ETV Bharat / sitara

প্রথম শো'তেই হাউসফুল 'আর্টিকেল 25'

author img

By

Published : Sep 1, 2019, 6:57 PM IST

Updated : Sep 3, 2019, 4:23 PM IST

প্রথমবার মঞ্চস্থ হওয়ার পরই হাউসফুল নাটক 'আর্টিকেল 25' । অনেকেই সে কারণে নাটকটি দেখতে পারেননি বলে দুঃখপ্রকাশ করেন পরিচালক প্রশান্ত এস ধর । যারা দেখতে পারেননি তাদের জন্য আবারও নাটকটি মঞ্চস্থ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা ।

আর্টিকেল

কলকাতা : প্রথমবার মঞ্চস্থ হল 'আর্টিকেল 25' । এই নাটকটি দেখানো হয় প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টারের একটি বড় ঘরে । প্রথম শো'তেই হাউসফুল হয় নাটকটি । অনেকেই জায়গা না পাওয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। নাটকের পরিচালক প্রশান্ত মনে করেন, তাঁদের সমাজের প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা আছে । নাটকটি সম্পর্কে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন নির্দেশক প্রশান্ত এস ধর ।

প্রশান্ত বলেন, "এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের আস্ফালন বাড়ছে । উগ্র জাতীয়তাবাদী, উগ্র ধার্মিক মানসিকতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে । আমাদের সংবিধানে আর্টিকেল 25 যেভাবে ধর্মের প্র্যাকটিস হওয়া উচিত, দেখা যাচ্ছে পুরোটাই বিপরীত পথে চলছে । এই বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষগুলো এই বিপরীতগামীতায় হাঁটতে আরম্ভ করেছে । আমরা মনে করি এটা সংবিধানের অবমাননা করা ছাড়া আর কিছুই নয় । সেখান থেকেই পুরো নাটকটাকে ধরা হয়েছে । দিনের শেষে জাতি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, এইসবের বাইরে বেরিয়ে কোথাও একটা মানবিক অবক্ষয় হচ্ছে । আমরা যে মেজরিটির কথা বলছি, যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংখ্যালঘু মানুষের উপর চড়াও হচ্ছে, সুযোগ পেলে কিন্তু সংখ্যালঘুরাও একই রকম অ্যাগ্রেসিভ হয়ে উঠছে । এবং অস্ত্র চালাতে পিছপা হচ্ছে না । এই নাটকে এই বিষয়টাকেই ধরা হয়েছে । দিনের শেষে ধর্মের বাইরে বেরিয়ে এসে মানুষ মানবিক অবক্ষয় করছে এবং তাদের মস্তিষ্কে বসে গেছে আমি শ্রেষ্ঠ । সেই শ্রেষ্ঠত্ব ফলানোর জন্য অন্য একটি মানুষকেও মেরে ফেলতে পারে যেকোনওভাবে । এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এটা খুব সাইকোলজিকাল কিংবা মানসিক রোগের পর্যায়ে পৌঁছেছে । এই আস্ফালন, এই বুকবাজি, এর বিরুদ্ধে আমরা ভয় পাচ্ছি । তাই কথা বলতে চাইছি এই নাটকটার বিরুদ্ধে ।"

তিনি আরও বলেন, "এরকম কিছু ঘটনা শেষ কয়েক বছরে আমাদের সামনে এসেছে । খবরে আমরা দেখতে পেয়েছি । আমরা দেখেছি, আমাদের সামনে ঘটেছে । সেই সবরকম খবরকে আমরা আমাদের এই নাটকের ভিজ়ুয়াল রেফারেন্স হিসেবে পরিবেশন করতে চেয়েছি । একেবারেই দুইজন সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখানো হয়েছে । এই নাটকটি করতে গিয়ে আমরা দীর্ঘ ৩-৪ মাসের একটা স্টাডি সার্কেল করেছি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে । সেখানে আমরা যা যা দেখিয়েছি সবক'টি সংবাদমাধ্যম দেখিয়েছে । সব রিপোর্ট, সব পেপার ওয়ার্ক আমাদের কাছে আছে । যিনি টেক্সটি বানিয়েছেন, তাঁর নাম দীপঙ্কর সেন । নাটকটির ভাবনা, ডিজ়াইন এবং ডিরেকশন আমি করেছি । আর এই নাটকটির সঙ্গে আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজ করেছে ।"

