হায়দরাবাদ, 16 ফেব্রুয়ারি: মায়ের তরফে কিংবদন্তি কিশোর কুমারের আত্মীয় ছিলেন প্রখ্য়াত সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী ৷ তাঁদের মধ্য়ে ছিল মামা-ভাগ্নের সম্পর্ক ৷ কিশোর কুমারের সঙ্গে একাধিক গানে গলা দিয়েছেন ভারতের 'ডিস্কো কিং' ৷ কিশোর কীভাবে রেকর্ডিংয়ের সময়টা নানান হাসি ঠাট্টা আর মজায় মাতিয়ে তারই একটি গল্প একবার সকলকে জানিয়েছিলেন বাপ্পিদা ৷ সেটাই ছিল বাপ্পিদার সঙ্গে কিশোর কুমারের শেষ সঙ্গীতের রেকর্ডিং ৷ মিঠুন চক্রবর্তী এবং শ্রীদেবী অভিনীত 'ওয়াক্ত কী আওয়াজ' ছবির জন্য় মেহবুব স্টুডিওতে গান রেকর্ডিং করছিলেন কিশোর কুমার ৷ গানটি ছিল যাকে বলে একটু দুষ্টু মিষ্টি গান, কিন্তু সেই গান কিশোর কুমার এমন করে গেয়েছিলেন যে হাসতে হাসতে রীতিমত চোখের জলে নাকের জলে অবস্থা হয়েছিল সকলের (Bappi Lahiri Kishore Kumar last song )৷
সেদিনের কথা স্মরণ করে বাপ্পিদা বলেছিলেন, "সেদিন, মামা সবাইকে এতটা হাসিয়েছিলেন যে আমরা হাসতে হাসতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম । তারপর যাওয়ার সময় তিনি আমাকে বললেন, 'বাপ্পি আজ ম্যানে হাসায়া, ম্যায় যব নেহি রহুঙ্গা তো ইয়াদ করোগে কিশোর মামা কো'। আমি ছ'টায় মেহবুব স্টুডিও ত্যাগ করলাম এবং দুটোয় বাড়িতে খবর পেলাম যে তিনি আর নেই । মামার জন্য আমার চোখে জল। আমি তাঁর খুব কাছের ছিলাম। অমিত কুমার এবং সুমিত কুমার তাঁর সন্তান কিন্তু আমি তাঁর খুব কাছের ছিলাম, অন্য কারও চেয়ে বেশি ৷"
আরও পড়ুন: চির ঘুমের দেশে ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং, এক বর্ণময় অধ্য়ায়ের পরিসমাপ্তি
কিশোরমামার কথা বলতে গিয়ে তাঁর নিজের গাওয়া "ইয়াদ আ রাহা হ্য়ায়" গানটি কীভাবে তৈরি হল সেকথাও শেয়ার করেছিলেন বাপ্পিদা ৷ তিনি বলেন, "ওই গানটা আসলে কিশোরজীর আমাকে দেওয়া আশির্বাদ ৷ ওই গানটা আসলে মামারই গাওয়ার কথা ছিল ৷ ওনার ফ্লাইট সেদিন দেরি করে আসে আর ওনাকে আমার কাজ সেরে এইচএমভি স্টুডিওতে যেতেই হত ৷ আমি পুরো গানটা তৈরি করে ডাবিং করে রেখেছিলাম ৷ উনি পুরোটা শুনলেন এবং তারপর বললেন ‘বাপ্পি, তুমি হৃদয় দিয়ে গেয়েছ, এর চেয়ে ভাল আমি গাইতে পারব না’। আমি মামাকে বলেছিলাম, 'মামা, আমি তোমার জন্য এই গানটি তৈরি করেছি'। তিনি বললেন, ‘আমাকে অন্য কোনও গান দাও, আমি গাইব । এই গান, শুধু তুমিই গাইবে। তোমার কণ্ঠ এই গানের সঙ্গে একদম মানানসই ৷'"