাসকের পদতলে পৃষ্ট। নাটক দেখানো হয়েছে ট্রাকচালকদের। যাঁরা নিজস্কন্ধে বহন করে সমাজের ভার। তাঁদের বেঁচে থাকা ও লড়াইয়ের গল্প বলবে ঘুম নেই নাটকটি। নাটকে দেখান হবে রাস্তার একটি ধাবা এবং তাঁর মালিকের কাহিনিও। দেখান হবে বেকারত্বের দুর্ভোগ এবং মূলস্রোতে ফিরে আসার লড়াই। দেখানো হবে এক উন্মাদকে ও সমাজে তাঁর প্রত্যাখ্যানকে। গল্পে যুক্ত হয়েছে এক বয়ঃজ্যেষ্ঠকে, যাঁর কাছে এদের লড়াই কোনও বিষয় নয়। আর রয়েছে দুই সাংবাদিক, যাঁরা নতুন খবর তৈরির কাজে ছুটছে। তবে ধীরে ধীরে অন্ধকার থেকে আলোর যাত্রা পথে এগিয়ে যাচ্ছে নাটকের গল্প।


Conclusion:উৎপল দত্তের "ঘুম নাই" নাটককে এই সময়ে মঞ্চস্থ করার কারণ হিসেবে পরিচালক সৌরভ পালোধি বললেন, " সাতের দশকে উৎপল দত্ত এই নাটকটি লিখেছিলেন। আমি দেখাচ্ছি ১৯৭৫ সালকে মাথায় রেখে। তবে এখনকার সময়ে এই নাটকের প্রাসঙ্গিকতা অনেকটাই। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে শ্রমিকরা মালিকের বিরুদ্ধে কথা বলতে ভয় পাচ্ছে। এবং বাটনটা মালিকের হাতে চলে যাচ্ছে। রাজনৈতিক স্তরে শ্রমিক ইউনিয়ের অভাব দেখা যাচ্ছে। উৎপল দত্ত যখনই নাটকটি লিখেছিলেন সাতের দশকে, তখন একটি বৃহত্তর শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। বিগত কয়েক বছরে সেই আন্দোলন মিসিং। আজ কোনও ক্যাব চালানো মানুষের মৃত্যু ঘটে গেলে পরিবার কোনও ক্ষতিপূরণ পায় না। কারণ, তাঁদের কোনও ইউনিয়ন নেই। এখনকার সমাজে ইউনিয়ন মিসিংটা বড্ড বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেটা কলেজের ক্ষেত্রেও, স্কুলের ক্ষেত্রেও, সর্বত্র। যেটা বেঙ্গালুরু কর্পোরেট সেক্টর করতে পারে আমরা তা পারি না। নাটকে দেখান হবে, ৭৫'এর শ্রমিক আন্দোলন। মালিকপক্ষের বুক কাঁপিয়ে একটি আন্দোলন। এটা একটা ট্রাক ড্রাইভার শ্রেণিকে কেন্দ্র করে গল্পটি দেখান হয়। কিন্তু আজকের কোনও মানুষ যদি এটা বসে দেখে, পুরোপুরি আজকের সময়কে কানেক্ট করতে পারবে। এবং প্রয়োজনীয়তাও বুঝতে পারবে ইউনিয়নের, যে সময় ইন্ডিভিজুয়ালিজম রাজ করছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.