নাটক হাউস ফুল হওয়ায় অনেকেই সেটি দেখতে পারেননি । দুঃখজনক ঘটনা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত । প্রশান্তর বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের ক্ষেত্রে নাটক হওয়ার পরে মানুষ হাততালি দেয়, পরিচয়পর্ব হয় এবং মানুষ বাইরে চলে যায় । আমরা এই নাটকটি পর একটি আলোচনা পর্ব রেখেছিলাম । সেটা ছিল পার্ট অফ পারফরম্যান্স । মানুষ এই বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলো দেখবেন এবং তা নিয়ে কথা বলবেন, এটা আমরা চেয়েছিলাম । এবং সেই দিক থেকে কিন্তু আমরা সফল হয়েছি । মানুষ শেষপর্যন্ত কথা বললেন । সেগুলো আমরা রেকর্ডিং করতে চাইনি । কারণ অনেকসময় মানুষ ভাবাবেগে অনেককিছু বলে ফেলতে চান । রেকর্ডিং হলে অনেক সত্যি কথা বলতে পারেন না । আর যারা দেখতে পারেননি, তাঁদের জন্য আমাদের পরবর্তী শো 21 সেপ্টেম্বর, প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার, রিপন স্ট্রিটেই করছি ।"

কলকাতা : প্রথমবার মঞ্চস্থ হল 'আর্টিকেল 25' । এই নাটকটি দেখানো হয় প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টারের একটি বড় ঘরে । প্রথম শো'তেই হাউসফুল হয় নাটকটি । অনেকেই জায়গা না পাওয়ায় ফিরে যেতে বাধ্য হন। নাটকের পরিচালক প্রশান্ত মনে করেন, তাঁদের সমাজের প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা আছে । নাটকটি সম্পর্কে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন নির্দেশক প্রশান্ত এস ধর ।

প্রশান্ত বলেন, "এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের আস্ফালন বাড়ছে । উগ্র জাতীয়তাবাদী, উগ্র ধার্মিক মানসিকতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে । আমাদের সংবিধানে আর্টিকেল 25 যেভাবে ধর্মের প্র্যাকটিস হওয়া উচিত, দেখা যাচ্ছে পুরোটাই বিপরীত পথে চলছে । এই বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষগুলো এই বিপরীতগামীতায় হাঁটতে আরম্ভ করেছে । আমরা মনে করি এটা সংবিধানের অবমাননা করা ছাড়া আর কিছুই নয় । সেখান থেকেই পুরো নাটকটাকে ধরা হয়েছে । দিনের শেষে জাতি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, এইসবের বাইরে বেরিয়ে কোথাও একটা মানবিক অবক্ষয় হচ্ছে । আমরা যে মেজরিটির কথা বলছি, যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংখ্যালঘু মানুষের উপর চড়াও হচ্ছে, সুযোগ পেলে কিন্তু সংখ্যালঘুরাও একই রকম অ্যাগ্রেসিভ হয়ে উঠছে । এবং অস্ত্র চালাতে পিছপা হচ্ছে না । এই নাটকে এই বিষয়টাকেই ধরা হয়েছে । দিনের শেষে ধর্মের বাইরে বেরিয়ে এসে মানুষ মানবিক অবক্ষয় করছে এবং তাদের মস্তিষ্কে বসে গেছে আমি শ্রেষ্ঠ । সেই শ্রেষ্ঠত্ব ফলানোর জন্য অন্য একটি মানুষকেও মেরে ফেলতে পারে যেকোনওভাবে । এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এটা খুব সাইকোলজিকাল কিংবা মানসিক রোগের পর্যায়ে পৌঁছেছে । এই আস্ফালন, এই বুকবাজি, এর বিরুদ্ধে আমরা ভয় পাচ্ছি । তাই কথা বলতে চাইছি এই নাটকটার বিরুদ্ধে ।"

তিনি আরও বলেন, "এরকম কিছু ঘটনা শেষ কয়েক বছরে আমাদের সামনে এসেছে । খবরে আমরা দেখতে পেয়েছি । আমরা দেখেছি, আমাদের সামনে ঘটেছে । সেই সবরকম খবরকে আমরা আমাদের এই নাটকের ভিজ়ুয়াল রেফারেন্স হিসেবে পরিবেশন করতে চেয়েছি । একেবারেই দুইজন সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখানো হয়েছে । এই নাটকটি করতে গিয়ে আমরা দীর্ঘ ৩-৪ মাসের একটা স্টাডি সার্কেল করেছি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে । সেখানে আমরা যা যা দেখিয়েছি সবক'টি সংবাদমাধ্যম দেখিয়েছে । সব রিপোর্ট, সব পেপার ওয়ার্ক আমাদের কাছে আছে । যিনি টেক্সটি বানিয়েছেন, তাঁর নাম দীপঙ্কর সেন । নাটকটির ভাবনা, ডিজ়াইন এবং ডিরেকশন আমি করেছি । আর এই নাটকটির সঙ্গে আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজ করেছে ।"

নাটক হাউস ফুল হওয়ায় অনেকেই সেটি দেখতে পারেননি । দুঃখজনক ঘটনা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত । প্রশান্তর বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের ক্ষেত্রে নাটক হওয়ার পরে মানুষ হাততালি দেয়, পরিচয়পর্ব হয় এবং মানুষ বাইরে চলে যায় । আমরা এই নাটকটি পর একটি আলোচনা পর্ব রেখেছিলাম । সেটা ছিল পার্ট অফ পারফরম্যান্স । মানুষ এই বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলো দেখবেন এবং তা নিয়ে কথা বলবেন, এটা আমরা চেয়েছিলাম । এবং সেই দিক থেকে কিন্তু আমরা সফল হয়েছি । মানুষ শেষপর্যন্ত কথা বললেন । সেগুলো আমরা রেকর্ডিং করতে চাইনি । কারণ অনেকসময় মানুষ ভাবাবেগে অনেককিছু বলে ফেলতে চান । রেকর্ডিং হলে অনেক সত্যি কথা বলতে পারেন না । আর যারা দেখতে পারেননি, তাঁদের জন্য আমাদের পরবর্তী শো 21 সেপ্টেম্বর, প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার, রিপন স্ট্রিটেই করছি ।"

Intro:প্রথমবারের জন্য প্রদর্শিত হল 'আর্টিকেল ২৫' নাটকটি। নাটকটি দেখান হয়েছে প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টারের একটি বড় ঘরে। কেননা নাটকের প্রযোজক 'ভীমরতি' সাধারণ মানুষের আরও কাছাকাছি গিয়ে কিছু কথা, কিছু বার্তা দিতে চেয়েছিল। ভীমরতি নাট্য প্রযোজনা সংস্থা এবং আর্টিকেল ২৫এর পরিচালক প্রশান্ত মনে করেন, তাঁদের সমাজের প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা আছে। নাটকটি সম্পর্কে ETV ভারত সিতারার সঙ্গে কথা বললেন নির্দেশক প্রশান্ত এস ধর।


Body:প্রশান্ত বললেন, "এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষদের আস্ফালন বাড়ছে। এবং সেইটা কিন্তু একেবারেই সংখ্যাগরিষ্ঠ পণ্ডিত থেকে বিচার করে মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ হচ্ছে, একেবারেই ধর্মের দিক থেকে বিচার করে। উগ্র জাতীয়তাবাদী, উগ্র ধার্মিক মানসিকতা বাড়ছে মানুষের মধ্যে। আমাদের সংবিধানে আর্টিকেল ২৫ যেভাবে ধর্মের প্র্যাকটিস হওয়া উচিত নির্ধারণ করে, দেখা যাচ্ছে পুরোটাই বিপরীত পথে চলছে। এই বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষগুলো এই বিপরীতগামীতায় হাঁটতে আরম্ভ করেছে। আমরা মনে করি এটা সংবিধানের অবমাননা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। সেখান থেকেই পুরো নাটকটাকে ধরা হয়েছে। দিনের শেষে জাতি, ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, এইসবের বাইরে বেরিয়ে কোথাও একটা মানবিক অবক্ষয় হচ্ছে। আমরা যে মেজরিটির কথা বলছি, যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সংখ্যালঘু মানুষের উপর চড়াও হচ্ছে, সুযোগ পেলে কিন্তু সংখ্যালঘুরাও একই রকম অ্যাগ্রেসিভ হয়ে উঠছে। এবং অস্ত্র চালাতে পিছপা হচ্ছে না। এই নাটকে এই বিষয়টাকেই ধরা হয়েছে। দিনের শেষে ধর্মের বাইরে বেরিয়ে এসে মানুষ মানবিক অবক্ষয় করছে এবং তাদের মস্তিষ্কে বসে গেছে আমি শ্রেষ্ঠ। সেই শ্রেষ্ঠত্ব ফলানোর জন্য অন্য একটি মানুষকেও মেরে ফেলতে পারে যেকোনওভাবে। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এটা খুব সাইকোলজিকাল কিংবা মানসিক রোগের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই আস্ফালন, এই বুকবাজি, এর বিরুদ্ধে আমরা ভয় পাচ্ছি। তাই কথা বলতে চাইছি এই নাটকটার বিরুদ্ধে।

প্রশান্ত আরও বললেন, "এরকম কিছু ঘটনা শেষ কয়েক বছরে আমাদের সামনে এসেছে। খবরে আমরা দেখতে পেয়েছি। আমরা দেখেছি, আমাদের সামনে ঘটেছে। সেই সবরকম খবরকে আমরা আমাদের এই নাটকের ভিজুয়াল রেফারেন্স হিসেবে পরিবেশন করতে চেয়েছি। একেবারেই দুইজন সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখানো হয়েছে। এই নাটকটি করতে গিয়ে আমরা দীর্ঘ ৩-৪ মাসের একটা স্টাডি সার্কেল করেছি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে। সেখানে আমরা যা যা দেখিয়েছি সবকটি সংবাদমাধ্যম দেখিয়েছে। সব রিপোর্ট, সব পেপার ওয়ার্ক আমাদের কাছে আছে। এই প্রযোজনাটি যাঁরা করেছেন, তাঁদের নাম 'ভীমরতি'। নাটকটির একটি গাইডলাইন বানিয়ে দিয়েছে। যিনি টেক্সটি বানিয়েছেন, তাঁর নাম দীপঙ্কর সেন। নাটকটির ভাবনা, ডিজাইন এবং ডিরেকশন আমি করেছি। আর এই নাটকটির সঙ্গে আমাদের ছেলেমেয়েরা কাজ করেছে।"


Conclusion:নাটক হাউস ফুল হওয়ায়, অনেক মানুষ সেটি দেখতে পারেননি। সেটি ভীমরতি ও প্রশান্তর কাছে দুঃখজনক ঘটনা বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রশান্ত। প্রশান্তর বক্তব্য, "পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতের ক্ষেত্রে নাটক হওয়ার পরে মানুষ হাততালি দেয়, পরিচয়পর্ব হয় এবং মানুষ বাইরে চলে যায়। আমরা এই নাটকটি পর একটি আলোচনা পর্ব রেখেছিলাম। সেটা ছিল পার্ট অফ পারফরম্যান্স। মানুষ এই বিভিন্ন বিক্ষিপ্ত ঘটনাগুলো দেখবেন এবং তা নিয়ে কথা বলবেন, এটা আমরা চেয়েছিলাম। এবং সেই দিক থেকে কিন্তু আমরা সফল হয়েছি। মানুষ শেষপর্যন্ত কথা বললেন। সেগুলো আমরা রেকর্ডিং করতে চাইনি। কারণ অনেকসময় মানুষ ভাবাবেগে পড়ে অনেককিছু বলে ফেলতে চান। রেকর্ডিং হলে অনেক সত্যি কথা বলতে পারেন না। আর যাঁরা দেখতে পারেননি, তাঁদের জন্য আমাদের পরবর্তী শো ২১ সেপ্টেম্বর, প্রসেনিয়াম আর্ট সেন্টার, রিপন স্ট্রিটেই করছি।"
Last Updated : Sep 3, 2019, 4:23 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.